কোনটি Upper Limb এর বোন নয়?
A
Femur
B
Ulna
C
Radius
D
Humerous
উত্তরের বিবরণ
Upper Limb বা মানবদেহের উপরের অঙ্গের হাড়গুলো মূলত হাতের গঠন তৈরি করে। এই অংশে কাঁধ থেকে শুরু করে আঙুল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের হাড় থাকে। কিন্তু Femur হাড়টি Upper Limb নয়, বরং এটি নিচের অঙ্গের অংশ। নিচে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝানো হলো—
• Upper Limb বলতে মানবদেহের উপরের অংশ বোঝায়, যা Shoulder (কাঁধ) থেকে শুরু করে Hand (হাত) পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অংশের প্রধান হাড়গুলো হলো Humerus, Radius, Ulna, Carpals, Metacarpals এবং Phalanges।
• Humerus হলো উপরের বাহুর একমাত্র লম্বা হাড়, যা Shoulder joint ও Elbow joint-কে সংযুক্ত করে। এটি Upper Arm-এর মূল কাঠামো তৈরি করে।
• Radius ও Ulna দুইটি হাড় নিচের বাহুতে (Forearm) অবস্থিত। Radius বাইরের দিকে (Thumb side) থাকে, আর Ulna ভেতরের দিকে (Little finger side) অবস্থান করে।
• হাতের কবজির অংশে Carpals নামক ছোট ছোট আটটি হাড় থাকে, যা কবজিকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। এগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকে Metacarpals (হাতের তালুর হাড়) এবং Phalanges (আঙুলের হাড়)।
• অন্যদিকে Femur হলো মানবদেহের Lower Limb বা নিচের অঙ্গের হাড়। এটি মানুষের দেহের সবচেয়ে লম্বা ও শক্তিশালী হাড়, যা Thigh bone নামেও পরিচিত। এটি Hip joint এবং Knee joint-কে সংযুক্ত করে।
• Femur হাড়ের কাজ হলো শরীরের ভার বহন করা এবং হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় গতিশক্তি প্রদান করা। এটি পায়ের কাঠামো ও ভারসাম্য বজায় রাখে, যা Upper Limb-এর কোনও অংশ নয়।
• Upper Limb-এর হাড়গুলো মূলত গ্রাস করা, ধরা, লেখা, ও বিভিন্ন সূক্ষ্ম কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে, কিন্তু Femur এসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
• সুতরাং দেখা যায়, প্রশ্নে দেওয়া বিকল্পগুলোর মধ্যে Femur একমাত্র হাড় যা Upper Limb-এর অন্তর্গত নয়। এটি Lower Limb-এর অংশ হিসেবে মানবদেহের ভারসাম্য ও চলাচলে ভূমিকা রাখে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো ক) Femur, কারণ এটি Upper Limb নয় বরং Lower Limb-এর প্রধান হাড়।
0
Updated: 1 day ago
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
Created: 1 day ago
A
৯৭.২° ফা.
B
৯৪.৮° ফা.
C
৯৬.৪° ফা.
D
৯৮.৪° ফা.
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলতে এমন একটি গড় তাপমাত্রাকে বোঝানো হয়, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য অপরিহার্য। এই তাপমাত্রা সাধারণ অবস্থায় নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যকারিতা নির্দেশ করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্বীকৃত এই মান শরীরের স্বাস্থ্য ও রোগ নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড।
-
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮.৪° ফারেনহাইট বা ৩৭° সেলসিয়াস। এটি সাধারণত মুখের ভেতরে (oral temperature) মাপা হয়।
-
এই তাপমাত্রা শরীরের মেটাবলিক কার্যক্রম বা বিপাকীয় ক্রিয়ার ফলাফল। শরীরের ভেতরে প্রতিনিয়ত যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, তার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন হয় এবং সেই তাপই শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখে।
-
হাইপোথ্যালামাস, যা মস্তিষ্কের একটি অংশ, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরের “থার্মোস্ট্যাট” হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে ঘাম বা কাঁপুনি সৃষ্টি করে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
-
তাপমাত্রা মাপার সাধারণ স্থান হলো জিহ্বার নিচে, বগলে ও মলদ্বারে। মলদ্বার দিয়ে মাপা তাপমাত্রা সাধারণত কিছুটা বেশি হয়।
-
শরীরের তাপমাত্রা দিন-রাতের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। সকালে তা কিছুটা কম থাকে, আর বিকেলের দিকে বা রাতে সামান্য বেড়ে যায়।
-
শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে, কারণ তাদের বিপাকীয় কার্যক্রম তুলনামূলক দ্রুত ঘটে।
-
৯৮.৪° ফা. থেকে বেশি হলে তাকে সাধারণত জ্বর বা ফিভার বলা হয়, যা সংক্রমণ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্য শারীরবৃত্তীয় সমস্যার কারণে হতে পারে।
-
আবার ৯৫° ফা. এর নিচে নামলে সেটি হাইপোথারমিয়া নামে পরিচিত, যা শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ার অবস্থা।
-
স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীর ঘাম, রক্তসঞ্চালন, শ্বাস-প্রশ্বাস ও ত্বকের মাধ্যমে তাপ নির্গত করে এবং প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে।
-
পরিবেশ, বয়স, খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম—এই উপাদানগুলোও শরীরের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলে।
সুতরাং দেখা যায়, ৯৮.৪° ফা. মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা, যা শরীরের সুস্থতা ও কার্যক্ষমতার প্রতীক। এর থেকে সামান্য পরিবর্তন স্বাভাবিক হলেও অতিরিক্ত পার্থক্য শরীরের অসুস্থতার ইঙ্গিত বহন করে।
0
Updated: 1 day ago
মানব দেহে RBC-এর তুলনায় White Blood Cell-এর সংখ্যা কেমন থাকে?
Created: 1 month ago
A
কম
B
বেশি
C
সমান
D
শূন্য
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cell বা WBC) হলো হিমোগ্লোবিনবিহীন, নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ, যাদের নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।
-
গড় আয়ু: ১–১৫ দিন
-
সংখ্যা: রক্তে WBC-এর সংখ্যা RBC-এর তুলনায় অনেক কম
-
চলাচল: অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করতে পারে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে
-
ক্রিয়া:
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে
-
রক্তরসের মাধ্যমে নিজেরাই চলতে সক্ষম
-
-
প্রতিক্রিয়া: দেহে বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রমণ হলে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়
-
মানবদেহে সংখ্যা: প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে ৪–১০ হাজার
-
শিশু ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে: শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
0
Updated: 1 month ago
দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করে কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মনোসাইট
B
বেসোফিল
C
নিউট্রাফিল
D
লিম্ফোসাইট
অ্যাগ্রানুলোসাইট হলো এমন শ্বেত রক্তকোষ যার সাইটোপ্লাজম দানাহীন ও স্বচ্ছ। এগুলো মূলত দুই ধরনের: লিম্ফোসাইট এবং মনোসাইট। দেহের লিম্ফনোড, টনসিল, প্লিহা ইত্যাদি অংশে এই কোষগুলো তৈরি হয়।
-
লিম্ফোসাইট:
-
ছোট কোষ যার বড় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং এই অ্যান্টিবডির মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করা রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
-
দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
-
মনোসাইট:
-
বড় রক্তকোষ যার ডিম্বাকার বা বৃক্কাকার নিউক্লিয়াস থাকে।
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
-
0
Updated: 1 month ago