জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় –
A
২৩ মার্চ ১৯৭১
B
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
C
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭
D
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
উত্তরের বিবরণ
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং তার পরের দিন অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে রেইসকোর্স ময়দানে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি প্রদান করেন তোফায়েল আহমেদ।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 23 hours ago
"আমার দেখা নয়াচীন” কে লিখেছেন?
Created: 5 months ago
A
মওলানা ভাসানী
B
আবুল ফজল
C
শহীদুল্লা কায়সার
D
শেখ মুজিবুর রহমান
সাধারণ জ্ঞান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বধীনতা
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা
'আমার দেখা নয়াচীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোক লেখা একটি ডায়েরির পুস্তকি রূপ। এটি শেখ মুজিবর রহমান রচিত তৃতীয় গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর প্রথম বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী, দ্বিতীয় বইটি কারাগারের রোজনামচা।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 months ago
‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ কার আত্মকথা?
Created: 1 week ago
A
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক
B
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
C
শেখ মুজিবুর রহমান
D
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' খেতাবে ভূষিত করা হয় কত তারিখে?
Created: 1 week ago
A
২৩-২-১৯৬৯ খ্রি.
B
০৭-০৩-১৯৭২ খ্রি.
C
২৫-০৩-১৯৭১ খ্রি.
D
১০-১০-১৯৭১ খ্রি.
বাংলার ইতিহাসে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনতার উচ্ছ্বাস এবং স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্দীপ্ত বাংলার মানুষ এই উপাধি দেন তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে।
এই উপাধি ঘোষণার পেছনে ছিল এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও আবেগঘন মুহূর্ত, যা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
– শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৮ সালে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করে বিচার শুরু করে।
– দেশব্যাপী আন্দোলন ও ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে তীব্র গণআন্দোলনের ফলে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি সরকার বাধ্য হয় শেখ মুজিবসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে।
– শেখ মুজিবের মুক্তির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে লাখো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
– সেই সভায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
– ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের অর্থ হলো “বাংলার বন্ধু” — অর্থাৎ যিনি বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, অধিকার ও মুক্তির সংগ্রামে আজীবন নিবেদিত।
– এই উপাধি শুধু একটি নাম নয়, বরং এটি হয়ে ওঠে বাংলা জাতীয় চেতনার প্রতীক, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে প্রেরণা জুগিয়েছে।
– ওই সভার পর থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ সর্বজনীনভাবে ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে সম্বোধন করতে শুরু করে, এবং এই নামটি তাঁর নেতৃত্বের পরিচায়ক হয়ে ওঠে।
– এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক, যার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরবর্তীতে স্বাধীনতা অর্জন করে।
– বঙ্গবন্ধুর এই উপাধি কেবল রাজনৈতিক স্বীকৃতি নয়, বরং এটি ছিল বাংলার জনমানুষের অন্তরের আর্তি, তাঁদের নেতা ও মুক্তির দিশারীর প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
অতএব, শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে, যা বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক দিন হিসেবে স্থান পেয়েছে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago