'স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে/কে চায়?- উক্তিটি কার?
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়
D
কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: গ) রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়
এই উক্তি "স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে/কে চায়?" রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায় রচিত। এটি তার সাহিত্যে স্বাধীনতা ও মুক্তি চেতনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। উক্তিটি মূলত মানুষের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের প্রতি আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে। বাংলার ইতিহাস ও সাহিত্যে রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়কে স্বাধীনতা-চেতনার কবি হিসেবে সমাদৃত করা হয়, কারণ তার রচনায় প্রায়শই মানুষকে সামাজিক ও রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।
উক্তিটির অর্থ এবং প্রেক্ষাপটের দিকে নজর দিলে দেখা যায়:
-
এখানে মূল ভাব মানবের অন্তর্নিহিত স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। বন্দোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন, এমন জীবনে কে বাঁচতে চায় যেখানে স্বাধীনতা নেই। এটি মানুষের স্বাভাবিক অধিকার ও মর্যাদার প্রতি গভীর সচেতনতা প্রকাশ করে।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের বিকাশমান জাতীয়তাবাদী চেতনার অংশ, যেখানে লেখক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের কথা সাহিত্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
-
রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্য সমাজের মানুষের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক জাগরণ এবং রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে লক্ষ্যিত। এই উক্তি সেই চেতনার নিখুঁত উদাহরণ।
-
উক্তিটি শুধু একটি সাহিত্যিক বক্তব্য নয়, এটি মানব জীবনের নৈতিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং পাঠককে স্বাধীনতার মূল্য উপলব্ধি করতে প্রেরণা দেয়।
-
এটি রচনা করা সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার সমাজ তখন নানা শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক অব্যবস্থার মুখোমুখি ছিল, যেখানে মানুষের স্বাধীনতা সীমিত ছিল। এই অবস্থার প্রতিবাদ হিসেবে রচনাটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
অতএব, উক্তিটি কেবল রচনাশৈলীর জন্যই নয়, বরং মানবিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক শিক্ষার দিক থেকেও মূল্যবান। এটি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক চিন্তাভাবনার প্রমাণ এবং তার যুগের মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
এই কারণে প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো গ) রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়, কারণ উক্তিটি তার সাহিত্যকর্মের অংশ এবং এটি মানুষের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য উদ্দীপ্ত চেতনাকে প্রকাশ করে।
0
Updated: 21 hours ago
নিম্নলিখিত বাক্যটি পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করুন:
সোহেল বলল, "আমি এখানে থাকব"।
Created: 4 weeks ago
A
সোহেল বলল, "আমি সেখানে থাকব।"
B
সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে।
C
সোহেল জানাল যে আমি এখানে থাকব।
D
সোহেল বলল, "সে এখানে থাকবে।
প্রত্যক্ষ উক্তি “বলল সোহেল, ‘আমি এখানে থাকব’” পরিবর্তিত হয়ে পরোক্ষ উক্তি হয় “সোহেল বলল যে, সে সেখানে থাকবে”। প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ উক্তিতে রূপান্তরের সময় কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়, যা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
পুরুষ পরিবর্তন: প্রথম পুরুষ “আমি” পরিণত হয় তৃতীয় পুরুষে, অর্থাৎ “সে”।
-
স্থান পরিবর্তন: নিকট নির্দেশক শব্দ “এখানে” পরিবর্তিত হয়ে হয় “সেখানে”, যা দূর নির্দেশ করে।
-
বাক্য গঠন পরিবর্তন: উদ্ধৃতি চিহ্ন বাদ দিয়ে সংযোজক অব্যয় “যে” যুক্ত করা হয়, যাতে বাক্যটি পরোক্ষ রূপে যুক্ত হয়।
-
ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তন: মূল ক্রিয়া “থাকব” পরিবর্তিত হয়ে হয় “থাকবে”, কারণ এটি তৃতীয় পুরুষ অনুযায়ী রূপান্তরিত হয়।
ভুল বিকল্পগুলোর কারণ:
-
ক) এখনও প্রত্যক্ষ উক্তি রয়ে গেছে, কারণ উদ্ধৃতি চিহ্ন বাদ দেওয়া হয়নি এবং পুরুষ পরিবর্তন হয়নি।
-
গ) পুরুষ ও স্থান কোনোটিই পরিবর্তিত হয়নি; “আমি এখানে” অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
-
ঘ) উদ্ধৃতি চিহ্ন বজায় থাকায় এটি এখনও প্রত্যক্ষ উক্তি হিসেবে রয়ে গেছে।
0
Updated: 4 weeks ago