বাংলা গদ্যের জনক কাকে বলা হয়?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
প্যারিচাঁদ মিত্র
D
কালীপ্রসন্ন সিংহ
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি শুধু একজন সমাজ সংস্কারকই ছিলেন না, বরং বাংলা গদ্যের উন্নয়নে তাঁর অবদানও অপরিসীম। তাঁর লেখা প্রবন্ধ, নৈতিক কাহিনি এবং শিক্ষামূলক গ্রন্থগুলো বাংলা গদ্যকে একটি সুপরিকল্পিত, স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল রূপ দিয়েছে। এই কারণে তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের গদ্যরচনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
-
সুবিন্যস্ত ও সহজ ভাষা: তিনি জটিল শব্দ ও অলঙ্কার পরিহার করে সরল, স্বাভাবিক ভাষায় লেখা গদ্যরচনা করেছেন, যা সাধারণ মানুষের জন্যও সহজবোধ্য।
-
শিক্ষামূলক ও নৈতিক বিষয়: তাঁর লেখাগুলো শুধু সাহিত্যিক নয়, বরং শিক্ষামূলক ও নৈতিক শিক্ষারও প্রতিফলন বহন করে। শিশু ও তরুণদের জন্য শিক্ষামূলক প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজে নৈতিক চেতনা গড়ে তুলতে চেয়েছেন।
-
সামাজিক সংস্কার: তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে নারীর শিক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধ এবং সমাজ সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রচারিত হয়। গদ্যরচনায় এই সামাজিক বার্তা সহজভাবে উপস্থাপন করা তাঁর বিশেষত্ব।
-
সুন্দর ও প্রাঞ্জল রীতি: বিদ্যাসাগরের গদ্যভাষা ছিল প্রাঞ্জল, সুষম এবং শোভন। এটি বাংলা সাহিত্যকে একটি নতুন দিগন্তে নিয়ে যায়, যেখানে পাঠক সহজেই ভাব ও তথ্য গ্রহণ করতে পারে।
-
গদ্যকে আধুনিক রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা: তিনি বাংলা গদ্যকে কেবল সাহিত্যিক নয়, বরং জীবনমুখী ও সমাজমুখী রূপে সাজান, যা পরবর্তীকালের লেখকদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা যেমন শিক্ষামূলক ও সহজবোধ্য, তেমনই তা বাংলা সাহিত্যের ধারা ও মানকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর কাজ বাংলা গদ্যের বিকাশে এক যুগান্তকারী অবদান রাখে। গদ্যকে যান্ত্রিক বা কৃত্রিম অলঙ্কারের বদলে সুস্পষ্ট, প্রাঞ্জল ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য রূপ দিতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
এ কারণে বাংলা সাহিত্যে তাঁকে “বাংলা গদ্যের জনক” বলা হয়। তাঁর সাহিত্যকর্ম শুধু সেই সময়ের পাঠককে প্রভাবিত করেনি, বরং আজও বাংলা ভাষাভাষী পাঠক ও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণার উৎস।
সুতরাং প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কারণ তিনি বাংলা গদ্যের ধারাকে সুসংগঠিত ও সমৃদ্ধ করে আজকের পাঠকপ্রিয় রূপ দিয়েছে।
0
Updated: 20 hours ago
নিচের বিকল্পগুলো থেকে শুদ্ধ বানান বাছাই করুন-
Created: 3 weeks ago
A
অন্যমনষ্ক
B
সমিচীন
C
মনীষী
D
অপকর্শ
মনীষী হলো একটি বিশেষণ পদ এবং এটি সংস্কৃত শব্দ থেকে উদ্ভূত। শব্দের গঠন হলো মনীষা + ইন্, যার অর্থ হলো তীক্ষ্ণধী, বিদ্বান বা প্রতিভাসম্পন্ন।
