বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ঔষধ রপ্তানি হয় কোন দেশে?
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
মিয়ানমার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত ওষুধ এখন শুধু দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে না, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি মানসম্মত ওষুধ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে জনপ্রিয়। এর মধ্যে মিয়ানমার হলো সেই দেশ যেখানে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঔষধ রপ্তানি করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ঔষধ রপ্তানির কারণ ও সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো—
• মিয়ানমার বাংলাদেশের অন্যতম বড় ফার্মাসিউটিক্যাল বাজার। ভৌগোলিকভাবে প্রতিবেশী হওয়ায় রপ্তানি পরিবহন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম, ফলে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো সহজেই এই বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
• বাংলাদেশের ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি যেমন বেক্সিমকো, স্কয়ার, ইনসেপ্টা, রেনেটা, অপসনিন ইত্যাদি বিশ্বমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে। এসব কোম্পানির ওষুধ মিয়ানমারে চিকিৎসা সেক্টরে বিশেষ জনপ্রিয়।
• রপ্তানিকৃত ওষুধের ধরন বৈচিত্র্যময়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, পেইন কিলার, ভিটামিন, ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন এবং জীবনরক্ষাকারী ওষুধ। বিশেষত মিয়ানমারে সাধারণ রোগব্যাধির জন্য ব্যবহৃত এসব ওষুধের চাহিদা বেশি।
• বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের ইতিহাস উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী। স্বাধীনতার পর থেকে সরকার এই খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছে। ১৯৮২ সালের ‘ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স’ ঔষধ শিল্পকে নতুন গতি দেয়, যার ফলস্বরূপ দেশ এখন ১৫০টিরও বেশি দেশে ঔষধ রপ্তানি করে।
• মিয়ানমারের বাজারে বাংলাদেশের ঔষধের সুনাম উচ্চ। মানসম্পন্ন প্যাকেজিং, কম দাম ও কার্যকারিতার কারণে স্থানীয় ফার্মেসি ও হাসপাতালগুলো বাংলাদেশি ওষুধকে অগ্রাধিকার দেয়।
• বাংলাদেশের অন্যান্য রপ্তানি বাজারের তুলনা: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে ঔষধ রপ্তানি তুলনামূলকভাবে কম, কারণ এসব দেশে কঠোর ও দীর্ঘ অনুমোদন প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও প্রবেশ করছে। কিন্তু পরিমাণগত দিক থেকে এখনো মিয়ানমারই শীর্ষস্থানে রয়েছে।
• রপ্তানি বৃদ্ধির প্রভাব: এই রপ্তানি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে এবং দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও শক্তিশালী করছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানির প্রধান গন্তব্য, যেখানে প্রতিবেশী সম্পর্ক, কম খরচ, উচ্চমান এবং সহজ পরিবহন ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো সফলভাবে নিজেদের বাজার তৈরি করেছে।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
নিম্নোক্ত কোন দেশটি 'Five Eyes' ভুক্ত নয়?
Created: 2 weeks ago
A
অস্ট্রেলিয়া
B
ফ্রান্স
C
নিউজিল্যান্ড
D
কানাডা
‘Five Eyes’ হলো একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোট, যার সদস্য নয় ফ্রান্স। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা এই জোটের অন্তর্ভুক্ত।
Five Eyes
- 
এটি একটি ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্স, সংক্ষেপে FVEY নামে পরিচিত। 
- 
সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড। 
- 
এর ভিত্তি UKUSA চুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। 
- 
সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও সমন্বিত নিরাপত্তা কার্যক্রমে অংশ নেয়। 
- 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তারা পারস্পরিক নিরাপত্তা ও তথ্য সহযোগিতায় যুক্ত রয়েছে। 
- 
তারা সন্ত্রাসবাদ, সাইবার হুমকি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে যৌথভাবে তথ্য শেয়ার করে। 
UKUSA চুক্তি
- 
১৯৪৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে প্রথমে BRUSA চুক্তি গঠন করে। 
- 
পরবর্তীতে এটি UKUSA চুক্তি নামে আনুষ্ঠানিক রূপ পায়। 
- 
এই চুক্তি থেকেই Five Eyes দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের কাঠামো তৈরি হয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স- ২০২৫ অনুযায়ী, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ দেশ?
Created: 3 weeks ago
A
জেনেভা
B
মেলবোর্ন
C
জুরিখ
D
কোপেনহেগেন
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ প্রতি বছর ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU) দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর অবস্থান মূল্যায়ন করে। এই তালিকায় মোট ১৭৩টি শহরের পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করা হয়, যা হলো স্থিতিশীলতা (Stability), স্বাস্থ্যসেবা (Healthcare), সংস্কৃতি ও পরিবেশ (Culture & Environment), শিক্ষা (Education) এবং অবকাঠামো (Infrastructure)। ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইআইইউ ২০২৫ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে।
• শীর্ষ শহরগুলো হলো: কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (Copenhagen, Denmark), ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া (Vienna, Austria), জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (Zurich, Switzerland), মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া (Melbourne, Australia) এবং জেনেভা, সুইজারল্যান্ড (Geneva, Switzerland)।
• বাংলাদেশের অবস্থান ১৭১ তম।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago
গ্রিনল্যান্ড নিচের কোন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
সুইডেন
B
ডেনমার্ক
C
নরওয়ে
D
ফিনল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ এবং এটি ডেনমার্কের অধীন একটি স্বশাসিত অঞ্চল। ভৌগোলিকভাবে এটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ, তবে অবস্থিত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে, কানাডা ও আইসল্যান্ডের মাঝে। আয়তনে এটি মূল ডেনমার্কের প্রায় ৫০ গুণ বড় এবং এর রাজধানী নুউক।
- গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা এস্কিমো নামে পরিচিত। 
- 
এটি ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের উপনিবেশ ছিল। 
- 
১৯৭৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে, তবে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি এখনো ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে। 
- 
এর প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস এবং বিরল ধাতু, যা বৈদ্যুতিক গাড়ি, বায়ুকল ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago