বাংলাদেশের সংবিধানের ১ম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কি ছিল? 

A

ক) জরুরী অবস্থা ঘোষণা 

B

খ) সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা 

C

গ) মহিলাদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণ 

D

ঘ) যুদ্ধবন্দীর বিচার

উত্তরের বিবরণ

img

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবন্দীর বিচার নিশ্চিত করা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্র ক্ষমতা ও বিচার ব্যবস্থাকে এমনভাবে সুসংগঠিত করা হয় যাতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ীদের বিচারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। এই সংশোধনী মূলত দেশের আইনি কাঠামোকে আরও কার্যকর ও প্রগতিশীল করার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।

মূল বিষয়গুলো হলো:

যুদ্ধবন্দীর বিচার প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দ্বারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচার করার আইনগত সুযোগ তৈরি করা হয়। এতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব হয়।

রাষ্ট্রের আইনি ভিত্তি শক্ত করা: সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মধ্যে এমন ধারা সংযোজন করা হয় যা রাষ্ট্রকে যুদ্ধাপরাধের দণ্ড কার্যকর করার ক্ষমতা প্রদান করে। এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জাতীয় সংহতি ও ন্যায়বোধ বৃদ্ধি: যুদ্ধবন্দীর বিচার নিশ্চিত করা দেশের জনগণের মধ্যে ন্যায়বোধ এবং ঐক্যের ভাবনা জাগাতে সাহায্য করে। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের নৈতিক ভিত্তিক উদ্দেশ্য ও সমাজিক ন্যায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আইনগত কাঠামোতে পরিবর্তন: সংশোধনী দ্বারা সংবিধানের কিছু ধারা পরিবর্তিত বা সংযোজিত করা হয় যাতে বিচার প্রক্রিয়া সহজ এবং কার্যকর হয়। এতে আদালত ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

মানবাধিকারের রক্ষা: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এটি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখে।

সংক্ষেপে বলা যায়, প্রথম সংশোধনীর মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামোর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ সুগম করা। এটি শুধু আইনগত পরিবর্তনই নয়, বরং দেশের ন্যায়বিচার ও জাতীয় নৈতিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ। সংশোধনীর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ তার মানুষের অধিকার এবং ন্যায়বিচারের অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করে।

এই সংশোধনী দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলাফলকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং প্রয়োজনে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করান-

Created: 2 months ago

A

রাষ্ট্রপতি

B

প্রধানমন্ত্রী

C

প্রধান বিচারপতি

D

স্পিকার

Unfavorite

0

Updated: 2 months ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD