ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা ভাষা পৃথিবীর কততম মাতৃভাষা?
A
নয়
B
আট
C
চার
D
ছয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষা পৃথিবীর ছয় নম্বর মাতৃভাষা হিসেবে পরিচিত। এটি ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে অন্যতম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলাদেশ: পুরো দেশের প্রায় ৯৫% জনসংখ্যা বাংলা ভাষায় কথা বলে, যা দেশের সরকারি ভাষাও।
-
ভারত: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসাম রাজ্যেও বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হয়। এখানকার ভাষাভাষীর সংখ্যা খুবই বড়।
-
বিশ্বব্যাপী প্রচার: বাংলা ভাষা শুধু বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু দেশ ও অঞ্চলে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কানাডা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ অন্তর্ভুক্ত।
-
মাতৃভাষী সংখ্যা: বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৩০-২৫০ মিলিয়ন, যা পৃথিবীর মোট মাতৃভাষী জনসংখ্যার মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছে। এই ভাষার গুরুত্ব শুধু সংখ্যার দিক থেকেই নয়, সাংস্কৃতিক এবং সাহিত্যিক ঐতিহ্যের দিক থেকেও অত্যন্ত ব্যাপক।
বাংলা ভাষা বিশ্বের একটি অন্যতম বৃহত্তম এবং সমৃদ্ধ ভাষা, যা সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
0
Updated: 3 days ago
বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল কোনটি?
Created: 5 months ago
A
দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী
B
একাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী
C
দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী
D
ত্রয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী
বাংলা ভাষার কালক্রম
১. প্রাচীন বাংলা (১০ম শতক – ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ):
প্রধান নিদর্শন:
-
চর্যাপদ (বৌদ্ধগান ও দোহা)
২. মধ্যযুগ (১৩৫০ – ১৮শ শতক):
এই সময়কে আবার দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:
ক. আদি-মধ্যযুগ (১৩৫০ – ১৫শ শতক):
প্রধান সাহিত্য নিদর্শনসমূহ:
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন – বড়ু চণ্ডীদাস (১৪শ শতক)
-
শ্রীকৃষ্ণবিজয় – মালাধর বসু (১৫শ শতক)
-
রামায়ণ – কৃত্তিবাস (১৫শ শতক)
-
মনসাবিজয় – বিপ্রদাস পিপিলাই (১৫শ শতক)
-
চণ্ডীমঙ্গল – মানিক দত্ত (১৫শ শতক)
-
ইউসুফ-জুলেখা – শাহ মুহম্মদ সগীর (আনুমানিক ১৫শ শতক)
-
পদ্মাপুরাণ (মনসামঙ্গল) – বিজয়গুপ্ত (১৫শ শতক)
খ. অন্ত্য-মধ্যযুগ (১৬শ – ১৮শ শতক):
প্রধান সাহিত্য নিদর্শনসমূহ:
-
চণ্ডীমঙ্গল – মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (১৬শ শতক)
-
লাইলী-মজনু – দৌলত উজির বাহরাম খান (১৬শ শতক)
-
পদ্মাবতী – আলাওল (১৭শ শতক)
-
সতীময়না ও লোরচন্দ্রাণী – দৌলত কাজী (১৭শ শতক)
-
মহাভারত – কাশীরাম দাস (১৭শ শতক)
-
অন্নদামঙ্গল – ভারতচন্দ্র (১৮শ শতক)
৩. আধুনিক বাংলা (১৯শ শতক – বর্তমান):
এই সময় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আধুনিকতা, পাশ্চাত্য প্রভাব ও ছাপাখানার ভূমিকা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)।
0
Updated: 5 months ago
নিম্নে কোনটি থেকে বাংলা ভাষার জন্ম?
Created: 2 months ago
A
প্রাকৃত
B
কেন্তুম
C
দ্রাবিড়ীয়
D
সংস্কৃত
• বাংলা ভাষা:
- বাঙালি জনগোষ্ঠী যে ভাষা দিয়ে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে তার নাম বাংলা ভাষা।
- বাংলা ভাষাও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের সদস্য।
- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের আদি ভাষা বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে।
• এই বিবর্তনে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্তর বাংলা ভাষাকে অতিক্রম করতে হয়েছে,
সেগুলো হলো:
- ইন্দো-ইউরোপীয় → ইন্দো-ইরানীয়→ ভারতীয় আর্য→ প্রাকৃত→ বাংলা।
- আনুমানিক এক হাজার বছর আগে পূর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে।
- বাংলা ভাষার লিখিত রূপের প্রাচীনতম নিদর্শন 'চর্যাপদ'।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন কোনটি?
Created: 3 months ago
A
মধুমালতী
B
সিকান্দারনামা
C
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
D
বৈষ্ণব পদাবলী
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে গণ্য করা হয়। এই কাব্যটি রচনা করেছিলেন কবি বড়ু চণ্ডীদাস, এবং ধারণা করা হয় এটি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ বা চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুর দিকে লেখা হয়েছিল। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মূলত প্রেমকেন্দ্রিক একটি আখ্যান কাব্য, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
0
Updated: 3 months ago