বাংলাদেশরর সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক উপাধি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ কতজনকে দেয়া হয়েছে ?
A
১১ জন
B
১৬ জন
C
৭ জন
D
৩ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য যোদ্ধাদের যে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করা হয় তা হলো ‘বীরশ্রেষ্ঠ’। এই উপাধি দেওয়া হয় সেইসব বীর সন্তানদের, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে মোট ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এই সম্মান পেয়েছেন, যা তাদের আত্মত্যাগকে জাতির শ্রদ্ধার প্রতীক করে তুলেছে।
• বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল – তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হন। ছিলেন ইপিআর (East Pakistan Rifles)-এর সদস্য।
• বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান – মৌলভীবাজার জেলার শমসনগরে যুদ্ধের সময় তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার বীরত্ব দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়।
• বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন – তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তার জাহাজে আক্রমণ হলে তিনি প্রাণ হারান, কিন্তু দেশের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন।
• বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান – তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি শত্রু বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আসার চেষ্টা করেন এবং জীবন উৎসর্গ করেন।
• বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ – যশোর জেলার মহম্মদপুরের এই সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের সময় শত্রুদের মোকাবিলা করতে গিয়ে বীরের মতো শহীদ হন।
• বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ – রাঙামাটির বরকল এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হন।
• বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর সীমান্তে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হন।
এই সাতজন শহীদের প্রত্যেকেই দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাদের নামেই বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যালয়, সড়ক, বিমান ঘাঁটি, জাহাজ ও স্মৃতিস্তম্ভের নামকরণ করা হয়েছে।
• ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি ১৯৭৩ সালে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়।
• এই উপাধির পাশাপাশি আরও তিনটি বীরত্বসূচক উপাধি রয়েছে— বীর উত্তম, বীর বিক্রম, এবং বীর প্রতীক।
• এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও অবদানের মাত্রা অনুযায়ী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এই সাতজন বীরের নাম উচ্চারণ মানেই এক অনন্য গর্ব ও শ্রদ্ধা। তাদের ত্যাগেই অর্জিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ, আর তাই বীরশ্রেষ্ঠরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে চির অমর।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
- 
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 
- 
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। 
- 
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। 
- 
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। 
- 
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। 
- 
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর। 
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 months ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
লুসাই
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
চাকমা / কার্পাস বিদ্রোহ
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী
- 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন। 
- 
বিভাগভিত্তিক অবস্থান: - 
চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাস করে (৬০.০৪%)। 
- 
বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (০.২৫%)। 
 
- 
- 
বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: চাকমা (৪,৮৩,৩৬৫ জন)। 
- 
অন্যান্য প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: - 
মারমা: ২,২৪,২৯৯ জন 
- 
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০ জন 
- 
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬ জন 
- 
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮ জন 
- 
গারো: ৭৬,৮৫৪ জন 
 
- 
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন বিভাগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম?
Created: 2 months ago
A
রংপুর
B
সিলেট
C
খুলনা
D
রাজশাহী
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ইন্টারনেট ব্যবহার
- 
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী (৫ বছর ও তদূর্ধ্ব): - 
মোট ব্যবহারকারী: ৩০.৬৯% 
- 
পুরুষ ব্যবহারকারী: ৩৮.০৪% 
- 
নারী ব্যবহারকারী: ২৩.৫২% 
 
- 
- 
বিভাগভিত্তিক ব্যবহার: - 
ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক: ৪০.৪২% 
- 
রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন: ২৩.৫২% 
 
- 
- 
শহর ও গ্রাম: - 
শহরে: ৪১.৩০% 
- 
গ্রামে: ২৫.৭৩% 
 
- 
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago