Mismatched Blood Transfusion-এর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কি নিতে হবে?
A
Antibiotic ও অক্সিজেন শুরু করা
B
Blood দেয়া বন্ধ Steroid দেয়া
C
I/V স্যালাইন ও জ্বরের ওষুধ দেয়া
D
I/V Lasix স্যালাইন ও Oxygen দেয়া
উত্তরের বিবরণ
রক্ত সঞ্চালনের সময় ভুল গ্রুপের রক্ত দিলে শরীরে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যাকে Mismatched Blood Transfusion Reaction বলে। এটি একটি জীবন-সঙ্কটময় অবস্থা, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। রক্তের অমিল ঘটলে রোগীর শরীরে ইমিউন প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং রক্তকণিকা ভেঙে হিমোগ্লোবিন মুক্ত হয়, যা কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই রোগীকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
• রক্ত সঞ্চালন সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে – প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হলো রক্ত দেয়া বন্ধ করা। এটি রোগীর শরীরে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া ছড়ানো থেকে রোধ করে।
• Steroid প্রয়োগ করতে হবে – যেমন Hydrocortisone বা Prednisolone। এটি শরীরের অ্যালার্জিক ও ইমিউন প্রতিক্রিয়া কমায় এবং রক্তকণিকার ভাঙনজনিত প্রদাহ হ্রাস করে।
• নবীন I/V লাইন দিয়ে স্যালাইন শুরু করা উচিত – নতুন সেট দিয়ে Normal Saline দিতে হয় যাতে রক্তের ভাঙা উপাদানগুলো কিডনির মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং কিডনি ক্ষতির ঝুঁকি কমে।
• রোগীর vital signs পর্যবেক্ষণ করতে হবে – প্রতি ৫-১০ মিনিট অন্তর pulse, blood pressure, respiration ও temperature পরীক্ষা করা জরুরি, কারণ রক্তচাপ হঠাৎ কমে যেতে পারে বা শক দেখা দিতে পারে।
• Urine output পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য – প্রতিনিয়ত প্রস্রাব হচ্ছে কি না এবং পরিমাণ ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে, কারণ রক্তের ভাঙা উপাদান কিডনিতে জমে Acute Renal Failure ঘটাতে পারে।
• Diuretic প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে – বিশেষত Lasix (Furosemide) প্রয়োগ করলে মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কিডনি সুরক্ষিত থাকে। তবে এটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হয়।
• Antihistamine প্রয়োগ করা যেতে পারে – অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য Chlorpheniramine বা অন্যান্য antihistamine দেওয়া যেতে পারে, যা শরীরের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা হ্রাস করে।
• রক্তের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা দরকার – Donor এবং recipient দুইজনের রক্ত নমুনা আবার cross match করে নিশ্চিত হতে হবে কোথায় ত্রুটি হয়েছে।
• রক্তের ব্যাগ সংরক্ষণ করতে হবে – প্রতিক্রিয়ার উৎস নির্ধারণে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য রক্তব্যাগ পাঠানো উচিত, যাতে ভবিষ্যতে একই ভুল এড়ানো যায়।
• চিকিৎসা নথিতে ঘটনাটি উল্লেখ করা উচিত – রোগীর রেকর্ডে mismatch transfusion-এর তথ্য স্পষ্টভাবে লেখা প্রয়োজন, যাতে পরবর্তী চিকিৎসায় সতর্কতা অবলম্বন করা যায়।
এইভাবে দেখা যায় যে, Mismatched Blood Transfusion-এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হলো রক্ত দেওয়া বন্ধ করা ও Steroid প্রয়োগ করা, যা রোগীর জীবন বাঁচানোর মূল ধাপ।
0
Updated: 1 day ago
খাবার স্যালাইন বানানোর পর খাওয়ানোর যাবে-
Created: 1 day ago
A
৬ ঘন্টা
B
১২ ঘন্টা
C
৩ ঘন্টা
D
২ ঘন্টা
খাবার স্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন (ORS) হলো পানিশূন্যতা রোধে ব্যবহৃত এক অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া সমাধান। এটি সাধারণত ডায়রিয়া, বমি বা অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি কারণে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়। তবে সঠিকভাবে তৈরি হলেও এটি কতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে খাওয়ানো যাবে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সময় বেশি হলে স্যালাইনে জীবাণু জন্ম নিতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সঠিক তথ্য অনুযায়ী, খাবার স্যালাইন বানানোর পর ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ানো যেতে পারে।
এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
• স্যালাইন তৈরির উপাদান: সাধারণত এক লিটার পরিষ্কার পানিতে আধা চা চামচ লবণ ও ছয় চা চামচ চিনি মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা হয়। এতে শরীরের লবণ ও গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়।
• তাজা পানির ব্যবহার: স্যালাইন তৈরির সময় অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা জরুরি। ফুটানো ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে জীবাণুর ঝুঁকি থাকে না।
• সংরক্ষণকাল: তৈরি করা স্যালাইনকে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এর পর তা ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কারণ এই সময়ের পর স্যালাইনে জীবাণু বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা খেলে ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
• ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে করণীয়: ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে বাকি স্যালাইন ফেলে দিতে হবে। নতুন করে একই পদ্ধতিতে স্যালাইন তৈরি করতে হবে।
• খাওয়ানোর পদ্ধতি: রোগীর বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে। শিশুকে চামচে করে এবং বড়দের গ্লাসে করে অল্প অল্প করে দিতে হয়।
• সংরক্ষণের পরিবেশ: স্যালাইন ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই, তবে রোদে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।
• খাবার স্যালাইনের উপকারিতা: এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে, ইলেকট্রোলাইট ঘাটতি পূরণ করে এবং ডিহাইড্রেশনজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করে।
• ভুল ধারণা সংশোধন: অনেকে মনে করেন স্যালাইন অনেকক্ষণ রেখে খাওয়ানো যায়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। ১২ ঘণ্টার বেশি পুরনো স্যালাইন পচে যায় এবং তা খাওয়ানো বিপজ্জনক।
অতএব, খাবার স্যালাইন সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি সময় পার হলে তা ফেলে দিয়ে নতুন করে বানানো উচিত। এটি মেনে চললে স্যালাইন নিরাপদ ও কার্যকর থাকে এবং ডায়রিয়ার মতো রোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
0
Updated: 1 day ago
ম্যালেরিয়ার ঔষধ কুইনিন কোন গাছ থেকে পাওয়া যায়?
Created: 1 week ago
A
সিনকোনা
B
পাথরকুচি
C
নীম গাছ
D
তুলসী গাছ
কুইনিন হলো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি প্রধান ঔষধ, যা সিনকোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায়। সিনকোনা গাছ দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্যে জন্মায়। এই গাছ থেকেই প্রথম কুইনিন আবিষ্কৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago