বিভা : কিরণ :: সুবলিত: ?
A
সুবিদিত
B
সুগঠিত
C
সুবিনীত
D
বিধিত
উত্তরের বিবরণ
“বিভা” অর্থ আলোক বা উজ্জ্বলতা, আর “কিরণ” হচ্ছে সেই আলোকের প্রকাশ। অর্থাৎ, কিরণ বিভার ফল বা প্রকাশ। একইভাবে, “সুবলিত” মানে হচ্ছে সুন্দরভাবে গঠিত বা সাজানো কিছু। তাই এর সঙ্গে অর্থগতভাবে মিলবে “সুগঠিত”, কারণ এটি বোঝায় সুসংগঠিত বা সুন্দরভাবে নির্মিত কিছু।
-
বিভা মানে আলো বা দীপ্তি, যা প্রকাশ পায় কিরণে। কিরণ হলো বিভার প্রতিফলন।
-
সুবলিত মানে ভালোভাবে গঠিত বা সাজানো। এটি সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতার ইঙ্গিত দেয়।
-
সুগঠিত অর্থও একই ধরনের — অর্থাৎ, সুন্দরভাবে গঠিত বা শক্তভাবে নির্মিত কিছু।
-
দুই শব্দেই “সু” উপসর্গ রয়েছে, যা ভালো বা সুন্দর বোঝায়, এবং “গঠিত” শব্দটি “বলিত”-এর মতো গঠন বা বিন্যাসের ধারণা বহন করে।
-
এই কারণে “সুবলিত” ও “সুগঠিত” শব্দের মধ্যে সম্পর্ক “বিভা” ও “কিরণ”-এর মতোই — একটির মূল ভাব অপরটির প্রকাশ বা ফল।
অন্য বিকল্পগুলো কেন ভুল তা দেখা যাক:
-
সুবিদিত মানে সুপরিচিত বা বিখ্যাত, যা “সুবলিত”-এর সঙ্গে অর্থে মেলে না।
-
সুবিনীত মানে ভদ্র বা মার্জিত, যা গঠন বা বিন্যাসের ধারণা বহন করে না।
-
বিধিত মানে নির্ধারিত বা স্থির করা, যা “সুবলিত”-এর অর্থগত সম্পর্কের বাইরে।
তাই সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর হলো “সুগঠিত”, কারণ এটি “সুবলিত”-এর অর্থের সঙ্গে সমার্থক ও সম্পর্কযুক্ত।
0
Updated: 1 day ago
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন MCQ সমাধানঃ কোনটির মধ্য দিয়ে একটি দেশ এবং দেশের মানুষকে জানা যায়?
Created: 1 week ago
A
সাহিত্যচর্চা
B
ইতিহাসচর্চা
C
ধর্মচর্চা
D
শিল্পকলাচর্চা
একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিশ্বাস ও মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে তার শিল্পকলার মাধ্যমে। শিল্প শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি জাতির মানসিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনের অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। তাই শিল্পকলাচর্চার মাধ্যমে আমরা একটি দেশের প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের অন্তরজগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি।
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রকাশ: প্রতিটি দেশের নিজস্ব শিল্পরূপ থাকে—যেমন চিত্রকলা, সংগীত, নৃত্য, ভাস্কর্য বা স্থাপত্য। এসব শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে দেশের ঐতিহ্য ও জীবনধারা। যেমন বাংলাদেশের পটচিত্র, নকশিকাঁথা, বাউলগান আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
মানুষের আবেগ ও ভাবপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলা মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা প্রকাশের পথ। একজন শিল্পী তাঁর দেশের মানুষের অনুভূতি ও স্বপ্নকে শিল্পে রূপ দেন, যা দেশের মানসিক অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।
ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন: একটি সময়ের শিল্পকর্ম দেখে আমরা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকলা বা সংগীত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে।
সংস্কৃতির ধারক ও বাহক: শিল্পকলা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংস্কৃতি স্থানান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লোকগান, নাটক বা হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্য টিকে থাকে এবং জাতিসত্তা দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি গঠনে ভূমিকা: শিল্পকলার মাধ্যমেই একটি দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। যেমন বাংলাদেশের শিল্পী জয়নুল আবেদিন বা রেনেসাঁর যুগের ইউরোপীয় শিল্পীরা তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমাজসংস্কারের হাতিয়ার: শিল্প মানুষের চিন্তা বদলে দিতে পারে। নাটক, চলচ্চিত্র বা চিত্রকলার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, বৈষম্য বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
মানবিকতা ও সৌন্দর্যবোধ জাগিয়ে তোলে: শিল্পচর্চা মানুষকে সংবেদনশীল ও নৈতিক করে তোলে। এটি মানুষকে কেবল ভোগবাদ থেকে সরিয়ে মানবতার দিকে ফিরিয়ে আনে।
শিল্পকলাচর্চা কোনো দেশের কেবল সাংস্কৃতিক প্রকাশ নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে জানা যায় দেশের ইতিহাস, মানুষ, জীবনদর্শন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা। তাই একটি দেশ ও তার মানুষকে জানার শ্রেষ্ঠ পথ হলো শিল্পকলাচর্চা।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি ঠিক?
