রেস্তোরাঁ কোন ভাষার শব্দ?
A
ইংরেজি
B
জার্মান
C
ফরাসি
D
ল্যাটিন
উত্তরের বিবরণ
‘রেস্তোরাঁ’ শব্দটি এসেছে ফরাসি ভাষা থেকে। এটি এমন একটি স্থানকে বোঝায় যেখানে মানুষ খাবার খেতে যায়, অর্থাৎ এটি আধুনিক খাদ্য পরিবেশন ব্যবস্থার প্রতীক। ফরাসি ভাষা থেকে বাংলায় অনেক শব্দ এসেছে যেগুলো দৈনন্দিন ব্যবহারে মিশে গেছে এবং আমরা সেগুলোর বিদেশি উৎস প্রায়ই ভুলে যাই। রেস্তোরাঁ তার অন্যতম উদাহরণ।
বাংলা ভাষা ইতিহাসে দেখা যায়, পারসিক, আরবি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি—এই সব ভাষা থেকে বহু শব্দ ধার করা হয়েছে। ফরাসি শব্দগুলো সাধারণত উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির সময় বাংলায় প্রবেশ করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো—
-
রেস্তোরাঁ শব্দের উৎপত্তি: ফরাসি শব্দ “restaurant” থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘refresh’ বা ‘পুনরুজ্জীবিত করা’। ১৮শ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম ‘restaurant’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় এমন জায়গার জন্য যেখানে মানুষ বসে খাবার খেতে পারত।
-
বাংলায় এর ব্যবহার: উপনিবেশিক যুগে ইউরোপীয় প্রভাবের মাধ্যমে ‘restaurant’ শব্দটি বাংলায় প্রবেশ করে এবং এর বাংলা রূপ হয় ‘রেস্তোরাঁ’। বর্তমানে এটি মানক বাংলা অভিধানে স্বীকৃত একটি শব্দ।
-
ফরাসি উৎসের আরও কিছু বাংলা শব্দ:
-
কার্তুজ (Cartouche): বন্দুকের গুলির আবরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
কুপন (Coupon): ছাড় বা সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত টিকিট বা কাগজ।
-
ডিপো (Dépôt): সংরক্ষণাগার বা পণ্য রাখার স্থান।
-
গ্যারেজ (Garage): গাড়ি রাখার ঘর বা স্থান।
-
রেস্তোরাঁ (Restaurant): খাবারের স্থান।
-
-
বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের গ্রহণযোগ্যতা: বাংলা ভাষা একটি সমৃদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য ভাষা। এটি বিদেশি শব্দকে সহজভাবে নিজের ভাণ্ডারে গ্রহণ করেছে। ফরাসি শব্দগুলো সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বা শহুরে জীবনধারা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন—“কুপন দেওয়া হচ্ছে”, “ডিপোতে রাখা হয়েছে”, “রেস্তোরাঁয় যাই” ইত্যাদি।
-
ভাষাগত প্রভাবের কারণ: ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ এবং ফরাসি ব্যবসায়ীরা ভারতবর্ষে বাণিজ্য ও প্রশাসনিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই সময়েই অনেক ফরাসি শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পায়।
-
ফরাসি শব্দের উচ্চারণ পরিবর্তন: বাংলা ভাষাভাষীরা উচ্চারণের সুবিধার জন্য অনেক ফরাসি শব্দের উচ্চারণ ও বানান পরিবর্তন করেছেন। যেমন—“restaurant” → “রেস্তোরাঁ”, “garage” → “গ্যারেজ”, “coupon” → “কুপন”।
এইভাবে দেখা যায়, রেস্তোরাঁ শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে আগত একটি বাংলা শব্দ, যা এখন সম্পূর্ণভাবে বাংলা সংস্কৃতি ও সমাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাবের প্রতিফলন।
অতএব, রেস্তোরাঁ শব্দের উৎস হলো ফরাসি ভাষা, এবং একই উৎস থেকে কার্তুজ, কুপন ও ডিপো শব্দগুলিও বাংলায় এসেছে।
0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন শব্দে ‘ণ’ এর ব্যবহার অশুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
ব্যাকরণ
B
দুর্ণিবার
C
উষ্ণ
D
উষ্ণ
• ‘ণ’ এর ব্যবহার অশুদ্ধ - দুর্ণিবার।
• সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না।
- এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়।
- যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়।
যেমন:
- ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
'চাকর' কোন ভাষার শব্দ?
Created: 1 month ago
A
বাংলা
B
চীনা
C
ফারসি
D
আরবি
চাকর
-
শব্দের উৎস: ফারসি ভাষা
-
পদভেদ: বিশেষ্য
-
অর্থ:
-
পরিচারক
-
কর্মচারী
-
ফারসি থেকে বাংলা ভাষায় আগত কিছু শব্দ
-
গ্রেপ্তারি, গ্রেফতার, দারোগা, দারোয়ান, সাদা, খরগোশ, কাজি, খোয়াব, চেহারা, কাগজ, চশমা, চাকর ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
'উলুবনে মুক্ত ছড়ানাে' প্রচলিত এমন শব্দগুচ্ছকে বলে-
Created: 1 month ago
A
প্রবাদ-প্রবচন
B
এককথায় প্রকাশ
C
ভাবসম্প্রসারণ
D
বাক্য সংকোচন
প্রবাদ-প্রবচন হলো এমন সংক্ষিপ্ত উক্তি যা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত গভীর জীবনসত্যকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেয়। এই ধরনের উক্তি সাধারণত সামাজিক বা নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান উদাহরণগুলো হলো:
-
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ – বেশি অনুগত্য দেখানো সন্দেহজনক।
-
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো – অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা।
-
ধর্মের কল বাতাসে নাড়ে – গোপন অন্যায়ের আকস্মিক প্রকাশ।
-
লঘু পাপে গুরু দণ্ড – অপরাধের তুলনায় অধিক সাজা।
-
গরিবের ঘোড়া রোগ – অক্ষমের অতিরিক্ত প্রত্যাশা।
0
Updated: 1 month ago