মঙ্গলকাব্যের কোন চরিত্রটি 'দেবতা-বিরোধী' বলে পরিচিত?
A
ধনপতি সদাগর
B
লাউ সেন
C
কালকেতু
D
চাঁদ সদাগর
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সদাগরকে ‘দেবতা-বিরোধী’ চরিত্র হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে। মঙ্গলকাব্য মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাব্যধারা, যা সমাজের নৈতিকতা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং দেব-দেবীর প্রতি ভক্তি ও ভয়কে কেন্দ্র করে রচিত। চাঁদ সদাগরের চরিত্র এই ধারার বাইরে থেকে সাম্প্রদায়িক রীতিনীতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এবং দেবতার প্রতি নির্ভরশীলতার বাইরে স্বাধীনতা ও মানবিকতাকে গুরুত্ব দেয়।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
দেবতা-বিরোধী মনোভাব: চাঁদ সদাগর মঙ্গলকাব্যে সেই চরিত্র, যে দেবতার নিয়ম বা শাস্তি অমান্য করে, ফলে তাকে প্রতিবাদী বা বিদ্রোহী চরিত্র হিসেবে দেখা হয়।
-
সাহিত্যিক উদ্দেশ্য: এই চরিত্রের মাধ্যমে কবি সামাজিক ও নৈতিক দ্বন্দ্ব উপস্থাপন করেছেন। পাঠককে দেখানো হয়েছে যে, কিছু চরিত্র নৈতিকতা ও মানবিক বিচারে স্বাধীন চিন্তাভাবনা রাখতে পারে।
-
চরিত্রায়ন: চাঁদ সদাগরের আচরণ, কথাবার্তা এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে পাঠক দেবতার শাসন এবং মানুষের স্বাধীনতা সম্পর্কিত ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: দেবতা-বিরোধী চরিত্র মঙ্গলকাব্যে গল্পের রোমাঞ্চ, দ্বন্দ্ব ও নাটকীয়তা যোগ করে। এটি পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং নৈতিক শিক্ষা দিতে সহায়ক।
-
মঙ্গলকাব্যের প্রভাব: চাঁদ সদাগরের মতো চরিত্র পাঠককে নৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়, যা কাব্যধারার গভীরতা বৃদ্ধি করে।
সারসংক্ষেপে, মঙ্গলকাব্যের চরিত্র চাঁদ সদাগর ‘দেবতা-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত, কারণ তিনি দেবতার নিয়ম ও শাস্তির বাইরে স্বাধীন চিন্তাভাবনা, মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ করেন। তার চরিত্র মঙ্গলকাব্যের কাহিনীকে রোমাঞ্চকর, অর্থবহ এবং পাঠককে চিন্তাশীল করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 day ago
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন -
Created: 3 weeks ago
A
মনসা ও সরস্বতী
B
মনসা ও চণ্ডী
C
চণ্ডী ও দুর্গা
D
মনসা ও কালী
মঙ্গলকাব্য হলো দেবমাহাত্ম্যমূলক এবং সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্য, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
ধারণা করা হয়, পনের থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারা বাংলায় রচিত হয়।
-
মঙ্গলকাব্য রচনার মূল কারণ: প্রায় সব কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে রচনা করেছেন।
-
প্রধান শাখা তিনটি: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল।
-
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা: মনসা, চণ্ডী, ধর্মঠাকুর, যেখানে মনসা ও চণ্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি।
-
একটি সার্থক মঙ্গলকাব্যে ৫টি অংশ থাকে: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল।
-
মঙ্গলকাব্যে ৬২ জন কবির সন্ধান পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য কবি: কানাহারি দত্ত, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র, দ্বিজমাধম, ঘনরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীদের মধ্যে মনসা ও চণ্ডী দেবী সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবী মূলত অনার্য জনগোষ্ঠীর দেব-দেবী।
0
Updated: 3 weeks ago
মঙ্গলকাব্য মূলত কীসের উপর ভিত্তি করে রচিত?
Created: 2 months ago
A
ঐতিহাসিক ঘটনা
B
যুদ্ধবিগ্রহ
C
দেবমাহাত্ম্য ও সমাজচিত্র
D
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
মঙ্গলকাব্য:
• মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা।
• দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক এ কাব্যই বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য।
• এ কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ নাশ ও সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয় এরূপ ধারণা থেকেই এর নাম হয়েছে মঙ্গলকাব্য।
• মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন মনসা, চন্ডী ও ধর্মঠাকুর।
• এঁদের মধ্যে মনসা ও চন্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি।
• এই তিনজনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলকাব্যের প্রধান তিনটি ধারা গড়ে উঠেছে মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল।
0
Updated: 2 months ago
’মনসামঙ্গল’ কাব্যের আদি কবি কে?
Created: 2 months ago
A
কানা হরিদত্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
মানিক দত্ত
D
দ্বিজ রামদেব
মনসামঙ্গল কাব্য
-
বিষয়: সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি ও কাহিনি
-
ধরন: এক ধরনের পদ্মপুরাণ
-
উৎস: বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
প্রধান চরিত্র:
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
অন্য কাব্য ও কবি:
-
চণ্ডীমঙ্গল → আদি কবি: মানিক দত্ত, প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
0
Updated: 2 months ago