Created: 3 days ago
A
রৌদ্র করোটিতে-ভ্রমণ কাহিনী
B
রাইফেল রোটি আওরাত-নাটক
C
সোজবাদিয়ার ঘাট-সিনেমা
D
ঘর মন জানালা-উপন্যাস
“ঘর মন জানালা” একটি উপন্যাস, যা আধুনিক জীবনের জটিলতা, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সমাজবাস্তবতার সূক্ষ্ম চিত্র তুলে ধরে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই সঠিক উত্তর, কারণ অন্যান্য রচনাগুলো ভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম।
এই উপন্যাসে লেখক মানুষের মানসিক দিক, সামাজিক অবস্থান এবং পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের গঠন, ভাষা ও বর্ণনার ধরণ উপন্যাসের স্বাভাবিক রীতি অনুসারে তৈরি, যা একে অন্যান্য ঘরানার থেকে স্পষ্টভাবে পৃথক করেছে।
-
উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্র, ঘটনা ও পরিবেশের মাধ্যমে জীবনের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরা। “ঘর মন জানালা”-তে লেখক এই তিনটি উপাদানকে দক্ষতার সঙ্গে একত্র করেছেন।
-
গল্পে বাস্তবতা ও মানসিক গভীরতার সমন্বয় রয়েছে, যা পাঠককে চরিত্রদের অনুভূতি ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম করে তোলে।
-
লেখক এখানে সমাজ ও পারিবারিক মূল্যবোধের পরিবর্তন, মানুষের একাকিত্ব এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে কাহিনি বিন্যাস করেছেন, যা উপন্যাসের জন্য আদর্শ বিষয়।
-
ভাষা ও শৈলী সহজ হলেও গভীর আবেগময়। এতে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যেমন আছে, তেমনি বাস্তব জীবনের টানাপোড়েনও ফুটে উঠেছে।
-
“ঘর মন জানালা” নামটিও প্রতীকী— ‘ঘর’ মানে পারিবারিক পরিসর, ‘মন’ মানে ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর ‘জানালা’ মানে বাইরের জগতের দিকে মানুষের দৃষ্টিপাত। এই প্রতীকগুলোর মাধ্যমে লেখক মানুষের অন্তর্জগত ও বহির্জগতের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
কাহিনির অগ্রগতি ধীর এবং বাস্তবধর্মী, যা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য। নাটক বা গল্পের মতো সংক্ষিপ্ত নয়, বরং চরিত্র ও ঘটনার পরিপূর্ণ বিকাশ রয়েছে।
-
উপন্যাসটি পাঠককে শুধু বিনোদন দেয় না, বরং চিন্তা-ভাবনার দিকেও নিয়ে যায়। এটি সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক মূল্যবোধের পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানায়।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “রৌদ্র করোটিতে” একটি ভ্রমণকাহিনী, “রাইফেল রোটি আওরাত” একটি নাটক, এবং “সোজবাদিয়ার ঘাট” একটি চলচ্চিত্র। তাই শুধুমাত্র “ঘর মন জানালা” উপন্যাস হিসেবে সঠিক।
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, “ঘর মন জানালা”-ই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে উপন্যাস হিসেবে যথার্থ ও সঠিক উত্তর।
0
Updated: 3 days ago
“আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?” রাঘবে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি-
Created: 5 days ago
A
কর্মে ২য়া
B
করণে ৭মী
C
অপাদানে ৫মী
D
অপাদানে ৭মী
বাক্যটি হলো — “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?”। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘রাঘবে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অপাদান কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অপাদান কার (Ablative case) হলো এমন কার যা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু থেকে বিচ্যুতি বা উৎস নির্দেশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে অপাদানকে সাধারণত ‘থেকে’, ‘দ্বারা’, ‘এর দ্বারা’ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
৭মী বিভক্তি হলো ঐ শব্দের বিকৃত রূপ যা অপাদান কার নির্দেশ করে।
২. ‘রাঘবে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো রাঘব + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির মাধ্যমে বা দ্বারা নির্দেশ করার জন্য।
-
অর্থাৎ, ‘ভিখারী’ (ভিক্ষুক) রাঘবের মাধ্যমে বা রাঘব থেকে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে বোঝাচ্ছে।
-
তাই এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
(ক) কর্মে ২য়া: কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: রাম খেলো → ‘খেলো’ কর্মে।
-
(খ) করণে ৭মী: কোনো কাজের উপকরণ নির্দেশ করে, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → ‘লাঠি’ করণে।
-
(গ) অপাদানে ৫মী: ৫মী অপাদান ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা মাধ্যমের ক্ষেত্রে, কিন্তু এখানে ৭মী প্রযোজ্য।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘রাঘবে’ হলো কোন মাধ্যমে বা কার দ্বারা কিছু কার্য সম্পাদন হচ্ছে তা নির্দেশ করছে।
-
অতএব, এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘রাঘবে’ শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
0
Updated: 5 days ago