রেড ইন্ডিয়ান কাদের বলা হয়?
A
ইন্ডিয়ান আদি অধিবাসীগণ
B
ইন্দোনেশিয়ার আদি অধিবাসীগণ
C
আমেরিকায় আগত ভারতবাসীগণ
D
আমেরিকার আদি অধিবাসীগণ
উত্তরের বিবরণ
রেড ইন্ডিয়ান বলতে মূলত আমেরিকার আদি অধিবাসীদের বোঝানো হয়, যারা ইউরোপীয়দের আগমনের বহু আগে থেকেই এই মহাদেশে বসবাস করতেন। তারা নিজেদের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও জীবনধারায় ছিল স্বতন্ত্র। ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীরা প্রথম যখন আমেরিকায় আসে, তখন ভুলবশত তাদের ‘ইন্ডিয়ান’ বলে ডাকতে শুরু করে, কারণ তারা ভেবেছিল এশিয়ার ভারতবর্ষে এসে পৌঁছেছে। পরে এই জনগোষ্ঠীকে “রেড ইন্ডিয়ান” নামেই পরিচিত করা হয়।
তাদের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো
• উৎপত্তি ও পরিচয়: রেড ইন্ডিয়ানরা মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসী গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে নাভাহো, অ্যাপাচি, চেরোকি, সিউ, ও ইনকা জাতিগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য। এই জনগোষ্ঠী হাজার হাজার বছর আগে এশিয়া থেকে আলাস্কার মাধ্যমে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল বলে ইতিহাসবিদরা ধারণা করেন।
• ‘রেড ইন্ডিয়ান’ নামের উৎপত্তি: ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা (বিশেষ করে ক্রিস্টোফার কলম্বাস) যখন ১৫ শতকে আমেরিকায় আসে, তখন ভুলবশত মনে করেছিল তারা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। তাই স্থানীয় অধিবাসীদের “ইন্ডিয়ান” বলা হয়। পরবর্তীতে তাদের ত্বকের তামাটে বা লালচে আভা থেকে “রেড ইন্ডিয়ান” নামটি প্রচলিত হয়।
• সংস্কৃতি ও জীবনধারা: রেড ইন্ডিয়ানদের নিজস্ব সামাজিক সংগঠন, উপজাতীয় সরকারব্যবস্থা, ও প্রকৃতি-নির্ভর ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল। তারা সূর্য, চাঁদ, বৃষ্টি ও পশুপাখিকে দেবতার রূপে পূজা করত। তাদের জীবন ছিল কৃষি, শিকার ও মৎস্য আহরণকেন্দ্রিক। তাঁবুতে বা কাঠের কুটিরে তারা পরিবারসহ বসবাস করত।
• ইউরোপীয় উপনিবেশের প্রভাব: ১৬ শতকের পর ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের ফলে রেড ইন্ডিয়ানদের জমি, সংস্কৃতি ও জনসংখ্যা ধ্বংস হতে শুরু করে। যুদ্ধ, রোগ ও দাসপ্রথার কারণে তাদের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পায়। অনেককে জোরপূর্বক ইউরোপীয়দের সংস্কৃতি ও ভাষা গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়।
• বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই জনগোষ্ঠীর বংশধররা বাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের “Native Americans” এবং কানাডায় “First Nations” নামে পরিচিত। তারা এখনো তাদের ঐতিহ্য, উৎসব ও ভাষা সংরক্ষণে সচেষ্ট।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব: রেড ইন্ডিয়ানরা আমেরিকার প্রকৃত অধিকারী হিসেবে বিবেচিত। তাদের সংস্কৃতি, শিল্পকলা, ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ধারণা আজও পরিবেশ সংরক্ষণে অনুপ্রেরণা জোগায়।
সবশেষে বলা যায়, রেড ইন্ডিয়ানরা হলো আমেরিকার মূল বা আদি অধিবাসী, যারা ইউরোপীয় আগ্রাসনের বহু আগে থেকেই সেখানে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করত। তাদের ইতিহাস মানবসভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আজও জাতিগত বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে মূল্যায়িত হয়।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
Created: 2 weeks ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
এম. মনসুর আলী
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আতাউর রহমান খান
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেন।
0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন উদ্ভিদটিকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
গোলাপ গাছ
B
সূর্যমুখী গাছ
C
তুলা গাছ
D
কচুরিপানা
তুলা গাছকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয় তার অনন্য বৈশিষ্ট্য, উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সূর্যের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে। এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা কৃষি, অর্থনীতি এবং শিল্প—তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক:
তুলা গাছ সূর্যের আলো ও তাপের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এটি উষ্ণ ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক ছাড়া তুলার ফুল ফোটে না এবং আঁশের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকরা একে ভালোবেসে ‘সূর্যকন্যা’ বলে ডাকেন।
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক পরিচয়:
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Gossypium herbaceum। এটি মালভেসি (Malvaceae) পরিবারের অন্তর্গত। এর আঁশ মূলত বীজের চারপাশে জন্মায়, যা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
তুলা পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান নগদ ফসল। এটি থেকে তৈরি সুতা, কাপড়, তেল ও পশুখাদ্য বহু শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প তুলার উপর নির্ভরশীল। তাই তুলা গাছ শুধু কৃষিতেই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখে।
কৃষিগত বৈশিষ্ট্য:
তুলা গাছ সাধারণত ৩-৫ ফুট উঁচু হয়। এটি শুকনো, উষ্ণ, বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। বপনের সময় মে-জুন মাস এবং তুলা তোলা হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এর জন্য নিয়মিত সূর্যালোক ও মাঝারি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।
প্রতীকী অর্থে সূর্যকন্যা:
তুলা গাছের ফুল ও ফল উজ্জ্বল রঙের হয় এবং এর বৃদ্ধি সূর্যের আলোয় সবচেয়ে ভালো হয়। সূর্যের কিরণে ফুল ফোটে, ফল পাকে, আর তুলা সাদা আঁশে ফুটে ওঠে যেন সূর্যের আলোয় জন্ম নেওয়া এক “কন্যা”। এজন্যই একে কাব্যিকভাবে “সূর্যকন্যা” বলা হয়।
পরিবেশগত গুরুত্ব:
তুলা গাছ মাটির উর্বরতা রক্ষা করে এবং কৃষিজ চক্রে ভারসাম্য রাখে। এর পাতা ও বীজপ্রক্রিয়াজাত অবশিষ্টাংশ পশুখাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তুলা গাছ প্রকৃত অর্থেই “সূর্যকন্যা” — কারণ এটি সূর্যের আলোয় বিকশিত হয়, মানুষের প্রয়োজন মেটায় এবং দেশের অর্থনীতিতে অমূল্য অবদান রাখে। এর প্রতিটি আঁশ সূর্যের আলোর মতোই উজ্জ্বল ও জীবনের জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 2 weeks ago
চিকনগুনিয়া রোগটি কোন মাধ্যম বাহিত রোগ?
Created: 2 weeks ago
A
পানিবাহিত
B
পতঙ্গবাহিত
C
বায়ুবাহিত
D
রক্তবাহিত
চিকনগুনিয়া একটি পতঙ্গবাহিত রোগ। এটি প্রধানত এডিস জাতীয় মশার মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতির মাধ্যমে। এই ভাইরাসজনিত রোগে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।
0
Updated: 2 weeks ago