জীবদেহের বৈশিষ্টগুলো বংশানুক্রমে বহন করে-
A
ডি এন এ
B
আর এন এ
C
মাইট্রোকন্ডিয়া
D
নিউক্লিক এসিড
উত্তরের বিবরণ
জীবদেহের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় একটি বিশেষ অণুর মাধ্যমে, যার নাম ডি এন এ (DNA) বা ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। এটি এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা জীবের জিনগত তথ্য বহন করে এবং পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করে।
• ডি এন এ হলো জীবদেহের বংশগত উপাদান, যা কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতরে থাকে। এর গঠন দ্বি-হেলিক্স বা Double Helix আকৃতির, যা ১৯৫৩ সালে বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন (James Watson) এবং ফ্রান্সিস ক্রিক (Francis Crick) আবিষ্কার করেন।
• ডি এন এ-র মূল কাজ হলো জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ ও পরিবহন। অর্থাৎ, এটি জীবদেহের আকার, রঙ, আচরণ, রোগপ্রবণতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে এবং বংশানুক্রমে সন্তানদের মাঝে সেগুলো স্থানান্তরিত করে।
• ডি এন এ তৈরি হয় চার ধরনের নাইট্রোজেন বেস থেকে— অ্যাডেনিন (A), থাইমিন (T), গুয়ানিন (G), এবং সাইটোসিন (C)। এগুলো নির্দিষ্ট জোড়ায় যুক্ত থাকে: অ্যাডেনিন–থাইমিন এবং গুয়ানিন–সাইটোসিন। এই নির্দিষ্ট বিন্যাসই জেনেটিক কোড নির্ধারণ করে।
• কোষ বিভাজনের সময় ডি এন এ নিজেকে প্রতিলিপি (Replication) করতে পারে। এর ফলে নতুন কোষেও একই জিনগত তথ্য স্থানান্তরিত হয়, যা বংশানুক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
• ডি এন এ থেকে আর এন এ (RNA) তৈরি হয়, এবং পরে আর এন এ প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। তবে ডি এন এ-ই মূলত জীবদেহের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রজন্মান্তরে স্থানান্তরের জন্য দায়ী।
• মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ৩ বিলিয়ন বেস পেয়ার মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ ডি এন এ গঠন করে। এই তথ্যগুলোর সমষ্টিকে বলা হয় জিনোম (Genome), যা প্রতিটি জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।
• ডি এন এ শুধুমাত্র মানুষের নয়, উদ্ভিদ, প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া এমনকি কিছু ভাইরাসেও বিদ্যমান। তবে কিছু ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান ডি এন এ নয়, বরং আর এন এ (RNA)— যেমন করোনাভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
• মাইট্রোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি উৎপাদনের অঙ্গাণু এবং নিউক্লিক এসিড হলো ডি এন এ ও আর এন এ— এই দুইয়ের সমষ্টিগত নাম। তাই বংশগত বৈশিষ্ট্য বহনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে ডি এন এ-ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সবশেষে বলা যায়, ডি এন এ জীবনের নকশা (Blueprint of Life), যা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে জীবদেহের বৈশিষ্ট্য স্থানান্তর করে বংশগতির ধারাকে অব্যাহত রাখে।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 day ago
এন্টিবডি তৈরি করে নিচের কোনটি?
Created: 1 week ago
A
Red blood corpuscle
B
Thrombocyte
C
B Lymphocyte
D
Monocyte
মানবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শ্বেত রক্ত কণিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কণিকাগুলো রক্তের একটি অপরিহার্য উপাদান, যা দেহকে বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। শ্বেত রক্ত কণিকাগুলোর গঠন, বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী একে অন্যের থেকে ভিন্ন হলেও, তাদের মূল লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধ এবং দেহকে সুস্থ রাখা।
- 
শ্বেত রক্ত কণিকা বা White Blood Cell (WBC) হলো রক্তের হিমোগ্লোবিনবিহীন, নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ, যার নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। 
- 
রক্তে এদের সংখ্যা লোহিত রক্ত কণিকার তুলনায় অনেক কম, প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪,০০০–১০,০০০ শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে। 
- 
এগুলো অ্যামিবার মতো আকার পরিবর্তন করতে পারে এবং চলাচল করতে সক্ষম। 
- 
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে এদের রং সাদা বা বর্ণহীন দেখা যায়, যা থেকেই নামকরণ হয়েছে “শ্বেত রক্ত কণিকা।” 
- 
শ্বেত রক্ত কণিকার গড় আয়ু সাধারণত ১ থেকে ১৫ দিন, এবং এতে DNA উপস্থিত থাকে, যা এদের বংশগত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ও মৃত কোষ ধ্বংস করে, ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখে। 
গঠনগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্বেত রক্ত কণিকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়:
