আলোকিত মানুষ তৈরীর কর্মসূচি কোন সংগঠনের?
A
ব্রাক ব্যাংক
B
এশিয়াটিক সোসাইটি
C
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
D
গ্রামীন ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
“আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” বাংলাদেশের একটি অনন্য উদ্যোগ যা সমাজে জ্ঞানচর্চা ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠনের মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। এই কর্মসূচি পরিচালনা করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, যা দেশের অন্যতম প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান।
• বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল বইপড়া, জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো।
• “আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” মূলত এই কেন্দ্রের প্রধান মিশন। এর উদ্দেশ্য হলো এমন নাগরিক তৈরি করা যারা কেবল শিক্ষিত নয়, বরং সচেতন, দায়িত্ববান এবং সমাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন।
• এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করা হয়। এজন্য স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন বইপড়া কার্যক্রম, পাঠচক্র এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
• এই প্রকল্পের অন্যতম স্লোগান হলো “পড়ো বই, গড়ো নিজেকে”, যা তরুণ সমাজে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছে।
• বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বই পাঠাগার (Mobile Library) কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বই পৌঁছে দেয়। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরাও আলোকিত মানুষ তৈরির ধারায় যুক্ত হতে পারে।
• এই কর্মসূচি শুরুতে ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে দেশের প্রায় সব জেলায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে।
• ইউনিলিভার, গ্রামীণফোন, ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
• ২০১৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে “Reading Promotion Award” প্রদান করে, যা তাদের কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
• কেন্দ্রটি কেবল বইপড়া নয়, বরং নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক চেতনা গড়ে তোলার দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
• এ কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে পজিটিভ চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, যা একটি উন্নত ও সচেতন সমাজ গঠনে অপরিহার্য।
অন্যদিকে, ব্রাক ব্যাংক, এশিয়াটিক সোসাইটি, ও গ্রামীণ ব্যাংক নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারা “আলোকিত মানুষ তৈরির কর্মসূচি” পরিচালনা করে না। তাই সঠিক উত্তর হলো — গ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য কোথায়?
Created: 4 days ago
A
ব্রাজিল
B
যুক্তরাজ্য
C
কেনিয়া
D
বাংলাদেশ
উ. বাংলাদেশ
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলো সুন্দরবন, যা বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহনায় গঠিত এক বিশাল ডেল্টা অঞ্চলে বিস্তৃত। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এবং বাকি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।
সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর জোয়ার-ভাটার প্রভাবিত পরিবেশ, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে লোনা পানির সাথে অভিযোজিত হয়ে। এখানে প্রধান উদ্ভিদ হলো সুন্দরী গাছ, যেখান থেকে এই অরণ্যের নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গোলপাতা, গেওয়া, গরান ও পশুর গাছও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
এই বনজ生态তন্ত্র শুধু উদ্ভিদে সমৃদ্ধ নয়, বরং এটি একটি বৈচিত্র্যময় প্রাণিবৈচিত্র্যের আধার। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর, জলচর পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও উভচর প্রাণী। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত (১৯৯৭ সালে)।
বাংলাদেশের জলবায়ু, উপকূলরেখা এবং নদী-মোহনার অবস্থান সুন্দরবনকে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বলয় হিসেবে গড়ে তুলেছে, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি অনেকাংশে কমায়। এটি দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও সংস্কৃতির জন্য অমূল্য সম্পদ।
অতএব, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলো বাংলাদেশের সুন্দরবন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 days ago
জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন?
Created: 1 week ago
A
১৯ তম
B
২৯ তম
C
৩৬ তম
D
৩৯ তম
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিকভাবে বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন।
এটি ছিল জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ, যা বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক মর্যাদা ও স্বাধীন পরিচয়কে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছিল।
- প্রেক্ষাপট: 
 ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই বছরই বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে অংশ নেন এবং বিশ্বনেতাদের সামনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
- 
ভাষণের মূল বার্তা: 
 তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু শান্তি, মানবতা, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা সকল জাতির প্রতি বন্ধুত্ব চাই, কারও প্রতি বৈরিতা নয়।”
- 
গুরুত্ব ও তাৎপর্য: - 
বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই ভাষণ। 
- 
এটি প্রমাণ করে যে, মাতৃভাষাও বিশ্বমঞ্চে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। 
- 
বঙ্গবন্ধুর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। 
 
- 
- 
বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতীকও বটে। এটি বাঙালির আত্মমর্যাদা, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৪/৫ হলে চাকরি না পাওয়ার সম্ভাবনা কত?
Created: 4 days ago
A
১/৫
B
২/৫
C
৩/৫
D
৪/৫
প্রশ্ন: চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৪/৫ হলে চাকরি না পাওয়ার সম্ভাবনা কত?
সমাধান:
চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা = ৪/৫
এখন, চাকরি না পাওয়ার সম্ভাবনা হবে ১ - চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা।
তাহলে,
চাকরি না পাওয়ার সম্ভাবনা = ১ - ৪/৫ = ১/৫
উত্তর: ক) ১/৫
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 days ago