সালাম সালাম হাজার সালাম গানটির গায়ক কে?
A
আব্দুল জব্বার
B
আবদুল হাদী
C
মাহমুদুননবী
D
খুরশীদ আলম
উত্তরের বিবরণ
“সালাম সালাম হাজার সালাম” গানটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে উদ্দীপ্ত করা এক অনন্য সৃষ্টি। গানটি গেয়েছিলেন আব্দুল জব্বার, যিনি দেশের এক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কণ্ঠে এই গানটি শুধু সংগীত নয়, বরং ছিল স্বাধীনতার আহ্বান ও জাতীয় চেতনার প্রতীক। নিচে গানটি ও গায়ক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
• গায়ক: আব্দুল জব্বার ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। তিনি ১৯৩৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার গৌরীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার আগে থেকেই তিনি দেশাত্মবোধক গানে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
• গানটির প্রেক্ষাপট: “সালাম সালাম হাজার সালাম” গানটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত ও পরিবেশিত হয়েছিল। এটি ছিল যুদ্ধকালীন সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণার উৎস।
• গানের কথা ও সুর: গানটির কথা লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সুরকার ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। তাঁদের এই সৃষ্টিতে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং জাতির মুক্তির চেতনা অত্যন্ত প্রাণবন্তভাবে ফুটে উঠেছে।
• গানের তাৎপর্য: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ বেতারের “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে এই গানটি প্রচারিত হয়। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের মনে সাহস জাগিয়েছিল, তাদের অনুপ্রাণিত করেছিল দেশের জন্য লড়তে।
• আব্দুল জব্বারের ভূমিকা: তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আরও বহু দেশাত্মবোধক গান গেয়েছিলেন, যেমন “জয় বাংলা বাংলার জয়” এবং “তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়”। তাঁর কণ্ঠে দেশপ্রেমের আবেগ গভীরভাবে প্রকাশ পেত, যা জনগণের অন্তরে অমলিন ছাপ ফেলেছে।
• পুরস্কার ও সম্মাননা: তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পদক (১৯৯৬)। এছাড়াও তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সংগীত শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
• গানের সাংস্কৃতিক প্রভাব: “সালাম সালাম হাজার সালাম” পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে এখনো এই গানটি বাজানো হয় দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
• মৃত্যু ও উত্তরাধিকার: আব্দুল জব্বার ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। তাঁর কণ্ঠ, তাঁর গান এবং দেশপ্রেম আজও বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
সব মিলিয়ে, “সালাম সালাম হাজার সালাম” গানটি শুধু একটি সঙ্গীত নয়—এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কাব্য। আর এর অমর গায়ক আব্দুল জব্বার জাতির শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থায়ী আসনে আসীন।
0
Updated: 1 day ago
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।' এ গানের প্রথম সুরকার কে?
Created: 2 months ago
A
আবদুল গাফফার চৌধুরী
B
আসাদ চৌধুরী
C
আলতাফ মাহমুদ
D
আবদুল লতিফ
একুশে ফেব্রুয়ারি ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান
• আবদুল গাফফার চৌধুরীর অমর কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হলো ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে রচিত “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গান।
• গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)-এ।
• এর প্রথম সুর দেন আবদুল লতিফ। পরে আলতাফ মাহমুদ সুরটি পরিবর্তন করে আজকের সংস্করণ তৈরি করেন, যা এখন প্রচলিত।
• গানটির শিরোনাম ‘রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে কতজন শহিদের রক্ত ঝরেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
'আমার ঘরের চাবি পরের হাতে'-গানটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
লালন শাহ্
B
হাসন রাজা
C
পাগলা কানাই
D
রাধারমণ দত্ত
লালন শাহ্ (১৭৭২–১৮৯০) ছিলেন বাউল সাধনার একজন প্রধান গুরু এবং বাউল গানের সর্বাধিক খ্যাতিমান রচয়িতা ও গায়ক।
তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কিছু মত অনুযায়ী তাঁর জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে।
লালন কখনো জাতিভেদ মেনে চলেননি। তাই তার গানে আমরা পাই এই ধরনের বাণী:
“সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে / লালন কয় জাতির কি রূপ দেখলাম না এ নজরে।”
তার সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি গান হলো:
-
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’
-
‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’
-
‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’
-
‘আমার ঘরের চাবি পরের হাতে’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago