খাদ্যজাত দ্রব্যের মান সঠিক রাখার জন্য প্যাকেটের ভিতর প্রলেপ করার প্রযুক্তি হলো-

A

বায়োটেকনোলজি

B

ন্যানোটেকনোলজি

C

বায়োমেমেট্রিক

D

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং

উত্তরের বিবরণ

img

খাদ্যের মান ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে আধুনিক বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে ন্যানোটেকনোলজি এমন একটি প্রযুক্তি যা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার সাহায্যে খাদ্য সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্যাকেটজাত খাদ্যের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হয় এবং খাদ্য দীর্ঘদিন নিরাপদ থাকে। নিচে এ সম্পর্কিত তথ্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।

ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন এক প্রযুক্তি যেখানে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকারের কণাকে নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াজাত ও প্রয়োগ করা হয়। এক ন্যানোমিটার হলো এক মিটারের এক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ, যা অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

• খাদ্য প্যাকেটের ভেতরে এই ন্যানোকণাগুলো প্রলেপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা অক্সিজেন, আর্দ্রতা ও ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ রোধ করে। ফলে খাদ্য পচে যায় না এবং দীর্ঘ সময় মান অক্ষুণ্ণ থাকে।

• এই প্রলেপে ব্যবহৃত উপাদানগুলো সাধারণত সিলভার, টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড, জিঙ্ক অক্সাইড ইত্যাদি ন্যানোকণা, যেগুলোর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও সংরক্ষণ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি।

• ন্যানোটেকনোলজির মাধ্যমে তৈরি প্যাকেটগুলো অনেক সময় “স্মার্ট প্যাকেজিং” নামে পরিচিত। এগুলো খাদ্যের তাপমাত্রা, গ্যাস নিঃসরণ বা নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিতও দিতে পারে।

• এই প্রযুক্তি শুধু খাদ্য সংরক্ষণেই নয়, বরং ওষুধ, প্রসাধনী ও কৃষিপণ্যে মান বজায় রাখতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

• ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহারের ফলে খাদ্যে সংরক্ষণকারী রাসায়নিকের পরিমাণ কমে যায়, যা মানবদেহের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

• খাদ্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ে এটি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো শেলফ লাইফ বৃদ্ধি, খাদ্যের তাজা ভাব বজায় রাখা এবং মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।

• উন্নত দেশগুলো যেমন—যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস—ইতোমধ্যে খাদ্যশিল্পে এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেছে।

• বাংলাদেশেও বর্তমানে কিছু প্রসেসড ও প্যাকেটজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলকভাবে ন্যানোপ্রলেপযুক্ত প্যাকেজিং ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে।

• ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য অপচয় কমানো, নিরাপদ সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং খাদ্যশিল্পে গুণগত মান বৃদ্ধি সম্ভব হবে।

অন্য বিকল্পগুলো সংক্ষেপে দেখা যাক—
বায়োটেকনোলজি জীবপ্রযুক্তি যা জীবকোষ বা এনজাইম ব্যবহার করে নতুন পণ্য উদ্ভাবনে সহায়তা করে।
বায়োমেমেট্রিক ব্যবহৃত হয় মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য (যেমন আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিস) শনাক্তকরণে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীব তৈরি করার প্রক্রিয়া।

তাই প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তর হলো ন্যানোটেকনোলজি, কারণ এটি খাদ্যজাত দ্রব্যের প্যাকেটের ভিতরে প্রলেপ দিয়ে মান সংরক্ষণে সরাসরি ব্যবহৃত হয়।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD