চর্যাপদের পদগুলো মূলত-
A
শ্লোক
B
কবিতা
C
গান
D
ধাঁধা
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপগুলোর একটি, যা মূলত গান আকারে রচিত। এটি বৈদিক ও বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে মানুষের ধ্যান, ভক্তি, আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক জীবনের দিক তুলে ধরে। চর্যাপদের কবিতা বা শ্লোকের মতো লিখিত হলেও, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল স্বর ও তাল সহ গাইতে বা আবৃত্তি করতে পারা, অর্থাৎ এটি প্রায়শই গান আকারে ব্যবহৃত হত।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
স্বর ও ছন্দের উপযোগী: চর্যাপদের পদগুলো গান বা আবৃত্তির জন্য বিশেষভাবে রচিত, যাতে সহজে উচ্চারণ এবং তাল মিলিয়ে পাঠ করা যায়।
-
আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিষয়: এ পদগুলিতে মানবিক জীবন, ধর্মীয় ভাবনা, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং সামাজিক নৈতিকতা সংমিশ্রিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
প্রাচীন বাংলা সাহিত্য: চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীন সাহিত্য, যা মূলত পালি ভাষা ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের শুরু ও লোকসংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
-
সংগীত ও লয়: গান আকারে রচিত হওয়ায় পদগুলোর স্বর, তাল ও ছন্দের গুরুত্ব বেশি। এটি শুধুমাত্র পাঠ্য নয়, বরং শ্রবণ ও গানের মাধ্যমে ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে।
-
ধর্মীয় প্রভাব: চর্যাপদে বৌদ্ধ চেতনা এবং স্থানীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রভাব স্পষ্ট। গান আকারে রচনার মাধ্যমে পাঠক বা শ্রোতা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শিক্ষা ও নৈতিকতা উপলব্ধি করতে পারে।
সারসংক্ষেপে, চর্যাপদের পদগুলো মূলত গান আকারে রচিত, যা আধ্যাত্মিক চিন্তা, ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সহজ, ছন্দময় ও সঙ্গীতময়ভাবে প্রকাশ করে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ রূপ, যা গীতিময় আভাস এবং ধ্যানমগ্ন পাঠের জন্য উপযোগী।
0
Updated: 1 day ago
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন -
Created: 1 month ago
A
মুনিদত্ত
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
কীর্তিচন্দ্র
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
র্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কবিতা বা গানের সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। এটি বৌদ্ধ সহজিয়াগণের রচিত চর্যাগীতির সম্পূর্ণ সেট, যেগুলোতে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্ব এবং চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন এবং বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য বা কবিতাসংকলন।
চর্যাপদের ভাষা এবং বিষয়বস্তু যথেষ্ট দুর্বোধ্য, এবং এর কবিরা ছিলেন বৌদ্ধ সাধক বা সহজিয়া।
চর্যাপদের প্রথম আবিষ্কার করেন ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে।
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষায় অনুবাদের সন্ধান পান, যা কীর্তিচন্দ্র নামের এক ব্যক্তির।
চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মতবিরোধ থাকলেও মূলত ৬৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
সংক্ষেপে, চর্যাপদ বৌদ্ধধর্মের ভাবনা ও প্রার্থনার গানসমূহের এক সংগ্রহ, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯০৭ সালে
B
১৯০৯ সালে
C
১৯১৩ সালে
D
১৯১৬ সালে
চর্যাপদ
-
আবিষ্কার: ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন।
-
সংজ্ঞা: বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ / কবিতা সংকলন / গানের সংকলন।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
বিষয়বস্তু: চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখিত।
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
যতীন্দ্র মোহন বাগচী
C
প্রফুল্ল মোহন বাগচী
D
প্রণয়ভূষণ বাগচী
চর্যাপদকে ঘিরে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিহাসে পাওয়া যায়। ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং তা প্রকাশ করে দীর্ঘদিনের রহস্য বা চর্যার জট উন্মোচন করেন। উল্লেখযোগ্য যে, চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ, যেখানে বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক দিক উঠে এসেছে।
-
সুকুমার সেন তাঁর বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খন্ড) গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
পদসংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫১টি; তবে তাঁর চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে তিনি ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্তও ৫০টি পদ ব্যাখ্যা করেছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫০টি।
0
Updated: 4 weeks ago