মধুসূদন দত্ত রচিত 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি কোন ধরনের?
A
গীতিধর্মী
B
আখ্যানমূলক
C
চতুর্দশপদী
D
অমিত্রাক্ষরা
উত্তরের বিবরণ
মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে চতুর্দশপদী ছন্দে রচিত একটি কাব্যধর্মী কাব্য। চতুর্দশপদী হলো এমন একটি ছন্দধারার কাঠামো, যেখানে প্রতি পদে চতুর্দশ (১৪) মাত্রার ছন্দ থাকে। এই ধরনের কবিতা সাধারণত গদ্যতুল্য ছন্দে লিখিত হলেও কবিতার সুর ও তাল বজায় রাখে। মধুসূদন দত্তের এই রচনায় নদীর সৌন্দর্য, প্রকৃতির রূপ এবং স্থানীয় জীবনধারা চিত্রিত হয়েছে।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
ছন্দ ও বিন্যাস: চতুর্দশপদী ছন্দে প্রতিটি পদের ১৪ মাত্রা থাকে, যা কবিতার সুর ও ছন্দের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করে।
-
প্রকৃতি ও স্থান বর্ণনা: ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় নদী, নদীর তীরের জীবন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য চিত্রময়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি পাঠককে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গ্রামের জীবনধারার সঙ্গে পরিচয় করায়।
-
সাহিত্যিক গুণ: মধুসূদন দত্তের কবিতা সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, যেখানে ছন্দ, উচ্চারণ এবং ভাবপ্রকাশ একত্রিতভাবে কাজ করে।
-
আখ্যানমূলক ও বর্ণনামূলক দিক: যদিও চতুর্দশপদী সাধারণত কবিতার ছন্দ ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়, এতে গল্পের আভাস বা স্থানীয় জীবনধারার বর্ণনা প্রায়শই মিশ্রিত থাকে।
-
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: চতুর্দশপদী ছন্দের কবিতা বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন এবং আধুনিক কাব্যধারার সংযোগ স্থাপন করে। মধুসূদন দত্তের এই কবিতা সেই ধারার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
সারসংক্ষেপে, মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি চতুর্দশপদী কবিতা, যা নদী, প্রকৃতি এবং স্থানীয় জীবনধারার সুন্দর বর্ণনা এবং ছন্দময় ভাষার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে প্রাঞ্জল ও সৌন্দর্যময় কাব্যধারা স্থাপন করেছে।
0
Updated: 1 day ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রথম নাটক কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
একেই কি বলে সভ্যতা
B
কৃষ্ণকুমারী
C
শর্মিষ্ঠা
D
পদ্মাবতী
শর্মিষ্ঠা নাটক:
-
এটি মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত বাংলা নাটক।
-
কলকাতার পাইকপাড়ার রাজাদের অনুপ্রেরণায় বেলগাছিয়া থিয়েটারের জন্য ১৮৫৮ সালে রচনা করা হয়।
-
১৮৫৯ সালের জানুয়ারিতে রাজাদের অর্থানুকূল্যে ‘শর্মিষ্ঠা’ প্রকাশিত হয় এবং ৩রা সেপ্টেম্বর বেলগাছিয়া থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়।
-
নাটকে পাশ্চাত্য রীতির বাংলা নাটক রচনার চেষ্টা বিশেষভাবে সফল হয়েছে।
-
মধুসূদন পরে ‘শর্মিষ্ঠা’র ইংরেজি অনুবাদও করেন।
-
কাহিনির ভিত্তি পুরাণের কাহিনি।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: যযাতি, দেবযানী, শর্মিষ্ঠা, মাধব্য, পূর্ণিমা, রাজমন্ত্রী
মধুসূদন দত্ত রচিত নাটক:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
0
Updated: 3 weeks ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত হেক্টরবধ কাকে উৎসর্গ করেন?
Created: 1 week ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
রাজনারায়ণ বসু
D
ভূদেব মুখোপাধ্যায়
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “হেক্টরবধ” একটি অসমাপ্ত গদ্যকাব্য, যেখানে প্রাচীন গ্রীক কবি হোমার রচিত “ইলিয়ড” মহাকাব্যের কাহিনী সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি অনুবাদধর্মী রচনা হলেও একে আক্ষরিক অনুবাদ বলা যায় না, কারণ কবি এতে নিজস্ব কাব্যরীতি ও ভাষাশৈলী ব্যবহার করেছেন। গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে, যিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যসমালোচক।
• গ্রন্থের নাম: হেক্টরবধ
• রচনাশৈলী: অসমাপ্ত গদ্যকাব্য
• কাহিনির উৎস: হোমারের ইলিয়ড
• ধরন: অনুবাদধর্মী কিন্তু আক্ষরিক নয়
• উৎসর্গপ্রাপক: ভূদেব মুখোপাধ্যায়
0
Updated: 1 week ago
বিখ্যাত 'ভক্তপ্রসাদ বাবু' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 1 month ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রহসন, যা প্রাথমিকভাবে ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’ নামে পরিচিত ছিল।
-
প্রহসনের মূলকাহিনী: এক লম্পট জমিদারের আচরণ-ব্যবহার এবং দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
0
Updated: 1 month ago