গ্রিন হাউস ইফেক্টের ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কী হবে?
A
বৃষ্টিপাত হবে না
B
নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
C
মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি হবে না
D
সাইক্লোন হবে
উত্তরের বিবরণ
গ্রিন হাউস ইফেক্ট হলো পরিবেশগত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রীনহাউস গ্যাসের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রস্তর বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার তীব্র পরিবর্তন ঘটতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রভাব সবচেয়ে গুরুতর রূপ নেবে নিম্নভূমি নিমজ্জনের মাধ্যমে, কারণ বাংলাদেশ একটি সমভূমি এবং নদীভিত্তিক দেশ। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো খ) নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পায়, যা বাংলাদেশের খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, কক্সবাজার ও চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এতে মানুষের বসতি, কৃষি জমি, অবকাঠামো এবং বন্যপ্রাণীর বাসস্থান সবই প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে মৎসজীবি ও কৃষিপ্রধান জনগোষ্ঠী এই পরিবর্তনের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্য বিকল্পগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রাসঙ্গিক বা আংশিক:
-
বৃষ্টিপাত হবে না: গ্রিনহাউস ইফেক্ট বৃষ্টিপাত পুরোপুরি বন্ধ করে না, বরং বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন পরিবর্তন করে।
-
মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি হবে না: এটি ভুল, কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস মেঘ বা সূর্যের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে না।
-
সাইক্লোন হবে: যদিও সাইক্লোনের তীব্রতা গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি সরাসরি এর প্রধান ক্ষতি নয়; মূল ক্ষতি হলো নিম্নভূমির জলাবদ্ধতা ও নিমজ্জন।
সারসংক্ষেপে, বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থার কারণে গ্রিন হাউস ইফেক্টের সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব হবে নিম্নভূমি নিমজ্জন, যা সরাসরি মানুষের জীবন, কৃষি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে।
0
Updated: 22 hours ago
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কত শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
২৫%
B
৩৫%
C
৪৩%
D
৫০%
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
গ্রিন হাউস
প্যারিস শান্তি চুক্তি
সাম্রাজ্যের পতন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি (Paris Climate Agreement)
-
সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
স্বাক্ষরের সাল: ২০১৫ (COP-21 সম্মেলন)
-
স্বাক্ষরের স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ৪ নভেম্বর, ২০১৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯৫টি দেশ
মূল উদ্দেশ্য
-
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা।
-
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় ৪৩% হ্রাস করা।
-
২০৫০–২১০০ সালের মধ্যে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাস প্রাকৃতিকভাবে গাছ, মাটি ও সমুদ্র যতটা শোষণ করতে পারে, সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
-
প্রতি ৫ বছর অন্তর প্রত্যেক দেশের অবদান (Nationally Determined Contributions – NDCs) পর্যালোচনা করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে গরিব দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিল গঠন।
জলবায়ু তহবিল
-
উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
-
এই অর্থ উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন (adaptation) ও প্রশমন (mitigation) কার্যক্রমে ব্যয় হওয়ার কথা।
-
COP-29 (নভেম্বর, ২০২৪)-এ এই প্রতিশ্রুতি বাড়ানো হয়:
-
২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
-
লক্ষ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করা।
-
উৎস:
i) UNFCCC (United Nations Framework Convention on Climate Change) ওয়েবসাইট
ii) UNTC (United Nations Treaty Collection) ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিচের কোন দেশটি?
Created: 2 months ago
A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
গ্রিনহাউস গ্যাস হলো সেই গ্যাসগুলো যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প (Water vapor)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশ
গত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু (per capita) গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কাতার। অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে: বাহরাইন, ব্রুনাই, কুয়েত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, মঙ্গোলিয়া, সৌদি আরব, এবং অস্ট্রেলিয়া।
উৎস: Our World in Data
0
Updated: 2 months ago
কোন সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনের অঙ্গীকার করা হয়?
Created: 2 months ago
A
কোপেনহেগেন সম্মেলন
B
কানকুন সম্মেলন
C
ডারবান সম্মেলন
D
স্টকহোম সম্মেলন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
গ্রিন হাউস
Green Climate Fund (GCF)
-
প্রতিষ্ঠা: ২০১০, কানকুন, মেক্সিকো (COP-16)
-
সংশ্লিষ্ট সংস্থা: UNFCCC
-
সদর দপ্তর: ইয়েনচিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া
-
উদ্দেশ্য:
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
-
কার্বন নির্গমন কমানো
-
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫°C মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
২০০৯ সালে কোপেনহেগেন (COP-15) সম্মেলনে গঠনের অঙ্গীকার করা হয়।
-
উন্নত দেশগুলোর প্রদত্ত চাঁদার মাধ্যমে তহবিল পরিচালিত হয়।
-
তহবিলের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস: Green Climate Fund ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago