রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
A
সোনার তরী
B
গীতাঞ্জলি
C
চিত্রা
D
ক্ষনিকা
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিলেন তাঁর অমর কাব্য ‘গীতাঞ্জলি’-র মাধ্যমে। এই গ্রন্থের জন্যই তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল কোনো ভারতীয় তথা এশীয় ব্যক্তির প্রথম নোবেল জয়। এই পুরস্কারের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়।
‘গীতাঞ্জলি’ মূলত এক অনন্য কাব্যসংকলন, যেখানে কবি ঈশ্বর, মানবতা ও প্রকৃতির সঙ্গে গভীর আত্মিক সম্পর্কের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এতে জীবন, মৃত্যু, প্রেম, প্রকৃতি ও ঈশ্বরভক্তি নিয়ে কবির চিন্তা ও অনুভূতি সহজ অথচ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে।
-
‘গীতাঞ্জলি’ প্রকাশকাল: ১৯১০ সালে বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং ১৯১২ সালে ইংরেজি অনুবাদ ‘Gitanjali: Song Offerings’ লন্ডনে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি অনুবাদে কবি নিজেই অনেক কবিতা নির্বাচন ও অনুবাদ করেন।
-
নোবেল পুরস্কারের বছর: ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
-
পুরস্কারের কারণ: নোবেল কমিটির ভাষায়, তাঁর “গভীর সংবেদনশীল, তাজা ও সুন্দর কবিতাগুলি—যা নিখুঁত দক্ষতায় তাঁর নিজস্ব ইংরেজি ভাষায় অনূদিত”—এই কারণেই তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
-
মূল ভাব: এই কাব্যের মূল সুর ঈশ্বরভক্তি ও মানবতার মিলন। কবি তাঁর আত্মার গান ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। প্রতিটি কবিতায় মানব ও পরমাত্মার একাত্মতা খুঁজে পাওয়া যায়।
-
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: সহজ ভাষা, সুরেলা ছন্দ, দার্শনিক গভীরতা ও সার্বজনীন ভাব এই কাব্যগ্রন্থকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
-
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: ‘গীতাঞ্জলি’ বাংলা কবিতার ভাবধারাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যায়। এটি শুধু ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক কাব্য নয়, বরং মানব জীবনের অন্তরঙ্গ অনুভূতির এক বিশ্বজনীন ব্যাখ্যা।
-
বিশ্বসাহিত্যে প্রভাব: ‘গীতাঞ্জলি’-র মাধ্যমে পশ্চিমা জগৎ প্রথমবারের মতো পূর্বের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হয়। এর প্রভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
-
অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ: পরে এটি ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশসহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়, যা এর বিশ্বজনীন আবেদন প্রমাণ করে।
সবশেষে বলা যায়, ‘গীতাঞ্জলি’ শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি এক আত্মার সঙ্গীত, যা মানবজীবন ও ঈশ্বরপ্রেমকে একসূত্রে বাঁধে। এই কাব্যের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এক অমর আসন লাভ করেন।
0
Updated: 1 day ago
Which of the following institutions received the Nobel Peace Prize in 2024?
Created: 1 month ago
A
International Campaign to Abolish Nuclear Weapons (ICAN)
B
Nihon Hidankyo
C
Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC)
D
The World Food Programme
২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হন জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও (Nihon Hidankyo), যা হিবাকুশা নামেও পরিচিত। সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা এবং পারমাণবিক অস্ত্র যে আর কখনো ব্যবহার হওয়া উচিত নয় তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য পুরস্কৃত হয়।
-
নিহন হিদানকিও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং হিবাকুশাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ ও বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
-
হিদানকিওকে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য প্রদানের জন্য।
-
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের সময় নির্ভীক সাংবাদিকতা প্রদানের জন্য ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন চারজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক।
-
এই চার সাংবাদিক হলেন আলোকচিত্রী মোতাজ আজাইজা, টিভি সাংবাদিক হিন্দ খৌদারি, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী বিশাস ওউদা, এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক ওয়ায়েল আল–দাহদৌহ।
-
৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় চলমান হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সময় ৪০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
-
এই সাংবাদিকরা গাজায় ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞের খবর বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।
২০২৪ সালের অন্যান্য নোবেল বিজয়ীরা:
-
সাহিত্য: হান কাং
-
চিকিৎসাবিজ্ঞান: ভিক্টর অ্যামব্রোস, গ্যারি রাভকান
-
পদার্থবিজ্ঞান: জন জে. হপফিল্ড, জিওফ্রে ই. হিন্টন
-
রসায়ন: ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস, জন এম. জাম্পার
-
অর্থনীতি: ড্যারন অ্যাসেমোগলু, সাইমন জনসন, জেমস এ. রবিনসন
0
Updated: 1 month ago
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান?
Created: 1 month ago
A
২০০৪ সালে
B
২০০৬ সালে
C
২০০৫ সালে
D
২০০৭ সালে
ড. মুহাম্মদ ইউনুস
ড. মুহাম্মদ ইউনুস একজন বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ (Microcredit) পদ্ধতির জনক হিসেবে পরিচিত এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
প্রमुख কৃতিত্ব ও স্বীকৃতি:
-
মুহাম্মদ ইউনুস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন, যা বাংলাদেশের জন্য প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার।
-
তিনি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরও অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
-
ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন দৃষ্টিকোণ ও উদ্ভাবনী সমাধান প্রবর্তন করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কে?
Created: 5 months ago
A
নার্গিস মোহাম্মাদী
B
শিরিন এবাদী
C
নাগিব মাহফুজ
D
প্রফেসর আবদুস সালাম
ইরানে নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য নার্গিস মোহাম্মাদী ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।" উল্লেখ্য পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টার জন্য ২০২৪ সালে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও [Nihon Hidankyo] শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে।
0
Updated: 5 months ago