১. অ্যাগ্রানুলোসাইট (দানাবিহীন)
২. গ্রানুলোসাইট (দানাযুক্ত)
অ্যাগ্রানুলোসাইট কণিকার সাইটোপ্লাজমে কোনো দানা থাকে না এবং তা স্বচ্ছ প্রকৃতির। এই শ্রেণির শ্বেত কণিকা দুটি প্রধান রূপে বিভক্ত—লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট।
- 
এরা মূলত লিম্ফ নোড, টনসিল, প্লীহা প্রভৃতি অঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়। 
- 
লিম্ফোসাইট ছোট আকারের কিন্তু বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ। এগুলিই অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি করে, যা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। 
- 
B-লিম্ফোসাইট (B-Lymphocyte) রক্তে দ্রবণীয় অ্যান্টিবডি উৎপাদনের মাধ্যমে রস-নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Humoral Immunity) গঠন করে। 
- 
এই অ্যান্টিবডিগুলো নির্দিষ্ট রোগ-জীবাণুর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের নিষ্ক্রিয় বা ধ্বংস করে দেয়, ফলে দেহে পুনরায় সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়। 
- 
অপরদিকে, মনোসাইট তুলনামূলক বড় আকারের এবং ডিম্বাকার বা বৃক্কাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত। এরা ফ্যাগোসাইটোসিসের মাধ্যমে জীবাণু গিলে খেয়ে ধ্বংস করে, যা কোষ-নির্ভর প্রতিরক্ষা (Cell-mediated defense) প্রক্রিয়ার অংশ। 
এভাবে শ্বেত রক্ত কণিকার প্রতিটি ধরন দেহে রোগ প্রতিরোধের একটি নির্দিষ্ট দিক পরিচালনা করে। বিশেষত B-লিম্ফোসাইটের অ্যান্টিবডি উৎপাদন মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর রাখে।
এই প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়ার কারণেই শরীর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়, যা টিকাদান বা ইমিউন মেমোরির মূল ভিত্তি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago
একক ভরের কোনো বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে কত?
Created: 1 day ago
A
৯.৭৯ নিউটন
B
৯.৭৮ নিউটন
C
৯.৮১ নিউটন
D
৯.৮৩ নিউটন
পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণ বল সমান নয়। এটি অক্ষাংশ ও উচ্চতার তারতম্যের কারণে পরিবর্তিত হয়। বিষুবরেখায় পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে বেশি এবং ঘূর্ণনজনিত কারণে সেখানে কেন্দ্রাতিগ বলও কার্যকর হয়, যার ফলে ওজন কিছুটা কমে যায়। তাই একক ভরের কোনো বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে হয় ৯.৭৮ নিউটন।
• পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে একটি কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয় যা বস্তুটিকে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে ঠেলে দেয়। এই বল সর্বাধিক থাকে বিষুবরেখায় এবং মেরুর দিকে শূন্য হয়।
• বিষুবরেখায় পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬,৩৭৮ কিলোমিটার, আর মেরুতে এটি প্রায় ৬,৩৫৭ কিলোমিটার। এই ব্যাসার্ধের পার্থক্যের কারণে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্ব বিষুব অঞ্চলে বেশি হয়, ফলে অভিকর্ষজ আকর্ষণ কমে যায়।
• অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) বিষুবরেখায় প্রায় ৯.৭৮ মিটার/সেকেন্ড² এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড²। অর্থাৎ, বিষুবরেখায় ওজন কিছুটা কম হয়।
• ওজন নির্ভর করে সূত্র W = mg এর ওপর, যেখানে m হলো ভর এবং g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ। যেহেতু বিষুবীয় অঞ্চলে g এর মান ৯.৭৮, তাই একক ভরের বস্তুর ওজনও হবে ৯.৭৮ নিউটন।
• উদাহরণ হিসেবে, যদি ১ কেজি ভরের কোনো বস্তু বিষুবরেখায় রাখা হয়, তবে তার ওজন হবে ৯.৭৮ নিউটন, কিন্তু মেরু অঞ্চলে সেটি হবে ৯.৮৩ নিউটন।
• পৃথিবীর আকৃতি চ্যাপ্টা গোলক (Oblate spheroid)—এই আকারের কারণেই অভিকর্ষজ বল সর্বত্র এক নয়। বিষুবরেখা ফোলা এবং মেরু চ্যাপ্টা হওয়ায় মেরু অঞ্চলে কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করে, ফলে সেখানে আকর্ষণ বেশি হয়।
• এছাড়াও, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা যত বাড়ে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বও তত বৃদ্ধি পায়, ফলে উচ্চ স্থানগুলোতে g এর মান আরও কম হয়।
• এই পার্থক্যটি দৈনন্দিন জীবনে খুব সূক্ষ্মভাবে অনুভূত হয়, কিন্তু পদার্থবিদ্যায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপগ্রহের কক্ষপথ নির্ণয়, ওজন পরিমাপ বা মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন বিবেচনায় নেওয়া হয়।
• সংক্ষেপে বলা যায়, পৃথিবীর ঘূর্ণন, ব্যাসার্ধের পার্থক্য ও কেন্দ্রাতিগ বল—এই তিনটি কারণেই বিষুবরেখায় ওজন কম হয়। তাই একক ভরের বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে ৯.৭৮ নিউটন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 day ago
কোন অর্গানেলটি পর্দা দ্বারা আবেষ্টিত থাকে না?
