স্বর্নের খনির জন্য বিখ্যাত স্থান কোনটি ?
A
টোকিও
B
দুবাই
C
জোহানেসবার্গ
D
সৌদি আরর
উত্তরের বিবরণ
স্বর্ণের খনির জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত স্থান হলো জোহানেসবার্গ। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রধান শহর, যা স্বর্ণ উৎপাদনের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। শহরটি একসময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনি কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল এবং এখানকার খনিগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়।
জোহানেসবার্গকে স্বর্ণখনির রাজধানী বলা হয় কারণ এর অর্থনীতি, ইতিহাস ও গঠনের সঙ্গে স্বর্ণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নিচে এই সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো—
• জোহানেসবার্গের অবস্থান: এটি দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, গৌতেং প্রদেশের রাজধানী। শহরটি সাগর থেকে দূরে হলেও ভূগর্ভস্থ স্বর্ণভাণ্ডারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• স্বর্ণখনির ইতিহাস: ১৮৮৬ সালে এখানে প্রথমবার স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়। এই আবিষ্কার দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। সেই সময় থেকেই জোহানেসবার্গ দ্রুত একটি সমৃদ্ধ শহরে পরিণত হয়।
• উইটওয়াটারসর্যান্ড (Witwatersrand) অঞ্চল: এই অঞ্চলটিই জোহানেসবার্গের স্বর্ণখনির কেন্দ্র। এখানকার স্বর্ণস্তর প্রায় ৩০ কোটি বছর পুরোনো এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
• অর্থনৈতিক গুরুত্ব: জোহানেসবার্গের অর্থনীতি স্বর্ণখনির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এখানে স্বর্ণ উত্তোলন ছাড়াও খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি এবং খনি-নির্ভর শিল্প ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে।
• বিশ্বে স্বর্ণ উৎপাদনে ভূমিকা: বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৪০% স্বর্ণ দক্ষিণ আফ্রিকার খনিগুলো থেকে আসত। এর বড় অংশই ছিল জোহানেসবার্গ অঞ্চলের খনিগুলো থেকে।
• জোহানেসবার্গের ডাকনাম: একে “City of Gold” বা স্বর্ণনগরী বলা হয়, কারণ শহরটির উত্থান ও সমৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে স্বর্ণখনির ওপর নির্ভরশীল ছিল।
• বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে স্বর্ণ উৎপাদন কিছুটা কমে গেলেও জোহানেসবার্গ এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানকার ঐতিহাসিক খনিগুলো পর্যটনের জন্যও জনপ্রিয় স্থান।
• অন্যান্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
– টোকিও জাপানের রাজধানী, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির জন্য বিখ্যাত, কিন্তু স্বর্ণখনির জন্য নয়।
– দুবাই স্বর্ণ ব্যবসার জন্য পরিচিত হলেও এখানে স্বর্ণ উত্তোলন হয় না; এটি আমদানিকৃত স্বর্ণের বাণিজ্যকেন্দ্র।
– সৌদি আরব তেলের জন্য বিখ্যাত, তবে স্বর্ণখনি তুলনামূলকভাবে সীমিত পরিসরে রয়েছে।
সবদিক বিবেচনায় দেখা যায়, স্বর্ণখনির ইতিহাস, উৎপাদন ও বৈশ্বিক খ্যাতির দিক থেকে জোহানেসবার্গই সঠিক উত্তর।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
চিকনগুনিয়া রোগটি কোন মাধ্যম বাহিত রোগ?
Created: 1 week ago
A
পানিবাহিত
B
পতঙ্গবাহিত
C
বায়ুবাহিত
D
রক্তবাহিত
চিকনগুনিয়া একটি পতঙ্গবাহিত রোগ। এটি প্রধানত এডিস জাতীয় মশার মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতির মাধ্যমে। এই ভাইরাসজনিত রোগে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
বঙ্গবন্ধুর গ্রামটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
মধুমতি
B
বাইগার
C
কুমার
D
ভৈরব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার গ্রামটি মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত। মধুমতি নদী এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা এলাকাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বঙ্গবন্ধুর এই গ্রাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে রেখেছে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
Iodine-131 is a:
Created: 3 weeks ago
A
Stable halogen
B
Radioiodine
C
Inert iodine
D
Iodate compound
Iodine-131 হলো একটি Radioiodine, অর্থাৎ এটি তেজস্ক্রিয় আয়োডিন সমজাতীয় পদার্থ। এটি প্রাকৃতিক আয়োডিনের মতো রাসায়নিকভাবে কাজ করে, তবে এর নিউক্লিয়াস অস্থিতিশীল এবং বিটা ও গামা রশ্মি নিঃসরণ করে। মেডিসিনে Iodine-131 প্রধানত থাইরয়েড রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়, যেমন হাইপারথাইরয়ডিজম বা থাইরয়েড ক্যান্সার। এটি শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থিতে জমা হয় এবং স্থানীয়ভাবে বিকিরণ ছাড়ায় প্রভাবিত কোষ ধ্বংস করে। এজন্য Iodine-131 একটি গুরুত্বপূর্ণ রেডিওনুক্লিয়াইড ও থেরাপিউটিক উপাদান, যা স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সঠিক উত্তর: খ) Radioiodine।
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- 
শরীরের কোন স্থানে ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমার আছে তা তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দ্বারা নির্ণয় করা যায়। 
- 
নিরাময়ের জন্য কোবাল্ট-60 থেকে নির্গত গামা রশ্মি নিক্ষেপ করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা হয়। 
- 
থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত রোগের চিকিৎসায় Iodine-131 ব্যবহার করা হয়। 
- 
রক্তের লিউকেমিয়া রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস-32 এর ফসফেট ব্যবহৃত হয়। 
- 
দেহের হাড় বৃদ্ধি এবং ব্যাথার স্থান ও কারণ নির্ণয়ের জন্য টেকনেশিয়াম-99 আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়। 
- 
ব্রেইন ক্যান্সার নিরাময়ে ইরিডিয়াম আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago