ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনায় মূল দায়িত্ব পায়-
A
জেনারেল আবরার হোসেন
B
রাও ফরমান আলী
C
নিয়াজি খান
D
গোলাম মুহাম্মদ
উত্তরের বিবরণ
অপারেশন সার্চলাইট:
- ১৮ই মার্চ টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী 'অপারেশন সার্চলাইট' পরিচালনার নীলনকশা তৈরি করেন।
- ১৯শে মার্চ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু হয়।
- ২০শে মার্চ সরকার অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ জারি করে।
- ঐ দিন জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা হামিদ খান, জেনারেল টিক্কা খান, জেনারেল পিরজাদা, জেনারেল ওমর প্রমুখকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সামরিক প্রস্তুতিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
- এ সময় প্রতিদিন ৬টি থেকে ১৭টি পর্যন্ত পিআইএ ফ্লাইট বোয়িং ৭০৭ বিমান সৈন্য ও রসদ নিয়ে ঢাকা আসে এবং অসংখ্য সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই হয়ে আসা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষা করে।
- ২৪শে মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এম ভি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র ও রসদ খালাস শুরু হয়।
- ২৫শে মার্চ গণহত্যার জন্য বেছে নেওয়া হয়।
- মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইটের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়।

0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কতজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে?
Created: 1 month ago
A
৬৩ হাজার
B
৭৩ হাজার
C
৮৩ হাজার
D
৯৩ হাজার
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
আত্মসমর্পণ ব্যতীত বিকল্প পথ না থাকায় বিপর্যস্ত পাক-বাহিনী ১৫ ডিসেম্বর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে সম্মত হয়।
-
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
ঐ দিন বিকাল ৪টা ১৯ মিনিটে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩,০০০ সৈন্য ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
-
নিয়াজী পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
-
উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নির্বাসিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
অপারেশন জ্যাকপট কী ধরনের অভিযান ছিল?
Created: 1 month ago
A
স্থল
B
বিমান
C
নৌ
D
কোনটি নয়
-
অপারেশন জ্যাকপট
-
অপারেশন জ্যাকপট ছিল একটি নৌ-কমান্ডো পরিচালিত নৌ-অভিযান, যেখানে জলপথে পাকিস্তানি বাহিনীকে আঘাত করা হয়।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডোরা বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ে যুদ্ধের গতি সম্পর্কে বিশ্বকে ধারণা দিতে সক্ষম হয়।
-
প্রথম অভিযান: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট নৌ-কমান্ডো বাহিনী একযোগে মংলা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর আক্রমণ করে।
-
এ অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়া হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাঞ্চলকে যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, তার মধ্যে ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো।
-
মূলত এই সেক্টরটি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ অন্তর্ভুক্ত করত।
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
১১টি
মুজিবনগর সরকার পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করে, যেখানে সামরিক ও বেসামরিক সকল জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী, যাকে গণবাহিনী নামে পরিচিত করা হয়।
-
গণবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মী, যারা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন।
-
গণবাহিনীর মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা।
-
নিয়মিত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত থাকতেন।
-
১৪ এপ্রিল ১৯৭১ কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।
-
বাংলাদেশ বাহিনীর হেডকোয়ার্টার কোলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।
মে ও জুন মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করা হয়:
-
‘কে’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান

0
Updated: 2 weeks ago