'বীরাঙ্গনা কাব্য' কার রচনা?
A
রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়
B
ঈশ্বরগুপ্ত
C
অক্ষয় কুমার দত্ত
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: ঘ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ কাব্যগ্রন্থ, যা মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেছিলেন। মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন পথপ্রদর্শক এবং আধুনিক বাংলা কাব্যিক ধারা গঠনে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তিনি ১৯শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কাব্যচর্চা শুরু করেন এবং বাংলা কাব্যে পশ্চিমা প্রভাব ও রোমান্টিক ধারার সংমিশ্রণ ঘটান। ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ তাঁর সাহিত্যে সাহস, দেশপ্রেম ও নারী চরিত্রের মর্যাদা তুলে ধরার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
কাব্যগ্রন্থটির প্রধান বিষয় হলো নারীর সাহস, শৌর্য ও সৃজনশীলতার প্রতিফলন। মধুসূদন দত্ত এখানে নারীর সংগ্রাম ও তাদের মানবিক মর্যাদা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছেন। তাঁর লেখনীতে ভাবের গভীরতা ও ভাষার চমক দেখা যায়, যা পাঠককে আবেগময় ও চিন্তাশীল করে তোলে।
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ রচনার সময় মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক কাব্যধারাকে প্রসারিত করেন। এতে পশ্চিমা সাহিত্যধারার প্রভাব স্পষ্ট, যেমন কাব্যের গঠন ও শৈলী। তিনি কাব্যে সাহসী নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে গল্প গঠন করেছেন, যা সেই সময়কার সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত নতুন ও প্রেরণাদায়ক ছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম সাধারণত বঙ্গীয় সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে, তবে তিনি কাব্যে বৈচিত্র্যময় বিষয়ও অনুসন্ধান করেন। ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’-এ তিনি নারীর স্বাধীনতা, সাহসিকতা এবং সামাজিক মর্যাদা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করেছেন। কাব্যগ্রন্থটি শুধু সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অতএব, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ রচনার ক্ষেত্রে মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর অবদান অতুলনীয়। তাঁর সাহিত্যে যে সাহসিকতা ও ন্যায্যতার চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে, তা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই কারণে প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ঘ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
0
Updated: 21 hours ago
নির্মলেন্দু গুণ রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
B
কালো মেলা
C
গীনসাবার্গের সঙ্গে
D
ভগলার তীরে
বাংলা আধুনিক কবিতায় গভীর মানবপ্রেম, সামাজিক চেতনা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার অনন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে নির্মলেন্দু গুণ বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর কবিতায় মানুষের বেঁচে থাকা, প্রেম, সংগ্রাম ও বিপ্লব একাকার হয়ে উঠে আসে। এজন্য তাঁকে প্রায়ই বলা হয় “বাংলাদেশের কবিদের কবি”।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নির্মলেন্দু গুণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে।
-
তাঁর সম্পূর্ণ নাম ‘নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী’।
-
তিনি কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি ও আত্মজীবনীসহ নানা ধারায় সাহিত্যচর্চা করেছেন।
-
তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম, সাধারণ মানুষের জীবন, ন্যায়বোধ ও বিদ্রোহী সত্তা শক্তভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
-
না প্রেমিক না বিপ্লবী
-
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
-
ও বন্ধু আমার
-
চাষাভূষার কাব্য
রচিত ভ্রমণকাহিনি:
-
ভগলার তীরে
-
গীনসাবার্গের সঙ্গে
-
আমেরিকায় জুয়ালেখার স্মৃতি
-
ভ্রমি দেশে দেশে
রচিত কিশোর উপন্যাস:
-
কালো মেলা
-
বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন
0
Updated: 2 weeks ago
শহীদ কাদরী রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
B
নিরঞ্জনের পৃথিবী
C
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা
D
চৈত্রের ভালোবাসা
• শহীদ কাদরী:
- স্বাধীন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আধুনিক কবি।
- কলকাতার পার্কস্ট্রিটে ১৯৪২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- মৃত্যুর পর তাঁর ইচ্ছে অনুসারে ঢাকাতে সমাধিস্থ করা হয়।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- উত্তরাধিকার।
- তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা।
- কোথাও কোন ক্রন্দন নেই।
- আমার চুম্বনগুলো পৌছে দাও।
অন্যদিকে,
• নির্মলেন্দু গুণ রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
- দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী,
- চৈত্রের ভালোবাসা,
- নিরঞ্জনের পৃথিবী,
0
Updated: 1 month ago
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গৌরীমঙ্গল
B
অন্নদামঙ্গল
C
ভবানীমঙ্গল
D
মনসামঙ্গল
লৌকিক মঙ্গলকাব্য, বিশেষ করে মনসামঙ্গল, বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধরনের মঙ্গলকাব্যগুলোতে সাধারণত স্থানীয় দেবদেবী, লৌকিক বিশ্বাস ও সামাজিক রীতিনীতি প্রতিফলিত হয়।
-
লৌকিক মঙ্গলকাব্য বলতে বোঝায়, লোকায়ত দেবদেবী বা স্থানীয় দেবতা ও বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে রচিত মঙ্গলকাব্য।
-
মঙ্গলকাব্যগুলোকে শ্রেণিগতভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: পৌরাণিক এবং লৌকিক।
পৌরাণিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
গৌরীমঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
অন্নদামঙ্গল
-
কমলামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
শিবায়ন বা শিবমঙ্গল
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বা বিদ্যাসুন্দর)
-
শীতলামঙ্গল
-
রায়মঙ্গল
-
ষষ্ঠীমঙ্গল
-
সারদামঙ্গল
-
সূর্যমঙ্গল
0
Updated: 1 month ago