কোথায় সেনাবাহিনী নেই?
A
সুদান
B
সাইপ্রাস
C
মালদ্বীপ
D
জাপান
উত্তরের বিবরণ
মালদ্বীপে কোনো স্থায়ী সেনাবাহিনী নেই, তবে দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সীমিত আকারের একটি সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে যা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সামুদ্রিক সীমানা রক্ষা ও দুর্যোগকালীন সহায়তার কাজ করে।
- 
মালদ্বীপের সশস্ত্র বাহিনীর নাম মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (MNDF), যা মূলত নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করে। 
- 
এটি প্রথাগত অর্থে সেনাবাহিনী নয়, কারণ এর কোনো ভারী অস্ত্র, ট্যাঙ্ক বা যুদ্ধবিমান নেই। 
- 
দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দায়িত্ব ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। 
- 
মালদ্বীপের প্রধান নিরাপত্তা দায়িত্ব হলো সামুদ্রিক সীমানা, কোস্টগার্ড কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা। 
- 
আন্তর্জাতিক সংঘাতে অংশগ্রহণ বা যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা এই বাহিনীর নেই। 
- 
তাই মালদ্বীপকে এমন একটি দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে কোনো স্থায়ী সেনাবাহিনী নেই। 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 3 days ago
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য কোন দেশটি সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছে?
Created: 2 months ago
A
ফিজি
B
পাপুয়া নিউগিনি
C
গোয়াম
D
মালদ্বীপ
মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক
মালদ্বীপ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ডুবুরির পোশাকে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের জন্য বিশেষভাবে টেবিল বসানো হয়, যার চারপাশে প্রবাল এবং উজ্জ্বল রঙের মাছের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা হাতের ইশারায় আলোচনা করেন এবং দলিলে স্বাক্ষর করেন। যারা স্কুবা ডাইভিং জানতেন না, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক থাকতেন।
বৈঠকের পর জলের ওপর উঠে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নাশিদ জানান, এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বিশ্বের কাছে জরুরি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বৈঠক থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার এবং অন্যান্য ২২ জন মন্ত্রী হিমালয়ের কালাপাথর শৃঙ্গ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,১৯২ ফুট উচ্চতায় বৈঠক করেছিলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ বিপজ্জনকভাবে গলছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল অন্যতম। তিনি তুষারের স্বাভাবিক চূড়ান্ত দৃশ্য ও তুষারঝড় দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭ অক্টোবর ২০০৯; ডয়েচভেলে রিপোর্ট।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago