মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাব্যনাট্য কোনটি?
A
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য
B
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা
C
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
D
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্য বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে, কারণ এটি দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, বীরত্ব ও ত্যাগের গল্পকে প্রকাশ করে। কাব্যনাট্য এই ধারা তুলে ধরে মানবিক অনুভূতি, যাত্রা ও সংগ্রামের গভীরতা। “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” কাব্যনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত এবং এতে জাতির মুক্তির লড়াই, শহীদদের ত্যাগ ও সাধারণ মানুষের কষ্টের প্রতিফলন পাওয়া যায়।
এই কাব্যনাট্যের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নান্দনিকতা: কাব্যনাট্যে যুদ্ধের দৃশ্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনচিত্র কাব্যিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটি পাঠক বা দর্শককে সরাসরি সেই সময়ের সংগ্রামের চেতনা অনুভব করায়।
-
মানবিক দিকনির্দেশনা: শুধু যুদ্ধের দৃশ্য নয়, চরিত্রগুলোর মানসিক অবস্থা, পরিবার, আশা-ভরসা ও বেদনা—এগুলোকে কাব্যিক ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। এটি পাঠককে শুধু ইতিহাস জানায় না, বরং মানবিক সম্পর্ক ও আবেগের গভীরতা বোঝায়।
-
সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: উপস্থাপিত দৃশ্যগুলো মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে। কাব্যনাট্যটি দেশপ্রেম, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামকে প্রধান থিম হিসেবে গ্রহণ করেছে।
-
ভাষার রূপ ও ছন্দ: লেখক শব্দচয়ন ও ছন্দের মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের মনে আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া জাগানোর চেষ্টা করেছেন। এতে যুদ্ধের করুণ বাস্তবতা এবং সংগ্রামের তীব্রতা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
-
সামাজিক প্রভাব: এটি কেবল বিনোদন নয়, পাঠক বা দর্শককে ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করে এবং জাতীয় চেতনার উদ্দীপনা জাগায়। বিশেষভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে এটি মুক্তিযুদ্ধের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা পৌঁছে দেয়।
সারসংক্ষেপে, “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” কাব্যনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এবং এটি শুধুমাত্র যুদ্ধের গল্প নয়, বরং মানুষের জীবনের আবেগ, সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতিফলন। এটি পাঠককে ঐতিহাসিক সত্য এবং জাতির মুক্তির জন্য লড়াই করা মানুষের দায়িত্ব ও সাহস সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন করে তোলে। কাব্যনাট্যটি দর্শক বা পাঠককে ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করে এবং মানবিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক শিক্ষা প্রদান করে, যা মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে।
0
Updated: 1 day ago
”শশী ও কুসুম” কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
আলালের ঘরের দুলাল
B
আনন্দমঠ
C
দেবী চৌধুরাণী
D
পুতুলনাচের ইতিকথা
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: "সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।" তাঁর উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ তে সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
-
উপন্যাসের শুরু হয় বজ্রাঘাতে নিহত হারু ঘোষের বর্ণনা দিয়ে।
-
নায়ক শশী ডাক্তার বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও, তার মধ্যে মড়াস্পর্শ অনুচিতসহ নানা কুসংস্কার কার্যকর থাকে।
-
উপন্যাসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের টানাপোড়েন ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় পুতুল বলতে বোঝানো হয়েছে সেই মানুষগুলোকে, যারা চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারে না; পুতুলের মতো সামান্য ধাক্কাতেই অন্যের ইশারায় পরিচালিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হারু ঘোষ, শশী, কুসুম প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পদ্মানদীর মাঝি
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
চিহ্ন
-
চতুষ্কোণ
-
সার্বজনীন
-
আরোগ্য ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'পদ্মাবতী' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
কবিতা
B
সনেট
C
নাটক
D
কাব্যগ্রন্থ
'পদ্মাবতী' হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি নাটক।
-
পদ্মাবতী নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে) তিনি প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রাম
-
পরিচিতি: মহাকবি ও নাট্যকার
-
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: The Captive Lady (ইংরেজিতে রচিত)
রচিত নাটকসমূহ:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
প্রহসনসমূহ:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
-
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শাস্তি' ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
চন্দরা, ছিদাম
B
রুপলেখা, অনন্ত
C
অনুরাধা, শ্রীবিলাস
D
অপর্ণা, সুরঞ্জিত
‘শাস্তি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা এবং মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দুই ভাই দুখিরাম ও ছিদাম এবং তাদের স্ত্রী চন্দরা ও রাধা।
গল্পে দেখা যায়, দারিদ্র্য ও অভাবের তাড়নায় জর্জরিত এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রমে জন্ম নেয় সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং মানসিক টানাপোড়েন। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা এমন এক চরম অবস্থায় পৌঁছে যায়, যার ফলস্বরূপ ঘটে মর্মান্তিক পরিণতি। গল্পের মূল ভাব হলো— পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানবিক দুর্বলতা এবং সামাজিক বাস্তবতার নির্মম প্রকাশ।
মূল চরিত্র
-
চন্দরা
-
ছিদাম
-
দুখিরাম
-
রাধা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তিনি মোট ১১৯টি ছোটগল্প রচনা করেছেন, যেখানে সমাজ, মনুষ্যজীবন ও আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ভিখারিণী
-
দেনা পাওনা
-
মনিহারা
-
পোস্টমাস্টার
-
এক রাত্রি
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
স্ত্রীর পত্র
-
নষ্টনীড়
-
কাবুলিওয়ালা
-
হৈমন্তী
-
মুসলমানীর গল্প
0
Updated: 3 weeks ago