কোন তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস পালন করা হয়?
A
২১ ফেব্রুয়ারি
B
১৬ ডিসেম্বর
C
২৬ মার্চ
D
১৭ এপ্রিল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস প্রতি বছর ২৬ মার্চ পালন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনার দিন হিসেবে ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদা রাখে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং বাঙালি জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিনটি দেশের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করে এবং জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে।
জাতীয় দিবস সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলোঃ
• ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই পাকিস্তানি সেনারা বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালায়।
• এই দিন থেকে শুরু হয় নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ, যা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়।
• দিবসটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের শীর্ষ নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
• জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ও বিজয় র্যালি আয়োজন করা হয় সারাদেশে।
• স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই দিনকে কেন্দ্র করে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
• স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে পাঠ করেন।
• ২৬ মার্চ দিনটি স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস হিসেবে সরকারি ছুটির দিন।
• জাতিসংঘসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা এই দিনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক দিন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
• এই দিবসটি কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
• এই দিন মানুষ শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়, যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
• দিবসটির মূল বার্তা হলো স্বাধীনতা, আত্মত্যাগ ও জাতীয় গৌরব—যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাংলাদেশিদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
• বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এই দিনটি জাতির অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হয়।
• জাতীয় দিবস পালনের মাধ্যমে নাগরিকরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।
• এই দিবসের প্রতীকী অর্থ হলো—দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে আত্মনির্ভর ও স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ।
• ২৬ মার্চ কেবল স্বাধীনতার ঘোষণার স্মারক নয়, এটি বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা ও মুক্তির অনন্ত প্রতীক।
অতএব, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ তারিখে পালিত হয় কারণ এই দিনেই স্বাধীনতার ভিত্তি রচিত হয় এবং জাতি মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করে। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়, যা আমাদের জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে চির অমলিন।
0
Updated: 1 day ago
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন দিনটিকে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
৪ মে
B
২১ মে
C
২২ জুন
D
২৪ জুন
জাতীয় চা দিবস সম্পর্কে তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই দিবসের তারিখ ও প্রেক্ষাপট সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্বে দেশের মধ্যে জাতীয় চা দিবস প্রতি বছর ৪ জুন পালন করা হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২১ মে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
-
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা, ২০২২ সংশোধনের মাধ্যমে এই দিবসের তারিখ পরিবর্তন করেছে।
-
এতদিন ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হতো।
-
নতুন তারিখটি আন্তর্জাতিক চা দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ মে International Tea Day হিসেবে পালন করছে।
-
চা উৎপাদনকারী দেশগুলোও ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য চা উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশও এই দিনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করেছে।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কোনটি?
Created: 3 days ago
A
১৬ ডিসেম্বর
B
২৬ মার্চ
C
২১ ফেব্রুয়ারি
D
৭ মার্চ
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিনসমূহ
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৬শে মার্চ এক গৌরবময় দিন। এই দিনটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়। সে কারণেই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়।
পরে, ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর সরকারিভাবে ২৬শে মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ১৯৮১ সাল থেকে এটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালিত হয়:
-
১৬ ডিসেম্বর: বিজয়ের দিন – এদিন বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে পাকিস্তান বাহিনীর কাছ থেকে মুক্তি লাভ করে।
-
২১ ফেব্রুয়ারি: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – মাতৃভাষার জন্য শহিদদের আত্মত্যাগের স্মরণে দিনটি পালিত হয়।
-
৭ মার্চ: ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ভাষণের স্মরণে।
উল্লেখযোগ্য জাতীয় দিবসসমূহ:
-
জাতীয় শিক্ষক দিবস – ১৯ জানুয়ারি
-
জাতীয় পতাকা দিবস – ২ মার্চ
-
জাতীয় শিশু দিবস – ১৭ মার্চ
-
মুজিবনগর দিবস – ১৭ এপ্রিল
-
জাতীয় শোক দিবস – ১৫ আগস্ট
-
জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস – ৭ নভেম্বর
-
সশস্ত্র বাহিনী দিবস – ২১ নভেম্বর
-
মুক্তিযোদ্ধা দিবস – ১ ডিসেম্বর
-
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস – ১৪ ডিসেম্বর
এই দিবসগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের পরিচায়ক। প্রতিটি দিবস আমাদের জাতীয় চেতনা ও গৌরবকে তুলে ধরে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কোনটি?
Created: 3 months ago
A
১৬ ডিসেম্বর
B
২৬ মার্চ
C
২১ ফেব্রুয়ারি
D
৭ মার্চ
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিনসমূহ
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৬শে মার্চ এক গৌরবময় দিন। এই দিনটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়। সে কারণেই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়।
পরে, ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর সরকারিভাবে ২৬শে মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ১৯৮১ সাল থেকে এটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক হিসেবে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালিত হয়:
-
১৬ ডিসেম্বর: বিজয়ের দিন – এদিন বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে পাকিস্তান বাহিনীর কাছ থেকে মুক্তি লাভ করে।
-
২১ ফেব্রুয়ারি: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – মাতৃভাষার জন্য শহিদদের আত্মত্যাগের স্মরণে দিনটি পালিত হয়।
-
৭ মার্চ: ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ভাষণের স্মরণে।
উল্লেখযোগ্য জাতীয় দিবসসমূহ:
-
জাতীয় শিক্ষক দিবস – ১৯ জানুয়ারি
-
জাতীয় পতাকা দিবস – ২ মার্চ
-
জাতীয় শিশু দিবস – ১৭ মার্চ
-
মুজিবনগর দিবস – ১৭ এপ্রিল
-
জাতীয় শোক দিবস – ১৫ আগস্ট
-
জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস – ৭ নভেম্বর
-
সশস্ত্র বাহিনী দিবস – ২১ নভেম্বর
-
মুক্তিযোদ্ধা দিবস – ১ ডিসেম্বর
-
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস – ১৪ ডিসেম্বর
এই দিবসগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের পরিচায়ক। প্রতিটি দিবস আমাদের জাতীয় চেতনা ও গৌরবকে তুলে ধরে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago