বায়োগ্যাসের কোন উপাদান জ্বালানির কাজে লাগে?
A
কার্বনডাই অক্সাইড
B
অক্সিজেন
C
মিথেন
D
নাইট্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
বায়োগ্যাস হলো এক ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যা জৈব পদার্থের পচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি গ্রামাঞ্চলে রান্না, আলোকসজ্জা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়োগ্যাসের মূল শক্তিদায়ী উপাদান হলো মিথেন গ্যাস, যা একে জ্বালানির উপযোগী করে তোলে।
• মিথেন (CH₄) বায়োগ্যাসের প্রায় ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত অংশ দখল করে। এটি অত্যন্ত দাহ্য গ্যাস এবং জ্বালানির মূল উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মিথেন জ্বললে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে এবং তুলনামূলকভাবে ধোঁয়াবিহীনভাবে জ্বলে। এজন্য এটি রান্না ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্যকর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• বায়োগ্যাস মূলত গরু-ছাগলের বিষ্ঠা, উদ্ভিদের আবর্জনা, খাদ্যের বর্জ্য, ও পচনশীল জৈব পদার্থ থেকে তৈরি হয়। এসব বর্জ্য অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে জীবাণুর ক্রিয়ায় পচে গিয়ে মিথেনসহ অন্যান্য গ্যাস উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যানেরোবিক ফারমেন্টেশন (Anaerobic Digestion)।
• বায়োগ্যাসে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) এর পরিমাণ সাধারণত ২৫% থেকে ৪৫% পর্যন্ত থাকে, কিন্তু এটি জ্বালানির কাজে আসে না। বরং এটি গ্যাসের দাহ্যক্ষমতা কমায়। তাই CO₂ সরিয়ে ফেলা হলে গ্যাসের গুণগত মান আরও বাড়ে।
• অক্সিজেন (O₂) বায়োগ্যাসে সাধারণত অনুপস্থিত বা অতি অল্প পরিমাণে থাকে। কারণ অক্সিজেন থাকলে জৈব পদার্থ পুরোপুরি পচে যেত এবং মিথেন তৈরি হতো না। তাই বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য অক্সিজেনবিহীন পরিবেশ অপরিহার্য।
• নাইট্রোজেন (N₂) গ্যাসও বায়োগ্যাসে থাকতে পারে, কিন্তু এটি একেবারেই নিষ্ক্রিয় গ্যাস। এটি কোনো দাহ্য গ্যাস নয় এবং তাপ উৎপন্ন করতে পারে না।
• মিথেনের দাহ্যতা অত্যন্ত বেশি—এটি বাতাসের সঙ্গে মিশে বিস্ফোরণও ঘটাতে পারে যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়। তাই বায়োগ্যাস প্লান্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
• মিথেন শুধু রান্নার গ্যাস নয়, এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ির জ্বালানি (বায়োমিথেন), ও শিল্পকারখানায় তাপ সরবরাহে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের (Natural Gas) প্রধান উপাদানও বটে।
• পরিবেশগত দিক থেকেও মিথেনভিত্তিক বায়োগ্যাস অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমায় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করে তোলে। ফলে একদিকে যেমন শক্তি উৎপাদন হয়, অন্যদিকে পরিবেশও রক্ষা পায়।
অতএব বলা যায়, বায়োগ্যাসের প্রকৃত জ্বালানির উৎস হলো মিথেন গ্যাস, কারণ এটি দাহ্য, শক্তিদায়ক এবং নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎস।
0
Updated: 1 day ago
কোন পদার্থের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল সবচেয়ে কম?
Created: 1 month ago
A
কঠিন
B
গ্যাসীয়
C
তরল
D
কোনোটিই নয়
গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো একে অপরের থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে এবং আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি খুবই কম থাকে। ফলে গ্যাসীয় অবস্থায় অণুগুলো সবচেয়ে বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করে।
-
গ্যাসের অণুসমূহ অধিকতর কম্পন, আবর্তন ও স্থানান্তর গতি সহকারে স্বাধীনভাবে চলাচল করে।
-
অণুগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাই গ্যাসের নির্দিষ্ট আকৃতি বা আয়তন নেই।
-
যেহেতু অণুগুলো একে অপরের কাছাকাছি থাকে না, গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন কঠিন বা তরল অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 1 month ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago