বাংলাদেশে নদের সংখ্যা কয়টি ?
A
১ টি
B
২টি
C
৩ টি
D
৪ টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে নদ-নদীর বৈচিত্র্য অনেক, তবে প্রধান নদ ব্যবস্থার দিক থেকে দেশে চারটি নদ ব্যবস্থা বা নদ বলা হয়। এ চারটি নদ বাংলাদেশের ভৌগোলিক গঠন, কৃষি, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• বাংলাদেশে প্রধান নদ সংখ্যা চারটি। এগুলো হলো— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। এই চারটি নদ বাংলাদেশের প্রধান জলধারা, যেগুলো দেশজুড়ে বিস্তৃত জলপ্রবাহ সৃষ্টি করেছে।
• ব্রহ্মপুত্র নদ মূলত তিব্বতের হিমালয় অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতে প্রবেশ করে, পরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করার পর এটি যমুনা নামে পরিচিত।
• যমুনা নদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদ। এটি উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে দেশের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়। যমুনা নদ বাংলাদেশের বন্যা ও পলি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
• পদ্মা নদ ভারতের হিমালয় থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর একটি শাখা, যা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনা ও মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এটি দেশের অন্যতম প্রশস্ত ও প্রবল স্রোতের নদ।
• মেঘনা নদ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলনে গঠিত। মেঘনা নদ বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মূল জলধারা হিসেবে কাজ করে।
• এই চারটি নদ মিলে বাংলাদেশের নদ-ব্যবস্থা গঠন করেছে। ছোট-বড় শাখা নদী, খাল, বিল ও উপনদী মিলিয়ে নদীর সংখ্যা হাজারেরও বেশি হলেও মূল নদ সংখ্যা চারটি হিসেবেই গণ্য করা হয়, কারণ এরা বাংলাদেশের জলপ্রবাহের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
• বাংলাদেশের মোট নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বলে ধরা হয়, তবে ভৌগোলিকভাবে এরা চারটি প্রধান নদ ব্যবস্থার অধীন— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র।
• এই চার নদ বাংলাদেশের অর্থনীতি, কৃষি, পরিবহন ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব রেখেছে। তাদের অববাহিকা অঞ্চলে কৃষিকাজের জন্য উর্বর মাটি তৈরি হয় এবং জলসম্পদ দেশের জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে।
• নদীগুলোর মিলনস্থলে বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি সমতল ও পলি সমৃদ্ধ, যা নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিচয়কে তুলে ধরে।
অতএব, বাংলাদেশের প্রধান নদ সংখ্যা ৪টি, এবং এরা হলো— পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
'সাঙ্গু' নদী কোথায়?
Created: 6 days ago
A
সিলেট
B
জামালপুর
C
বান্দরবান
D
ফরিদপুর
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 6 days ago
কালনা সেতু কোন নদীর উপর অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
যমুনা নদী
B
আত্রাই নদী
C
করতোয়া নদী
D
মধুমতী নদী
কালনা সেতু (মধুমতী সেতু)
- 
প্রথম ৬ লেনবিশিষ্ট সেতু হিসেবে পরিচিত। 
- 
দৈর্ঘ্য: ৬৯০ মিটার, প্রস্থ: ২৭.১০ মিটার। 
- 
উভয় পাশে সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৪.২৭৩ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০.৫০ মিটার। 
- 
সেতুর মধ্যখানে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্প্যান বসানো হয়েছে। 
- 
নির্মাণ ব্যয় ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা, সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাইকার অর্থায়নে সম্পন্ন। 
- 
ভৌগোলিক গুরুত্ব: নড়াইল, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করছে। 
- 
নকশা: নিয়েলসন-লোহসে আর্চ ডিজাইন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যার বৈশিষ্ট্য হলো ইস্পাতনির্মিত খিলান সুপারস্ট্রাকচার, যা সেতুকে দৃঢ় ও দৃষ্টিনন্দন রূপ দেয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
কুশিয়ারা ও সুরমা নদী মিলিত হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
চিলমারি
B
গোয়ালন্দ
C
আজমিরীগঞ্জ
D
চাঁদপুর
গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের মিলিত স্থান:
- 
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা: ভৈরব বাজার। 
- 
হালদা ও কর্ণফুলী: কালুরঘাট, চট্টগ্রাম। 
- 
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র: চিলমারি, কুড়িগ্রাম। 
- 
পদ্মা ও যমুনা: গোয়ালন্দ, রাজবাড়ি। 
- 
পদ্মা ও মেঘনা: চাঁদপুর। 
- 
কুশিয়ারা ও সুরমা: আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago