'চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা' - বাক্যটি কার রচনা?
A
আলাওল
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
শাহাদাৎ হোসেন
উত্তরের বিবরণ
‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’—এই বাক্যটি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের রচনা। তিনি ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক ও সমাজসংস্কারক, যিনি বাংলা ভাষায় দেশপ্রেম, নীতিবোধ ও কর্মপ্রেরণার শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর এই উক্তিটি মানুষকে অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের সাফল্য অর্জনের অনুপ্রেরণা দেয়।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২–১৮৫৯) বাংলার প্রথম যুগের উল্লেখযোগ্য কবি, যিনি বাংলা কবিতাকে নবজাগরণের ধারায় নিয়ে আসেন।
• তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, যা বাংলার প্রথম দিকের জনপ্রিয় সংবাদপত্রগুলির একটি।
• তাঁর লেখায় সমাজের অসঙ্গতি, কুসংস্কার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• ‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’ উক্তিটির মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, সফলতার জন্য ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করে নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের উপর আস্থা রাখা উচিত।
• এই নীতিবাক্যের মূল শিক্ষা হলো—জীবনের প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধ্যবসায়, সততা ও আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন বাংলা কাব্যের তথাকথিত "সংবাদ যুগের কবি", যিনি সাহিত্যে সমাজসচেতনতার বার্তা এনে দেন।
• তাঁর রচনাগুলোতে নৈতিক শিক্ষা, বাস্তব জীবনবোধ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা দেখা যায়।
• তিনি কবিতার মাধ্যমে সমাজে কর্মনিষ্ঠা ও আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
• তাঁর কবিতায় যেমন দেশপ্রেম আছে, তেমনি আছে মানবতাবোধ ও নৈতিক আদর্শের শিক্ষা।
• এই উক্তিটি মূলত মানুষকে কর্মমুখী জীবন গঠনের পরামর্শ দেয়—যেখানে অলসতা নয়, চেষ্টা-পরিশ্রমই জীবনের সাফল্যের মূল ভিত্তি।
• ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অন্যান্য জনপ্রিয় রচনার মধ্যে আছে ‘ভারতচন্দ্র চরিত’, ‘সংবাদ প্রভাকর’-এ প্রকাশিত সামাজিক কবিতা ও ব্যঙ্গাত্মক পদ্য।
• তাঁর রচনাশৈলীতে একদিকে যেমন সহজ-সরল শব্দপ্রয়োগ আছে, অন্যদিকে গভীর ভাবার্থে ভরা জীবনদর্শনও প্রকাশ পেয়েছে।
• ‘চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা’ বাক্যটি তাঁর সেই জীবনদর্শনেরই প্রতিফলন, যেখানে কর্মই মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যায়।
• আজও এই উক্তিটি জীবনের প্রেরণাসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভর ও অধ্যবসায়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
সবশেষে বলা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের এই উক্তি শুধু সাহিত্য নয়, জীবনদর্শনের এক চিরন্তন বাণী—যা শেখায় যে সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি হলো নিরলস চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম।
0
Updated: 1 day ago
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ছদ্মনাম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বীরবল
B
যাযাবর
C
ভ্রমণকারী বন্ধু
D
দৃষ্টিহীন
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত:
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন একজন কবি ও সাংবাদিক।
-
তিনি ১২১৮ বঙ্গাব্দের ২৫ ফাল্গুন (মার্চ ১৮১২) পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনার কাঞ্চনপল্লী বা কাঁচড়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি যুগসন্ধির কবি হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের মিলনকারী কবি।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’।
-
সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার মধ্যযুগীয় ছিল।
-
তাঁর রচনার বিশেষত্ব হলো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন।
-
১৮৩১ সালে এটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
-
-
তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার ও প্রকাশ।
-
সংবাদ প্রভাকরের পাশাপাশি তিনি সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
অন্য কবি ও তাঁদের ছদ্মনাম:
-
প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম: বীরবল
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম: যাযাবর
-
মধুসূদন মজুমদারের ছদ্মনাম: দৃষ্টিহীন
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ব্যবহৃত ছদ্মনাম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ক্বচিৎ প্রৌঢ়
B
ভ্রমণকারী বন্ধু
C
যুগসন্ধির কবি
D
কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক, জন্ম ১৮১২ সালে শিয়ালডাঙ্গা, কাঁচড়াপাড়া, পশ্চিমবঙ্গে।
-
তিনি ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’ ছদ্মনামে লেখালিখি করতেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি যুগসন্ধির কবি নামে পরিচিত—মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের মিলন ঘটিয়েছেন।
-
সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিল মধ্যযুগীয়।
-
তাঁর রচনার বিশেষত্ব হলো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।
-
সাংবাদিকতা
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন।
-
১৮৩১ সালে এটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
-
১৮৩৯ সাল থেকে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
-
অন্যান্য সম্পাদিত পত্রিকা: সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন, সংবাদ সাধুরঞ্জন।
সাহিত্যকীর্তি
-
কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার ও প্রকাশ তাঁর অন্যতম কীর্তি।
-
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
-
রামপ্রসাদ সেন কৃত কালীকীর্তন
-
কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ও তাঁর জীবনবৃত্তান্ত
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কাব্যসংগ্রহ
-
কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন সম্পাদিত সংগ্রহ
-
মণিকৃষ্ণ গুপ্ত সম্পাদিত সংগ্রহ
-
অন্যান্য তথ্য
-
‘যুগসন্ধির কবি’ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের উপাধি; এটি তাঁর ছদ্মনাম নয়।
-
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম: ক্বচিৎ প্রৌঢ়
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছদ্মনাম: কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পৈত্রিক পদবি কী?
Created: 1 month ago
A
ভট্টাচার্য
B
শর্মা
C
বিদ্যাসাগর
D
বন্দ্যোপাধ্যায়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী। তিনি বাংলা সমাজ ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
-
তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর পৈত্রিক পদবি ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়, পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
-
তিনি ‘ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা’ নামে স্বাক্ষরও করতেন।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’।
বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস।
-
শিক্ষামূলক গ্রন্থ: আখ্যান মঞ্জুরী, বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, কথামালা।
0
Updated: 1 month ago