বাইনারি পদ্ধতিতে তথ্য প্রকাশের মৌলিক একক কোনটি?
A
মেগাবাইট
B
বাইট
C
কিলোবাইট
D
বিট
উত্তরের বিবরণ
বাইনারি পদ্ধতি হলো এমন একটি সংখ্যা পদ্ধতি যেখানে শুধুমাত্র দুটি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়— ০ (শূন্য) এবং ১ (এক)। এই পদ্ধতিতেই কম্পিউটার সমস্ত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে। এখানে প্রতিটি ০ বা ১ আলাদাভাবে একটি করে মান নির্দেশ করে, যা তথ্যের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক হিসেবে বিবেচিত। এই মৌলিক একককেই বলা হয় বিট (Bit)। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—
-
বিটের অর্থ ও ভূমিকা: "বিট" শব্দটি এসেছে “Binary Digit” থেকে। এটি তথ্যের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক যা শুধুমাত্র দুইটি মান (০ বা ১) প্রকাশ করতে সক্ষম। কম্পিউটারে প্রতিটি নির্দেশনা, ছবি, শব্দ বা লেখা— সবকিছুই শেষ পর্যন্ত বিটের সমন্বয়ে তৈরি হয়।
-
বাইটের সাথে সম্পর্ক: আটটি বিট মিলে গঠন করে একটি বাইট (Byte)। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা একটি অক্ষর যেমন ‘A’ লিখি, সেটি কম্পিউটারে ৮টি বিট বা ১ বাইট হিসেবে সংরক্ষিত হয়। অর্থাৎ, বাইট হলো বড় একক কিন্তু এর ভিত্তি গঠিত হয় বিট দিয়েই।
-
বাইনারি পদ্ধতিতে ব্যবহারের কারণ: কম্পিউটার ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে কাজ করে, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় বা হয় না— এই দুটি অবস্থাকে সহজে ১ (চালু) ও ০ (বন্ধ) দিয়ে প্রকাশ করা যায়। তাই বাইনারি বা দ্বিমিক পদ্ধতি কম্পিউটারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
-
বিটের ব্যবহার: বিট ব্যবহৃত হয় তথ্য স্থানান্তরের গতি বা সংরক্ষণের পরিমাণ বোঝাতে। যেমন, bps (bits per second) মানে প্রতি সেকেন্ডে কত বিট স্থানান্তরিত হচ্ছে। এটি ইন্টারনেট স্পিড বা নেটওয়ার্ক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
-
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
ক) মেগাবাইট ও গ) কিলোবাইট – এগুলো ডেটা সংরক্ষণের বড় একক। মেগাবাইটে থাকে প্রায় ১০ লক্ষ বাইট, আর কিলোবাইটে থাকে ১০২৪ বাইট।
খ) বাইট – এটি বিটের তুলনায় বড় একক; তবে বাইনারি পদ্ধতির মৌলিক একক নয়।
তাই শুধুমাত্র বিট-ই বাইনারি পদ্ধতিতে তথ্য প্রকাশের মূল একক হিসেবে গণ্য হয়।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো “বিট”, কারণ এটি দ্বিমিক পদ্ধতির সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও মৌলিক তথ্য একক যা দিয়ে কম্পিউটারের সমস্ত ডেটা প্রকাশ ও সংরক্ষণ করা হয়।
0
Updated: 2 days ago
বাইনারি সংখ্যা (1011011)2 এর দশমিক মান কত?
Created: 1 month ago
A
68
B
84
C
91
D
99
বাইনারি সংখ্যা (1011011)2 এর দশমিক মান হলো 91.
• বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর:
- বাইনারি থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য, প্রত্যেক বাইনারি অংককে তার স্থানীয় মান অনুযায়ী 2 এর ঘাত (power) দিয়ে গুণ করতে হয়।
- গুণ করার সময়, বাইনারি সংখ্যার সবচেয়ে ডানদিকের অংকটির স্থানীয় মান 20 থেকে শুরু করে বাম দিকে ক্রমান্বয়ে ঘাত বাড়াতে হয়।
- এরপর, প্রাপ্ত গুণফলগুলোকে যোগ করলে দশমিক মান পাওয়া যাবে।
এখানে,
1011011
= (1 × 26) + (0 × 25) + (1 × 24) + (1 × 23) + (0 × 22) + (1 × 21) + (1 × 20)
= (1 × 64) + (0 × 32) + (1 × 16) + (1 × 8) + (0 × 4) + (1 × 2) + (1 × 1)
= 64 + 0 + 16 + 8 + 0 + 2 + 1
= 91
সুতরাং, বাইনারি সংখ্যা 1011011 এর দশমিক মান হলো 91.
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
0
Updated: 1 month ago