‘উপেক্ষা’ শব্দের অর্থ কী?
A
সম্মান করা
B
অবহেলা করা
C
শ্রদ্ধা করা
D
প্রশংসা করা
উত্তরের বিবরণ
‘উপেক্ষা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এমন একটি শব্দ, যা সাধারণত কাউকে বা কোনো বিষয়কে অগ্রাহ্য করা, গুরুত্ব না দেওয়া বা অবহেলা করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি মানুষের আচরণ, মানসিক অবস্থা বা সামাজিক সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি প্রাচীন বাংলা ‘উপ’ ও ‘ইক্ষা’ ধাতু থেকে গঠিত, যার মূল ভাবার্থ “দেখেও না দেখা” বা “মনোযোগ না দেওয়া”।
তথ্যসমূহ:
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘উপেক্ষা’ এসেছে সংস্কৃত শব্দ উপেক্ষা (Upekṣā) থেকে। এখানে উপ মানে ‘নিকট’ এবং ইক্ষা মানে ‘দেখা’। একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায় “দেখেও না দেখা” বা “গুরুত্ব না দেওয়া”।
-
অর্থ: সাধারণভাবে ‘উপেক্ষা’ মানে অবহেলা করা, অগ্রাহ্য করা, বা গুরুত্ব না দেওয়া।
-
বিপরীত শব্দ: ‘সম্মান’, ‘মনোযোগ’, ‘গুরুত্ব প্রদান’।
-
সমার্থক শব্দ: ‘অবজ্ঞা’, ‘অবহেলা’, ‘অগ্রাহ্য’, ‘অমনোযোগ’।
-
ব্যবহার:
-
সে আমার কথা উপেক্ষা করল।
-
গুরুজনদের উপেক্ষা করা উচিত নয়।
-
-
মনস্তাত্ত্বিক দিক: উপেক্ষা প্রায়ই মানসিক কষ্ট বা বিরক্তির কারণ হয়। কেউ যদি বারবার উপেক্ষিত হয়, তবে সে নিজেকে অমূল্য মনে করতে পারে। তাই ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখতে উপেক্ষা না করে পরস্পরের অনুভূতি বুঝে চলা জরুরি।
-
সামাজিক প্রভাব: সমাজে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা ধীরে ধীরে মূলধারার বাইরে চলে যায়। এটি সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করে।
-
ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিতে: ধর্মীয়ভাবে উপেক্ষা করা অনেক সময় অন্যায় হিসেবে ধরা হয়। ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মে মানুষকে সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-
সাহিত্যিক ব্যবহার: কবি ও সাহিত্যিকরা প্রায়ই ‘উপেক্ষা’ শব্দটি মানসিক বেদনা বা সম্পর্কের অবহেলা বোঝাতে ব্যবহার করেন। যেমন—“তোমার উপেক্ষায় হৃদয় ভেঙে গেছে”।
-
দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ: স্কুলে শিক্ষক, অফিসে কর্মচারী বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করলে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘উপেক্ষা’ মানে কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ে সচেতনভাবে গুরুত্ব না দেওয়া বা অবহেলা করা। এই আচরণ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক সব দিক থেকেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই জীবন ও সম্পর্ক রক্ষায় উপেক্ষার পরিবর্তে সহমর্মিতা ও মনোযোগ প্রদর্শন করা শ্রেয়।
0
Updated: 1 day ago
অর্বাচীন শব্দের অর্থ কি?
Created: 3 days ago
A
বিদ্বান
B
শিক্ষিত
C
মূর্খ
D
বিজ্ঞ
‘অর্বাচীন’ শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে, যার অর্থ মূর্খ বা অশিক্ষিত ব্যক্তি। সাধারণত, এটি এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয় যে জ্ঞান বা বুদ্ধিতে সীমিত, অথবা যিনি কোনো বিষয় বা কাজের ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন।
এই শব্দটি সাধারণত তাচ্ছিল্য বা আক্ষেপের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে এমন কাউকে বর্ণনা করতে যিনি সঠিকভাবে কিছু জানেন না বা কোন বিষয়ে দক্ষ নন।
এছাড়া, ‘অর্বাচীন’ শব্দটি মানুষ বা তার আচরণকে তুচ্ছ করা বা ত্রুটিপূর্ণ মনে করা যেতে পারে।
মূল তথ্যের সংক্ষেপে:
-
অর্বাচীন শব্দের অর্থ মূর্খ।
-
এটি সাধারণত জ্ঞানহীন বা অভিজ্ঞতার অভাব থাকা ব্যক্তিকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, যা কাউকে তাচ্ছিল্য করতে ব্যবহার করা হয়।
এই শব্দটি বাংলা সাহিত্যে বিশেষত উপন্যাস, কবিতা, অথবা প্রবন্ধে এক ধরনের তিক্ততা বা বিরোধ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
0
Updated: 3 days ago