ISIS কোন দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন?
A
সিরিয়া
B
ইরাক
C
ইরাক ও সিরিয়া
D
আন্তর্জাতিক
উত্তরের বিবরণ
২০১৪ সালের জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করে আইএস (ইসলামিক স্টেট)। সংগঠনটি নিজেদের খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি করে এবং দ্রুত ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নেয়, যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে।
-
২০১৪ সালের জুনে আইএস ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে খিলাফতের ঘোষণা দেয়।
-
তারা সিরিয়ার রাকা শহরকে রাজধানী ঘোষণা করে এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচালনা শুরু করে।
-
পাশাপাশি ইরাকের মসুল শহরকে দ্বিতীয় রাজধানী ঘোষণা করা হয়, যা তাদের দখলকৃত অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
-
আইএসের উত্থান দ্রুতই আন্তর্জাতিক হুমকিতে পরিণত হয়, কারণ তারা সহিংসতা, জঙ্গিবাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে পরিচিতি পায়।
-
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ৭৯টি দেশ যৌথভাবে বিমান হামলা চালায়, যাতে আইএসের দখলকৃত এলাকা সংকুচিত হতে থাকে।
-
পাশাপাশি সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণেও আইএস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
ক্রমাগত সামরিক চাপে আইএসের শক্ত ঘাঁটি রাকা ও মসুল পতিত হয়, ফলে তাদের তথাকথিত খিলাফত ভেঙে যায়।
-
বর্তমানে সংগঠনটি প্রভাব হারিয়ে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে, যদিও এর আদর্শিক প্রভাব কিছু অঞ্চলে এখনও অব্যাহত।
0
Updated: 3 days ago
আবু গারিব বলতে কি বোঝায়?
Created: 3 months ago
A
একজন বিখ্যাত দার্শনিক
B
একটি যাদুঘর
C
একটি জেলখানা
D
একজন বৈজ্ঞানিক
আবু গারিব
আবু গারিব একটি প্রখ্যাত কারাগার, যা ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
বৈশিষ্ট্য ও ইতিহাস
-
এই কারাগারটি সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে (১৯৭৯–২০০৩) ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক ও নির্যাতনের জন্য।
-
সে সময় এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ প্রতীক হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে।
-
২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনী ইরাকে অভিযান চালানোর পর আগস্ট মাসে আবু গারিব পুনরায় চালু করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
তথ্যসূত্র: Britannica
0
Updated: 3 months ago
'ইদলিব' শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
ইরান
B
সিরিয়া
C
ইরাক
D
লেবানন
0
Updated: 5 days ago
কোন দেশের গৃহযুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অভিবাসী সংকট সৃষ্টি হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
সিরিয়া
B
লেবানন
C
আফগানিস্তান
D
ইরাক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও ইউরোপের অভিবাসী সংকট
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ মারা যায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অনেকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী দেশ
যেমন তুরস্ক, লেবানন ও জর্ডানে গিয়ে ওঠে।কিন্তু সেখানেও জায়গার অভাব ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেকেই পরে ইউরোপের দিকে রওনা হয়।
এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপে পৌঁছানোর পর বিভিন্ন দেশে অভিবাসন সমস্যা তৈরি হয়। সমাজে নতুন চাপ পড়ে, রাজনৈতিক মতভেদ বাড়ে এবং মানবিক সংকট দেখা দেয়।
যদিও আফগানিস্তান ও ইরাক থেকেও অনেকে পালিয়েছে, তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকেই ইউরোপে অভিবাসী সংকটের সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে।
তথ্যসূত্র: UNHCR, ইউরোপীয় কমিশন ও বিভিন্ন পত্রিকা।
0
Updated: 3 months ago