ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ কি?
A
উচ্চ রক্তচাপ
B
অনেক জ্বর
C
মাড়িতে রক্তক্ষরণ
D
খিচুনি ধরা
উত্তরের বিবরণ
ইবোলা ভাইরাস একটি মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঙ্গকে আক্রান্ত করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রথম দিকে যে লক্ষণটি স্পষ্টভাবে দেখা যায় তা হলো অনেক জ্বর। এটি রোগের প্রাথমিক ও সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ। নিচে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও লক্ষণ সম্পর্কিত মূল তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
• ইবোলা ভাইরাসের উৎস সাধারণত আফ্রিকার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে পাওয়া ফলখেকো বাদুড় ও কিছু বন্য প্রাণীর দেহে। এসব প্রাণীর সংস্পর্শে আসা বা সংক্রমিত ব্যক্তির দেহতরলের সংস্পর্শে এলে মানুষ আক্রান্ত হয়।
• প্রথম লক্ষণ হিসেবে রোগী সাধারণত ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে অনেক জ্বরে আক্রান্ত হয়। এই জ্বরটি উচ্চমাত্রার হয় এবং সঙ্গে থাকে মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা।
• জ্বরের পাশাপাশি রোগী অতিরিক্ত দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, ও মাথা ঘোরা অনুভব করে। এগুলো ভাইরাসের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক সংকেত।
• রোগের অগ্রগতিতে বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ও চোখে লালভাব দেখা দেয়। অনেক সময় শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণও হতে পারে।
• তবে রক্তক্ষরণ বা অন্যান্য জটিল লক্ষণ সাধারণত পরবর্তী ধাপে দেখা দেয়; শুরুতে শুধুমাত্র জ্বর ও ক্লান্তি-ই প্রধান উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।
• ইবোলা ভাইরাস শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে ফেলে, ফলে রোগী দ্রুত সংক্রমণ ও অঙ্গ বিকলের ঝুঁকিতে পড়ে।
• এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় এখনো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল গ্রহণ এবং উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়ে।
• সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির দেহতরল, কাপড়চোপড় বা ব্যবহৃত সামগ্রী থেকে দূরে থাকা জরুরি। চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষিত পোশাক ও গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত।
• ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৭৬ সালে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে, এবং তখন থেকেই এটি একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে।
সব মিলিয়ে, ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক ও সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো অনেক জ্বর, যা পরে অন্যান্য জটিল উপসর্গে রূপ নিতে পারে যদি দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া হয়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
HIV ভাইরাস প্রধানত কোন রক্ত কণিকাকে আক্রমণ করে?
Created: 1 month ago
A
প্লেটলেট
B
লোহিত কণিকা
C
B-লিম্ফোসাইট
D
T-লিম্ফোসাইট
এইডস (AIDS) একটি সংক্রামক রোগ, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে এবং সারা বিশ্বে ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগটি প্রথম ১৯৮১ সালে আমেরিকায় চিহ্নিত হয় এবং তখন থেকেই এটি একটি মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আফ্রিকার কিছু দেশ এই রোগের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত।
- 
এইডস (AIDS) হলো একটি সংক্রামক রোগ যা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 
- 
১৯৮১ সালে আমেরিকায় প্রথমবার এটি চিহ্নিত হয়। 
- 
আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। 
- 
মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, যা ইমিউনিটি নামে পরিচিত। 
- 
HIV (Human Immuno Deficiency Virus) ভাইরাস হলো এইডসের মূল কারণ। এটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। 
- 
HIV শরীরে প্রবেশের পর T-লিম্ফোসাইট (শ্বেত রক্তকণিকা) আক্রমণ করে, যার ফলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। 
- 
HIV সংক্রমণের পর প্রথম ৫ বছরের মধ্যে শরীরে সাধারণত কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না, কিন্তু এই সময়েই রোগটি অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে। 
- 
সংক্রমণ প্রধানত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে, এছাড়া মায়ের বুকের দুধ, রক্ত সঞ্চালন, বা ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সিরিঞ্জ ব্যবহার থেকেও হতে পারে। 
- 
AIDS প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো HIV সংক্রমণের উপায় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক –
Created: 1 week ago
A
কিউলেক্স মশা
B
এনোফিলিস মশা
C
এডিস মশা
D
পুরুষ মশা
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক হলো এডিস মশা, বিশেষ করে এডিস এজিপ্টাই প্রজাতির মশা। এই মশা দিনের বেলা কামড়ায় এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
সম্প্রতি বাংলাদেশে কোন বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীন সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?
Created: 1 week ago
A
এ্যানথ্রাক্স
B
ট্রিম্যান
C
চিকন গুনিয়া
D
ল্যাসা জ্বর
সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যার নাম 'ট্রি-ম্যান সিনড্রোম'। এই রোগের বৈজ্ঞানিক নাম এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরাসিফরমিস। এটি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস HPV) দ্বারা সৃষ্ট একটি বিরল চর্মরোগ, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা গাছের শিকড়ের মতো দেখতে হয়। বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এবং বাংলাদেশে এমন একজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে । তাই সঠিক উত্তর হলো: খ) ট্রিম্যান।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago