বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
A
২৮
B
৪৮
C
৬৮
D
৮৮
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বা Foreign Exchange Reserve হলো দেশের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি মূলত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সম্পদের মোট পরিমাণ বোঝায়। এই রিজার্ভ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আমদানি ব্যয় মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেন নির্বিঘ্ন রাখতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের দিক থেকে ৪৮তম স্থানে রয়েছে। এই অবস্থানটি মূলত দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং আমদানি ব্যয়ের ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো
• সংজ্ঞা ও উদ্দেশ্য: বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ হলো দেশের হাতে থাকা সেই অর্থনৈতিক সম্পদ, যা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও দেনা পরিশোধ করা হয়। এটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলয় হিসেবে কাজ করে।
• বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা: সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ বৈদেশিক রিজার্ভের ক্ষেত্রে বিশ্বে ৪৮তম অবস্থানে রয়েছে। রিজার্ভের এই পরিমাণ দেশীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
• রিজার্ভের উৎস: রিজার্ভ গঠিত হয় মূলত রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), বিদেশি বিনিয়োগ, এবং বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা থেকে।
• ব্যবহার: এই রিজার্ভ আমদানি ব্যয় মেটানো, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট এবং মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
• অর্থনৈতিক গুরুত্ব: রিজার্ভ যত বেশি, দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী বলে বিবেচিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দেশের প্রতি আস্থা বাড়ায় এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে।
• বর্তমান চ্যালেঞ্জ: আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক ঋণের চাপ এবং রেমিট্যান্সের ওঠানামা বাংলাদেশের রিজার্ভে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। তবে সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে রিজার্ভ শক্তিশালী রাখার চেষ্টা করছে।
সুতরাং, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৪৮তম, যা একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অবস্থান নির্দেশ করে।
0
Updated: 2 days ago
কোন সম্রাটগণ উপমহাদেশে প্রথম স্বর্ণমুদ্রা চালু করেন?
Created: 2 months ago
A
কুষাণ সম্রাটগণ
B
সেন সম্রাটগণ
C
শুঙ্গ সম্রাটগণ
D
মৌর্য সম্রাটগণ
কুষাণ যুগ ও স্বর্ণমুদ্রা
-
স্বর্ণমুদ্রার প্রবর্তন: উপমহাদেশে প্রথম স্বর্ণমুদ্রা চালু করেন কুষাণ সম্রাটরা।
-
প্রথম স্বর্ণমুদ্রা: কুষাণ সম্রাট বীম কদফিসেস সম্ভবত প্রথম স্বর্ণমুদ্রা প্রবর্তন করেন। মুদ্রার উপর বেদিতে যজ্ঞরত রাজার ছবি খোদিত।
-
প্রভাব: এই নকশা পার্থিয়ান রাজা গোটার্জেসের স্বর্ণমুদ্রার নকশা দ্বারা প্রভাবিত ছিল।
-
পরবর্তী সম্রাটদের নকশা: কুষাণ সম্রাট কনিষ্ক ও হুবিষ্ক তাদের স্বর্ণমুদ্রায় বিভিন্ন নকশা ও প্রতীক ব্যবহার করেন।
-
বাংলার অবস্থান: বাংলা সরাসরি কুষাণ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত না হলেও, বাংলার বিভিন্ন প্রত্নস্থানে কুষাণ মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
বাংলায় পাওয়া মুদ্রা: কনিষ্ক, হুবিষ্ক, মহানাদ কুষাণ, প্রথম বাসুদেব ও দ্বিতীয় বাসুদেবের স্বর্ণমুদ্রা।
0
Updated: 2 months ago