Created: 1 week ago
A
রাইবোসোম
B
ক্লোরোপ্লাস্ট
C
মাইটোকন্ড্রিয়া
D
পারোক্সিসোম
রাইবোসোম এমন একটি কোষীয় অঙ্গাণু যা প্রোটিন সংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কিন্তু এটি কোনো পর্দা বা ঝিল্লি দ্বারা আবৃত নয়। এ কারণে প্রদত্ত অঙ্গাণুগুলির মধ্যে শুধুমাত্র রাইবোসোমই ঝিল্লিবিহীন।
অন্যদিকে ক্লোরোপ্লাস্ট, মাইটোকন্ড্রিয়া এবং পারঅক্সিসোম সবই এক বা একাধিক স্তরের ঝিল্লি দ্বারা বেষ্টিত। নিচে প্রতিটি অঙ্গাণুর গঠন ও বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলো।
রাইবোসোম
- 
সাইটোপ্লাজমে মুক্তভাবে বা অন্তঃপ্লাজমিক জালিকার গায়ে যুক্ত অবস্থায় থাকে এবং এখানেই প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে। 
- 
এটি ক্ষুদ্র, প্রায় গোলাকার ও ঝিল্লিবিহীন কণা। 
- 
একাধিক রাইবোসোম মুক্তোর মালার মতো যুক্ত হলে তাকে পলিরাইবোসোম বা পলিসোম বলা হয়। 
- 
আদিকোষ ও প্রকৃতকোষ উভয় প্রকার কোষেই রাইবোসোম থাকে, তাই একে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয়। 
- 
প্রোটিন গঠনের জন্য রাইবোসোমে rRNA ও প্রোটিন যৌগ থাকে, যা কোষের প্রোটিন উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। 
ক্লোরোপ্লাস্ট
- 
এটি উদ্ভিদ কোষে বিদ্যমান সবুজ বর্ণের প্লাস্টিড, যা আলোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
- 
ক্লোরোফিল-a, ক্লোরোফিল-b, ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল দ্বারা গঠিত হওয়ায় এটি সবুজ বর্ণ ধারণ করে। 
- 
১৮৮৩ সালে বিজ্ঞানী শিম্পার উদ্ভিদ কোষে প্রথম এ অঙ্গাণুটি আবিষ্কার করেন। 
- 
ক্লোরোপ্লাস্ট একটি দুই স্তরবিশিষ্ট আংশিক অনুপ্রবেশ্য মেমব্রেন দ্বারা আবৃত। 
- 
এর মেমব্রেনে ফসফোলিপিডের পরিবর্তে গ্লাইকোসিল গ্লিসারাইড থাকে, যা একে অন্যান্য ঝিল্লি থেকে আলাদা করে। 
- 
এটি তিনটি মেমব্রেনে তৈরি এবং তিনটি প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট অঙ্গাণু, যার অভ্যন্তরে গ্রানা ও স্ট্রোমা থাকে। 
মাইটোকন্ড্রিয়া
- 
প্রকৃত জীবকোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, যা কোষের “পাওয়ার হাউস” নামে পরিচিত। 
- 
এটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণী ঝিল্লি দ্বারা ঘেরা এবং এর ভেতরে ক্রেবস্ চক্র, ফ্যাটি অ্যাসিড চক্র ও ইলেকট্রন পরিবহন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। 
- 
শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের জৈবনিক কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ATP (Adenosine Triphosphate) সরবরাহ করে। 
- 
এটি মূলত কোষের শ্বসন অঙ্গাণু, যেখানে গ্লুকোজ অক্সিডেশনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। 
• পারঅক্সিসোম:
- 
প্রায় সব কোষেই বিদ্যমান ক্ষুদ্র, এক আবরণী বিশিষ্ট দানাদার অঙ্গাণু। 
- 
সাধারণত প্রাণীর কিডনি ও লিভার কোষে এর উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। 
- 
এটি অমসৃণ অন্তঃপ্লাজমিক জালিকার বহিঃপ্রসারণ থেকে গঠিত হয়। 
- 
এর অভ্যন্তরে ক্যাটালেজ (catalase) নামক এনজাইম থাকে, যা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ভেঙে পানি ও অক্সিজেনে পরিণত করে। 
- 
১৯৬৭ সালে বেলজিয়ামের সাইটোলজিস্ট ক্রিশ্চিয়ান দ্য ডুভ এই অঙ্গাণুটি আবিষ্কার করেন। 
- 
পারঅক্সিসোমকে কখনও কখনও মাইক্রোসোম নামেও ডাকা হয়। 
সবশেষে বলা যায়, ক্লোরোপ্লাস্ট, মাইটোকন্ড্রিয়া ও পারঅক্সিসোম সকলেই ঝিল্লিবেষ্টিত অঙ্গাণু হলেও রাইবোসোম কোনো ঝিল্লি দ্বারা আবৃত নয়, যা একে অন্যদের থেকে পৃথক করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago