কোন দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
A
জার্মানি
B
ব্রিটেন
C
ফ্রান্স
D
স্পেন
উত্তরের বিবরণ
ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিহাসে “ব্রেক্সিট” নামে পরিচিত। এটি আধুনিক ইউরোপীয় রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা শুধু ব্রিটেন নয়, গোটা ইউরোপের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই সিদ্ধান্ত আসে জনগণের গণভোটের মাধ্যমে, যা দেখায় ব্রিটিশ জনগণের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত দীর্ঘদিনের বিভক্ত মনোভাব।
ব্রেক্সিটের মূল তথ্য ও পটভূমি:
– পূর্ণরূপ: Brexit শব্দটি এসেছে “Britain” এবং “Exit” শব্দ দুটির সমন্বয়ে, যার অর্থ “ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া।”
– গণভোট: ২৩ জুন ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫১.৯% ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং ৪৮.১% ভোটার থাকার পক্ষে ভোট দেন।
– কার্যকর প্রস্থান: দীর্ঘ রাজনৈতিক আলোচনার পর ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়।
– প্রধান রাজনৈতিক নেতা: ব্রেক্সিট প্রচারণার মুখ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন বরিস জনসন, যিনি পরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন এবং ব্রেক্সিট কার্যকর করেন।
– বেরিয়ে যাওয়ার কারণ:
• অনেক ব্রিটিশ নাগরিক মনে করতেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা তাদের অর্থনীতি ও অভিবাসন নীতির উপর অতিরিক্ত প্রভাব ফেলছে।
• কিছু মানুষ বিশ্বাস করতেন, EU ত্যাগ করলে যুক্তরাজ্য নিজের আইন, সীমান্ত ও বাণিজ্য নীতির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে।
• জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিল ভোটের প্রধান ইস্যু।
ব্রেক্সিটের প্রভাব:
– অর্থনৈতিক দিক: ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের মান কিছুটা হ্রাস পায়। অনেক ইউরোপীয় কোম্পানি ব্রিটেন থেকে তাদের অফিস স্থানান্তর করে।
– রাজনৈতিক প্রভাব: ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে ব্রেক্সিটের পর ঐক্যের প্রশ্নে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
– বাণিজ্যিক পরিবর্তন: যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নতুন বাণিজ্যিক চুক্তি করতে হয়, যা পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে পরিবর্তন আনে।
– উত্তর আয়ারল্যান্ড ইস্যু: ব্রেক্সিটের পর সবচেয়ে জটিল বিষয় ছিল আয়ারল্যান্ড সীমান্ত, যা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে আলোচনায় আসে।
সবশেষে বলা যায়, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত ছিল এক যুগান্তকারী রাজনৈতিক মোড়, যা ভবিষ্যতে ইউরোপের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ তৈরি করেছে। ব্রেক্সিট কেবল একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি ব্রিটিশ জনগণের আত্মপরিচয়, সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
0
Updated: 2 days ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে- (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
Created: 1 month ago
A
নরওয়ে
B
স্লোভেনিয়া
C
ফ্রান্স
D
জার্মানি
স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে, যা ঘোষণা করেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র আমদানি, রফতানি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
• জুলাইয়ের শুরুতে স্লোভেনিয়া দুইজন ইসরায়েলি কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে
• ইসরায়েল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হলেও অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র কেনে
• বিশেষ করে যুদ্ধবিমান, স্বয়ংক্রিয় বোমা ও মিসাইলসহ সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রদের উপর নির্ভরশীল
• শীর্ষ সমর্থক: যুক্তরাষ্ট্র, প্রতি বছর কমপক্ষে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান করে
• অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক: জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইতালি
0
Updated: 1 month ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
লিসবন চুক্তি
B
জেনেভা চুক্তি
C
প্যারিস চুক্তি
D
মাসট্রিচট চুক্তি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ রিরাইট করা হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১ নভেম্বর, ১৯৯৩, মাস্ট্রিচট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে
-
সদস্য সংখ্যা: ২৭টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: ক্রোয়েশিয়া
-
তখন থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম ট্রেডিং ব্লক হিসেবে পরিচিত
-
ব্রিটেন ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন কারণগুলো ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত?
Created: 1 month ago
A
ইউরো-জোনের ঋণ সংকট
B
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান সংঘাত
C
উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি
D
উপরোক্ত সবগুলো
ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়ার কারণগুলো মূলত ব্রিটিশ জনগণের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক স্থিতি এবং সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের ফল ছিল। তারা মনে করতেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা যুক্তরাজ্যের নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে সীমিত করছে এবং দেশের অর্থনীতি ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্যে চাপ সৃষ্টি করছে।
-
উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি: ইইউর উন্মুক্ত সীমান্তের কারণে অন্যান্য সদস্যদেশ থেকে ক্রমবর্ধমান অভিবাসন অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে।
-
অভিবাসী ঢেউ: ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সংঘাত থেকে আগত বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর আগমন এই উদ্বেগকে আরও তীব্র করে তোলে।
-
ইউরো-জোন ঋণ সংকট: বিশেষ করে গ্রিসের আর্থিক সংকট ও বেইলআউট ইইউর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে।
-
সার্বভৌমত্বের ক্ষতি: ইউরো সংশয়বাদীরা মনে করতেন যে যুক্তরাজ্য ধীরে ধীরে নিজের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা হারাচ্ছে।
-
ইইউ নিয়ন্ত্রণের প্রভাব: ইইউর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ ভোক্তা, নিয়োগকর্তা এবং পরিবেশ নীতিতে জটিলতা সৃষ্টি করে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে বাধা দিচ্ছিল।
0
Updated: 1 month ago