বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান কত?
A
২২%
B
২০.৯%
C
৩৩%
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অক্সিজেনই হলো জীবজগতের শ্বাসপ্রশ্বাসের মূল উপাদান। সাধারণভাবে মনে করা হয় যে বাতাসে প্রায় ২১% অক্সিজেন থাকে, কিন্তু এখানে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর কোনোটিই সঠিকভাবে সেই মান প্রকাশ করছে না। তাই সঠিক উত্তর হলো ঘ) কোনটিই নয়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
• বায়ুর উপাদানসমূহ: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন (প্রায় ৭৮%), এরপর অক্সিজেন (২০.৯৫%), এবং সামান্য পরিমাণে থাকে আর্গন (০.৯৩%), কার্বন ডাই-অক্সাইড (০.০৪%), ও অন্যান্য গ্যাস যেমন নিয়ন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, ও হাইড্রোজেন ইত্যাদি।
• অক্সিজেনের প্রকৃত পরিমাণ: বায়ুতে অক্সিজেনের গড় অনুপাত ২০.৯৫%, অর্থাৎ প্রায় ২১%। কিন্তু প্রশ্নে দেওয়া বিকল্পগুলোর মধ্যে ২০.৯% উল্লেখ করা হলেও সেটি সঠিকভাবে বায়ুর গঠন বোঝাতে যথেষ্ট নয়, কারণ শতকরা হিসাবটি গড় মান হিসেবে ২০.৯৫%—যা রাউন্ড ফিগারে ২১% বলা হয়। প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে কোনোটিই এই মানের সাথে পুরোপুরি মিলে না।
• অক্সিজেনের ভূমিকা: এটি মানুষের ও প্রাণীর শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যবহার হয়। উদ্ভিদ ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপন্ন করে, যা পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষা করে। অক্সিজেন ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব।
• বায়ুমণ্ডলের স্তরে অক্সিজেনের পরিবর্তন: উচ্চতায় উঠলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়, ফলে অক্সিজেনের উপস্থিতিও কমে। এজন্য পর্বতারোহীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করে।
• অক্সিজেনের পরিমাণের তারতম্য: শহর ও গ্রামাঞ্চলের বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। শিল্প এলাকা বা দূষিত পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
• বৈজ্ঞানিক পরিমাপ: বিজ্ঞানীরা বায়ুর উপাদান নির্ধারণে গ্যাস অ্যানালাইজার ও স্পেকট্রোস্কপি ব্যবহার করেন। এসব গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুতে অক্সিজেনের গড় ঘনত্ব সর্বদা প্রায় ২০.৯৫% থাকে।
• উপসংহার: প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ২০.৯% থাকলেও তা পূর্ণমাত্রায় সঠিক নয়, কারণ প্রকৃত পরিমাণ ২০.৯৫%। তাই এখানে সবচেয়ে যথাযথ উত্তর হবে ঘ) কোনটিই নয়, যা বাস্তব পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিল রাখে।
অতএব, বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ ২০.৯৫%, তবে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে কোনোটিই এই মানের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই সঠিক উত্তর হলো ঘ) কোনটিই নয়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 1 month ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
- 
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। 
- 
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর। 
খ) তাপমাত্রা:
- 
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়। 
- 
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল। 
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
- 
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়। 
ঘ) সূর্যালোক:
- 
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। 
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
- 
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
- 
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া। 
- 
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়। 
- 
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন। 
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
- 
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়। 
- 
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর। 
- 
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়। 
গ) পিএইচ (pH):
- 
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল। 
- 
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়। 
- 
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়। 
- 
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। 
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
- 
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে। 
- 
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে। 
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য কোনটি আবশ্যক নয়?
Created: 1 month ago
A
সূর্যালোক
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
পানি
D
অক্সিজেন
সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis):
- 
সংজ্ঞা: 
 সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে উদ্ভিদ, শৈবাল ও কিছু ব্যাকটেরিয়া সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানি (H₂O) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) ব্যবহার করে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) এবং অক্সিজেন (O₂) উৎপন্ন করে।- 
অক্সিজেন এখানে খাদ্য তৈরির জন্য নয়, বরং এটি একটি উপজাত/by-product। 
 
- 
- 
প্রক্রিয়া ও স্থান: - 
এটি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। 
- 
উদ্ভিদের প্লাস্টিডে সংঘটিত হয়। 
- 
পাতার মেসোফিল টিস্যু প্রধান স্থান। 
 
- 
- 
প্রয়োজনীয় উপাদান: - 
সূর্যালোক 
- 
ক্লোরোফিল 
- 
পানি 
- 
কার্বন ডাই-অক্সাইড 
 
- 
- 
ফলাফল: - 
খাদ্য (গ্লুকোজ) উৎপন্ন করে 
- 
অক্সিজেন ও পানি তৈরি হয় 
- 
এটি একটি জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া, যেখানে পানি জারিত হয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বিজারিত হয় 
 
- 
- 
অন্যান্য তথ্য: - 
জলজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণের হার স্থলজ উদ্ভিদ থেকে বেশি। 
- 
লাল আলোতে সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি হয়। 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago