'অনিল' শব্দের অর্থ কোনটি?
A
বাতাস
B
আকাশ
C
কোকিল
D
নীল
উত্তরের বিবরণ
অনিল শব্দটি বাংলা ভাষায় মূলত বাতাস অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
অর্থ: "অনিল" শব্দটি একটি সঞ্জ্ঞা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং এটি বাতাস বা হাওয়া বোঝায়।
-
সংস্কৃত ব্যুৎপত্তি: এই শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে এর মানে "বাতাস" বা "হাওয়া" ছিল।
-
প্রকাশ্য ব্যবহার: বাংলা সাহিত্যে অনেক সময় "অনিল" শব্দটি প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত দৃশ্যের বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়, যেমন বাতাসের দিক বা গতিবিধি।
-
বিভিন্ন রূপ: কখনো কখনো "অনিল" শব্দটি বিশেষ নাম হিসেবেও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, তবে তার মূল অর্থ বাতাস।
এছাড়া, আকাশ, কোকিল, এবং নীল শব্দগুলি "অনিল" এর অর্থের সাথে সম্পর্কিত নয়। "অনিল" শুধুমাত্র বাতাস এর প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন প্রাচীন সাহিত্য এবং কবিতায়।
0
Updated: 3 days ago
উদ্বাসন শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়া
B
বাসভূমির সম্মুখস্থ ভূমি
C
অজ্ঞাত বিষয় প্রকাশ করা
D
বিকাশ
উদ্বাসন শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ এবং এটি সংস্কৃত উৎসের। শব্দটির গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি প্রকৃতি-প্রত্যয় অনুসারে তৈরি: উৎ + √বস্ + ণিচ্ + অন(ল্যুট্)। এর অর্থ হলো স্বদেশ বা বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়া, এছাড়া এটি বাসত্যাগ, বিসর্জন এবং ত্যাগ বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
'প্রোষিতভর্তৃকা'- শব্দটির অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
ভর্ৎসনাপ্রাপ্ত তরুণী
B
যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে
C
ভূমিতে প্রোথিত তরুমূল
D
যে বিবাহিতা নারী পিত্রালয়ে অবস্থান করে
‘প্রোষিতভর্তৃকা’ শব্দের অর্থ হলো— যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে।
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ আসলে দীর্ঘ বাক্যের সংক্ষেপ রূপ। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ দেওয়া হলো—
-
যে নারীর পাঁচ স্বামী → পঞ্চভর্তৃকা
-
যে নারীর হিংসা নেই → অনসূয়া
-
যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে → প্রোষিতভার্য
-
লাভ করার ইচ্ছা → লিপ্সা
-
জয় করার ইচ্ছা → জিগীষা
-
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা → তিতীর্ষা
-
মুক্তি লাভের ইচ্ছা → মুমুক্ষা
-
গমন করার ইচ্ছা → জিগমিষা
এগুলো বোঝার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, কীভাবে বাংলা ভাষায় জটিল ধারণা একক শব্দে প্রকাশ করা হয়।
উৎস:আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
’লুই ভণই গুরু পুছিঅ জান।’- এখানে ’ভণই’ শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বলে
B
ভাবে
C
চায়
D
দেখে
পঙ্ক্তি 'লুই ভণই গুরু পূছিঅ জাণ।' চর্যার কবি লুইপার রচনা। আধুনিক গদ্যে রূপান্তর করলে অর্থ দাঁড়ায়: লুই বলেন, “গুরুকে জিজ্ঞাসা করে জানো।” পঙ্ক্তিতে ব্যবহৃত শব্দগুলোর অর্থ হলো:
-
ভণই: বলে, প্রকাশ করে (ভণতি > ভণই)
-
পূছিঅ: জিজ্ঞাসা করে (পুচ্ছতিঃ > পুচ্ছিঅ > পূছিঅ)
-
জাণ: জানো (জানথ > জানহ > জাণঅ > জাণ)

লুইপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
লুইপা 'চয্যাচর্যবিনিশ্চয়'-এর প্রথম কবি। তিব্বতি ঐতিহ্যে প্রাপ্ত চুরাশি জন সিদ্ধাচার্যের তালিকায় তার নাম আদিতম। তিনি চর্যার ১ ও ২৯নং পদের রচয়িতা।
-
অনেক পণ্ডিত তাকে প্রথম চর্যাগীতি রচয়িতা মনে করেন। তার জীবৎকাল ৭৩০–৮১০ খ্রিষ্টাব্দ, রাজা ধর্মপালের রাজত্বকাল। হিন্দিভাষীরা তাকে মগধ বা বিহারের অধিবাসী বলে দাবি করেন। যোগতন্ত্রশাস্ত্রেও লুইপার উল্লেখ রয়েছে।
-
তন্ত্রশাস্ত্রে লুইপার অন্য নাম মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ। মৎস্যের সঙ্গে নামের মিল থাকায় কিছু পণ্ডিত ১৮ চর্যাগীতি পাঠে তাকে শবরপা-এর শিষ্য ও ধীবর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
-
লুইপা অনেকের মতে আদি সিদ্ধাচার্য, যিনি সকল সিদ্ধাচার্যের গুরু। সংস্কৃত টীকাকার মুনি দত্ত তাকে আদি সিদ্ধাচার্য বলেছেন। তবে, তারানাথের মতে লুইপা ছিলেন চতুর্থ সিদ্ধাচার্য, আর সরহ ছিলেন আদি সিদ্ধাচার্য। তিনি উড্ডীয়ান-রাজ উদয়নের কর্মচারী এবং শবরপা-র শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
-
চর্যাগীতির লুইপা ও তন্ত্রশাস্ত্রের লুইপা সম্ভবত ভিন্ন ব্যক্তি, কারণ চর্যাগীতির লুইপা গৌড় অঞ্চলের অধিবাসী, আর মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ দক্ষিণবঙ্গের গোরক্ষনাথের গুরু ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মনে করেন লুইপা ছিলেন বাঙালি। রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন অনুযায়ী, লুইপা রাজা ধর্মপালের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
-
তিব্বতি অনুবাদের মাধ্যমে তার বৌদ্ধ দর্শন বিষয়ক তিনটি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়: 'শ্রীভগবদভিসময়', 'অভিসময়বিভঙ্গ', ও 'তত্ত্বস্বভাবদোহাকোষগীতিকাদৃষ্টিনাম'।
চর্যার ১নং পদ:
কাআ তরুবার পঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পইঠো কাল।। -
0
Updated: 1 month ago