উত্তর: গ) অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স
এই উত্তরটি সঠিক কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স হল দেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ শুরু হলেও বেসরকারি বিমান পরিবহন এখনও সীমিত ছিল। সরকারি বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও বেসরকারি বিমান সংস্থার কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও বাণিজ্যিক যোগাযোগে নতুন দিগন্ত খোলা হয়।
অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯০-এর দিকে। এটি ছিল এক স্বতন্ত্র উদ্যোগ, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়িক যাত্রী উভয়ের জন্য আকাশপথে যাত্রার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এই সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। সরকারি বিমান সংস্থার তুলনায় এটি যাত্রীসেবা, সময়সূচি এবং ভ্রমণ সহজতার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে।
অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান তৈরি হয়:
- 
বেসরকারি খাতের উন্মুক্ত আকাশপথ: সরকারি বিমান সংস্থা ছাড়া বেসরকারি সংস্থা যাত্রা শুরু করার ফলে যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হয়। 
- 
দেশের অভ্যন্তরীণ সংযোগ বৃদ্ধি: ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট ব্যবস্থা চালু করা হয়। 
- 
যাত্রীসেবায় আধুনিকীকরণ: বেসরকারি সংস্থা হিসেবে অ্যারোবেঙ্গল যাত্রীসেবায় নতুন মানদণ্ড প্রবর্তন করে, যেটি পরবর্তীতে অন্যান্য বেসরকারি বিমান সংস্থার জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। 
- 
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা: বেসরকারি বিমান সংস্থা চালু হওয়ায় ভ্রমণ সহজ ও দ্রুত হয়, যা ব্যবসা ও বাণিজ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 
বাংলাদেশে অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স প্রথম বেসরকারি সংস্থা হলেও পরবর্তীতে জিএমজি এয়ারলাইন্স, নভো এয়ার এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের মতো আরও সংস্থা দেশীয় বেসরকারি বিমান খাতে প্রবেশ করে। তবে প্রথম সংস্থা হিসেবে অ্যারোবেঙ্গল ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয়।
এটি শুধু বেসরকারি খাতের নতুন সূচনা নয়, বরং বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতের বিকাশের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। সংস্থার কার্যক্রম দেশের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। তাই, প্রশ্নের সঠিক উত্তর গ) অ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স, কারণ এটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে।
