'Stop Genocide' (স্টপ জেনোসাইড) প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা কে?
A
চাষী নজরুল ইসলাম
B
জহির রায়হান
C
খান আতাউর রহমান
D
তারেক মাসুদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নির্মিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’। এটি নির্মাণ করেছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক জহির রায়হান। ১৯৭১ সালের এ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ছিল এক অনন্য আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ—যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার বিভীষিকা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল।
এই প্রামাণ্যচিত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা। জহির রায়হান তখন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন এবং সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা, সাহস ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে ছবিটি নির্মাণ করেন। এতে দেখা যায়—বোমাবর্ষণে ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রাম, উদ্বাস্তুদের দুর্দশা, গণহত্যার শিকার সাধারণ মানুষের করুণ চিত্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।
এই চলচ্চিত্রের নাম ‘স্টপ জেনোসাইড’ অর্থাৎ “গণহত্যা বন্ধ করো”—এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং এক শক্তিশালী মানবিক আবেদন। জহির রায়হান চেয়েছিলেন পৃথিবীর বিবেকবান মানুষ যেন বাংলাদেশের মানুষের ওপর সংঘটিত এই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জহির রায়হান একজন প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকার ছিলেন, যিনি পূর্বে ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কাচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজ ও রাজনীতির বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ‘স্টপ জেনোসাইড’ তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত—যেখানে কল্পকাহিনির পরিবর্তে বাস্তব ঘটনার দলিল হয়ে ওঠে ক্যামেরার প্রতিটি ফ্রেম। চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত ভাষ্য, শব্দ ও দৃশ্য বিন্যাস এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যে, দর্শক অবচেতনে বাংলাদেশের বেদনা ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়।
চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পায় এবং এটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্রটি দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং মন্তব্য করেছিলেন যে, এটি শুধুমাত্র একটি প্রামাণ্যচিত্র নয়, বরং ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সত্য তুলে ধরা হয়।
‘স্টপ জেনোসাইড’ আজও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি অমূল্য সম্পদ। এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং স্বাধীনতার সংগ্রামে শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল প্রতীক। জহির রায়হানের এই কাজ প্রমাণ করে যে, একজন শিল্পী শুধু বিনোদন নয়, বরং মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েও তাঁর শিল্পকে শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত করতে পারেন।
0
Updated: 15 hours ago
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড কত সালে মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৬৩ সালে
C
১৯৬৯ সালে
D
১৯৭১ সালে
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড ছিলেন জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব এবং সুইডেনের নাগরিক।
-
মহাসচিব পদে দায়িত্বকাল: ১৯৫৩–১৯৬১
-
বিশেষ সম্মান: মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার, ১৯৬১
-
মৃত্যু: ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১, কঙ্গোতে শান্তি মিশনের সময় বিমান দুর্ঘটনায়, তানজানিয়ার আরুশার কাছে
-
বৈশিষ্ট্য: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে নিহতদের জন্য সর্বোচ্চ পদক ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করা হয়েছে
0
Updated: 3 weeks ago
২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কে?
Created: 6 days ago
A
আর্থার বি ম্যাকডোনাল্ড
B
সভেতলানা এলাসিভিচ
C
বব ডিলান
D
ডানকান হেলডেম
নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ছিলেন বব ডিলান, যিনি মূলত একজন আমেরিকান গানকার, গীতিকার এবং সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত। তাঁর গানগুলো কেবল সঙ্গীতের জন্য নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বার্তাও বহন করে। নোবেল কমিটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, তিনি “নতুন সাহিত্যিক রূপে আমেরিকান গানকে প্রাণবন্ত করেছেন,” যা সাহিত্যের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
-
সঙ্গীত ও সাহিত্যিক প্রভাব: বব ডিলানের গানগুলো সামাজিক আন্দোলন, নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিফলন বহন করে। তার গানের কথায় সাহিত্যিক গভীরতা এবং চিত্রণ ক্ষমতা রয়েছে।
-
গীতিকার হিসেবে অবদান: ডিলানের লেখা গানগুলোতে কবিতা ও কথাসাহিত্যের সূক্ষ্ম সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়, যা তাকে এক অনন্য সাহিত্যিক পরিচয় প্রদান করে।
-
সাহিত্যে স্বীকৃতি: নোবেল পুরস্কার কমিটি তার কাজকে গান ও কথার মাধ্যমে সাহিত্যিক শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।
-
সামাজিক প্রভাব: তার গান ও কাব্য পাঠকদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-
পুরস্কারের গুরুত্ব: বব ডিলানকে সাহিত্যে নোবেল দেওয়া প্রথমবারের মতো দেখায় যে, গানও সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে এবং সাহিত্যিক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ছিলেন বব ডিলান, যিনি তার গান ও গীতিকথার মাধ্যমে সাহিত্যকে নতুন দিক ও সামাজিক প্রভাবের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তার কাজ সাহিত্য এবং সঙ্গীত উভয়ের মধ্যেই যুগান্তকারী প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
0
Updated: 6 days ago
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক- ২০২৫ এর শীর্ষ দেশ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
নরওয়ে
B
এস্তোনিয়া
C
নেদারল্যান্ডস
D
সুইডেন
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২৫ (RSF World Press Freedom Index 2025) প্রতি বছরের মতো এই সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রান্সভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা Reporters Without Borders (RSF)। সূচকটি ২ মে, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতার অবস্থা মূল্যায়ন করে।
• শীর্ষ দেশগুলো: নরওয়ে, এস্তোনিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ফিনল্যান্ড।
• নিম্নতম অবস্থানে: ইরিত্রিয়া।
• বাংলাদেশের অবস্থান: ১৪৯তম।
0
Updated: 3 weeks ago