-
মনীষী (বিশেষণ)
-
সংস্কৃত শব্দ থেকে উদ্ভূত
-
প্রকৃতি প্রত্যয়: মনীষা + ইন্
-
অর্থ: তীক্ষ্ণধী, বিদ্বান, প্রতিভাসম্পন্ন
-
উদাহরণ: মনীষী ব্যক্তি মানে প্রতিভাসম্পন্ন বা জ্ঞানী ব্যক্তি
-
-
মনীষা
-
মনীষী(-ষিন্) বিশেষণ আকারে ব্যবহৃত
-
অর্থ: মনীষাসম্পন্ন, তীক্ষ্ণধী
-
-
সমীচীন (বিশেষণ)
-
সংস্কৃত শব্দ
-
অর্থ: সংগত, উপযুক্ত, উত্তম
-
-
আরো কিছু শুদ্ধ বানান
-
অপকর্শ → শুদ্ধ: অপকর্ষ
-
অন্যমনষ্ক → শুদ্ধ: অন্যমনস্ক
-
অন্যপুর্বা → শুদ্ধ: অন্যপূর্বা
-
জাজ্জ্বল্যমান → শুদ্ধ: জাজ্বল্যমান
-
প্রোজ্বলিত → শুদ্ধ: প্রজ্বলিত
-
শ্বাশত → শুদ্ধ: শাশ্বত
-
0
Updated: 3 weeks ago
'ফেলুদা' কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 1 month ago
A
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
B
সত্যজিৎ রায়
C
আবু ইসহাক
D
হুমায়ূন আহমেদ
ফেলুদা চরিত্র ও সত্যজিৎ রায়
১. ফেলুদা
-
স্রষ্টা: সত্যজিৎ রায়
-
ধরণ: কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর, সন্দেশ পত্রিকা
২. ফেলুদা সিরিজ
-
মোট গল্প ও উপন্যাস: ৩৫টি সম্পূর্ণ এবং ৪টি অসম্পূর্ণ
-
প্রকাশকাল: ১৯৬৫–১৯৯৭
-
প্রকাশ পত্রিকা: সন্দেশ
৩. প্রধান চরিত্র ও সহকারী
| চরিত্র | ভূমিকা |
|---|---|
| ফেলুদা | প্রধান গোয়েন্দা |
| তপেশরঞ্জন মিত্র (তোপসে) | ফেলুদার ছোটভাই ও সহকারী |
| লালমোহন গাঙ্গুলি (জটায়ু) | লেখক ও সহকারী, ছদ্মনাম জটায়ু |
৪. বৈশিষ্ট্য
-
ফেলুদার চরিত্র নির্মাণে সত্যজিৎ রায় প্রভাবিত ছিলেন শার্লক হোমসের গল্প দ্বারা।
-
তোপসের চরিত্র ওয়াটসনের সঙ্গে মিল রয়েছে।
-
রায় নিজেই গল্পের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করতেন।
0
Updated: 1 month ago
'অনল প্রবাহ' — কাব্যগ্রন্থটি কে লিখেছেন
Created: 1 month ago
A
কায়কোবাদ
B
আহসান হাবীব
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
• ‘অনল প্রবাহ’ কাব্যগ্রন্থ:
-
এটি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত মুসলিম জাগরণমূলক কাব্য।
-
প্রকাশিত: ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ।
-
এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল।
-
প্রথম সংস্করণে মোট নয়টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ:-
অনল প্রবাহ
-
তুর্যধ্বনি
-
মূর্চ্ছনা
-
বীর-পূজা
-
অভিভাষণ
-
মরক্কো সংকট
-
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী:
-
জন্ম: ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ, সিরাজগঞ্জ।
-
নামের সঙ্গে ‘সিরাজী’ উপাধি যুক্ত, জন্মভূমির কারণে।
-
তিনি একজন লেখক, বাগ্মী ও কৃষক নেতা।
রচিত সাহিত্যকর্ম:
উপন্যাস:
-
রায়নন্দিনী
-
তারাবাঈ
-
ফিরোজা বেগম
প্রবন্ধ:
-
স্বজাতি প্রেম
-
তুর্কি নারী জীবন
-
স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
কাব্যগ্রন্থ:
-
অনল প্রবাহ
-
উচ্ছ্বাস
-
উদ্বোধন
-
স্পেন বিজয় কাব্য
0
Updated: 1 month ago