‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি মূলত দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জনজীবনের সরলতা ও আনন্দকে উদযাপন করে। গানটি শিশু ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগাতে ব্যবহৃত হয়। এর রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়, যিনি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি মূলত শিশু সাহিত্য, গান ও নাটকের মাধ্যমে সমাজে শিক্ষামূলক বার্তা প্রচারের জন্য খ্যাত। তাঁর লেখায় সাধারণ মানুষের জীবনধারা, প্রকৃতি এবং দেশপ্রেমের অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে, যা আজও পাঠক এবং শ্রোতাদের কাছে প্রাণবন্ত।
দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের রচনার বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়:
-
তিনি সহজ ও সাবলীল ভাষায় দেশপ্রেম এবং মানবিক মূল্যবোধ ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
তার গানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও গ্রামের জীবনধারা সুন্দরভাবে চিত্রায়িত হয়েছে।
-
শিশুসাহিত্যে তার অবদান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি শিশুদের মননশীলতা এবং শিক্ষামূলক আনন্দ যুগিয়েছেন।
-
তার লেখা গান ও কবিতায় প্রায়শই জাতীয়তা, নৈতিকতা এবং আনন্দময় জীবনধারাকে সমন্বিত করে তোলা হয়েছে।
এই particular গানে আমরা দেখতে পাই, কিভাবে ধানক্ষেত, ফুলবাগান এবং সাধারণ জীবনের সৌন্দর্যকে উদযাপন করা হয়েছে। গানটি কেবল মনোরঞ্জনমূলক নয়, বরং এটি শিশুদের মধ্যে প্রকৃতি ও দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগানোর জন্যও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় বাংলা সাহিত্যকে নতুন দৃষ্টিকোণ ও শিক্ষামূলক বিষয়বস্তুর সংযোজন দিয়েছেন।
সারসংক্ষেপে, গানটি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও কৃষিজীবনের আনন্দকে তুলে ধরে, এবং দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের লেখনী সেই চিত্রকে প্রাণবন্ত ও সহজবোধ্য করে তোলে। তাই এই গানটির রচয়িতা হিসেবে দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়কে চিহ্নিত করা হয়েছে।