খাবার স্যালাইন বানানোর পর খাওয়ানোর যাবে-
A
৬ ঘন্টা
B
১২ ঘন্টা
C
৩ ঘন্টা
D
২ ঘন্টা
উত্তরের বিবরণ
খাবার স্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন (ORS) হলো পানিশূন্যতা রোধে ব্যবহৃত এক অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া সমাধান। এটি সাধারণত ডায়রিয়া, বমি বা অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়। তবে সঠিকভাবে তৈরি হলেও এটি কতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে খাওয়ানো যাবে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সময় বেশি হলে স্যালাইনে জীবাণু জন্ম নিতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সঠিক তথ্য অনুযায়ী, খাবার স্যালাইন বানানোর পর ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ানো যেতে পারে।
এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
• স্যালাইন তৈরির উপাদান: সাধারণত এক লিটার পরিষ্কার পানিতে আধা চা চামচ লবণ ও ছয় চা চামচ চিনি মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা হয়। এতে শরীরের লবণ ও গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়।
• তাজা পানির ব্যবহার: স্যালাইন তৈরির সময় অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা জরুরি। ফুটানো ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে জীবাণুর ঝুঁকি থাকে না।
• সংরক্ষণকাল: তৈরি করা স্যালাইনকে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এর পর তা ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কারণ এই সময়ের পর স্যালাইনে জীবাণু বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা খেলে ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
• ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে করণীয়: ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে বাকি স্যালাইন ফেলে দিতে হবে। নতুন করে একই পদ্ধতিতে স্যালাইন তৈরি করতে হবে।
• খাওয়ানোর পদ্ধতি: রোগীর বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে। শিশুকে চামচে করে এবং বড়দের গ্লাসে করে অল্প অল্প করে দিতে হয়।
• সংরক্ষণের পরিবেশ: স্যালাইন ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই, তবে রোদে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।
• খাবার স্যালাইনের উপকারিতা: এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে, ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি পূরণ করে এবং ডিহাইড্রেশনজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করে।
• ভুল ধারণা সংশোধন: অনেকে মনে করেন স্যালাইন অনেকক্ষণ রেখে খাওয়ানো যায়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। ১২ ঘণ্টার বেশি পুরনো স্যালাইন পচে যায় এবং তা খাওয়ানো বিপজ্জনক।
অতএব, খাবার স্যালাইন সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি সময় পার হলে তা ফেলে দিয়ে নতুন করে বানানো উচিত। এটি মেনে চললে স্যালাইন নিরাপদ ও কার্যকর থাকে এবং ডায়রিয়ার মতো রোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
0
Updated: 1 day ago
জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
১৯ তম
B
২৯ তম
C
৩৬ তম
D
৩৯ তম
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিকভাবে বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন।
এটি ছিল জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ, যা বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক মর্যাদা ও স্বাধীন পরিচয়কে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছিল।
প্রেক্ষাপট:
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই বছরই বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে অংশ নেন এবং বিশ্বনেতাদের সামনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।-
ভাষণের মূল বার্তা:
তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু শান্তি, মানবতা, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা সকল জাতির প্রতি বন্ধুত্ব চাই, কারও প্রতি বৈরিতা নয়।” -
গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
-
বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই ভাষণ।
-
এটি প্রমাণ করে যে, মাতৃভাষাও বিশ্বমঞ্চে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
-
বঙ্গবন্ধুর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
-
-
বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতীকও বটে। এটি বাঙালির আত্মমর্যাদা, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 2 weeks ago
The Heisenberg Uncertainty Principle is most closely related to which concept?
Created: 3 weeks ago
A
Gravity
B
Quantum indeterminacy
C
Classical mechanics
D
Determinism
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি কোয়ান্টাম অনির্ধারকতার ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই নীতি অনুযায়ী, কোনো কণার অবস্থান ও ভরবেগ একই সঙ্গে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। যত বেশি নির্ভুলভাবে অবস্থান মাপা হয়, তত কম নির্ভুলভাবে ভরবেগ জানা যায়, এবং বিপরীতটিও সত্য। এটি প্রমাণ করে যে কোয়ান্টাম স্তরে কণার আচরণ নির্দিষ্ট নয়, বরং সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে ঘটে। ফলে মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রতম জগতে ঘটনাগুলো পূর্বনির্ধারিত না হয়ে সম্ভাবনামূলকভাবে ঘটে। এই কারণে অনিশ্চয়তা নীতি ধ্রুপদী পদার্থবিজ্ঞানের তুলনায় কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তির সঙ্গে বেশি সম্পর্কিত।
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ভার্নার হাইজেনবার্গ 1927 সালে এই নীতি প্রবর্তন করেন।
-
কোনো কণার অবস্থান (position) এবং বেগ/ভরবেগ (velocity/momentum) একসাথে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব। প্রকৃতিতে “একই সাথে সঠিক অবস্থান ও সঠিক ভরবেগ” ধারণার কোনো বাস্তব অর্থ নেই।
-
পরমাণু বা পরমাণু কণার (যেমন: ইলেকট্রন) ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইলেকট্রনের বেগ নির্ণয় করতে গেলে অবস্থান পরিবর্তিত হয়, আর অবস্থান মাপতে গেলে বেগের তথ্য অনিশ্চিত হয়।
-
অনিশ্চয়তা নীতির ধারণা থেকেই তৈরি হয়েছে কণা ত্বরক বা পার্টিকল অ্যাকসিলারেটর যন্ত্র, যেমন সুইজারল্যান্ডের লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার।
গাণিতিক রূপ:
Δx ⋅ Δp ≥ h / 4π
এখানে,
-
Δx = অবস্থান নির্ণয়ের অনিশ্চয়তা
-
Δp = ভরবেগ নির্ণয়ের অনিশ্চয়তা
-
h = প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবক
0
Updated: 3 weeks ago
মানবশিশুর দুধ দাঁতের সংখ্যা কতটি?
Created: 1 week ago
A
২০টি
B
২১টি
C
২৪টি
D
২৬টি
মানবশিশুর দুধ দাঁতের সংখ্যা মোট ২০টি, যা সাধারণত ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে গজায় এবং পরে স্থায়ী দাঁত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
0
Updated: 1 week ago