'কেতা দুরস্ত'-বাগধারার অর্থ-
A
পরিপাটি
B
মাস্তান
C
কপর্দক
D
অকালপক্ব
উত্তরের বিবরণ
‘কেতা দুরস্ত’ বাংলা ভাষার একটি জনপ্রিয় ও প্রবাদবহুল বাগধারা, যা কথ্য ও সাহিত্যিক উভয় ভাষাতেই ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি সাধারণত এমন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যিনি পোশাক-পরিচ্ছদে ও আচরণে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, ফ্যাশনসচেতন ও পরিপাটি। তাই এর অর্থ হলো ‘পরিপাটি’ বা ‘সাজসজ্জায় সুশৃঙ্খল ব্যক্তি’।
‘কেতা’ শব্দটি মূলত এসেছে ‘কেতাদুরস্ত’ বা ‘কেতা’ থেকে, যার অর্থ ফ্যাশন, রুচি বা পোশাকের ধরন। অন্যদিকে, ‘দুরস্ত’ শব্দটির অর্থ ঠিকঠাক, সঠিক বা উপযুক্ত। এই দুটি শব্দ একত্রে ‘কেতা দুরস্ত’ বাগধারায় রূপ নেয়, যা দ্বারা এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যিনি নিজের চেহারা, পোশাক বা উপস্থাপনায় বিশেষ যত্নবান।
বাংলা সমাজে এই বাগধারাটি প্রায়ই রসাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন কেউ যদি সবসময় ইস্ত্রি করা জামা পরে, চুল সুন্দরভাবে আচড়ায়, জুতো চকচকে রাখে, এবং নিজের সাজসজ্জায় অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়— তখন মানুষ বলে থাকে, “লোকটা বেশ কেতা দুরস্ত।” এতে বোঝানো হয়, সে ব্যক্তি নিজের বাহ্যিক চেহারায় খুব যত্নশীল ও ফ্যাশনসচেতন।
এই বাগধারার সামাজিক তাৎপর্যও লক্ষ্যণীয়। অনেক সময় ‘কেতা দুরস্ত’ বলে এমন ব্যক্তিকেও ব্যঙ্গার্থে বোঝানো হয়, যিনি অতিরিক্ত সাজগোজে ব্যস্ত থেকে বাস্তব কাজের প্রতি মনোযোগী নন। আবার অন্য দিক থেকে, এটি ইতিবাচক অর্থেও ব্যবহার হয়, যেখানে বোঝানো হয় একজন পরিপাটি, আত্মবিশ্বাসী ও পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ।
বাংলা সাহিত্য ও নাটকে এই বাগধারার ব্যবহার বহুল দেখা যায়। লেখকরা চরিত্রের ভঙ্গি, পোশাক বা আচার-আচরণ তুলে ধরতে ‘কেতা দুরস্ত’ শব্দটি প্রয়োগ করেন। এর মাধ্যমে পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন চরিত্রটির সামাজিক রুচি ও মানসিকতা কেমন।
সুতরাং বলা যায়, ‘কেতা দুরস্ত’ বাগধারাটি এমন ব্যক্তির গুণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যিনি পোশাকে, চেহারায় ও ব্যবহারে পরিপাটি, রুচিশীল ও পরিচ্ছন্ন। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো — ক) পরিপাটি।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 3 days ago
‘সাক্ষী গোপাল’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
অপদার্থ
B
মূর্খ
C
নিরেট বোকা
D
নিষ্ক্রিয় দর্শক
সাক্ষী গোপাল বাগধারাটির অর্থ নিষ্ক্রিয় দর্শক বা যার কোন ভূমিকা নেই।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তি” কোন বাগধারা দিয়ে বোঝানো হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
বুদ্ধির ঢেকি
B
পোয়া বারো
C
ধর্মের ষাঁড়
D
রাহুর দশা
ক) বুদ্ধির ঢেকি – যে কোনো কিছুতেই বুদ্ধি খাটায়, কিন্তু কাজের কাজ করে না।
খ) পোয়া বারো – খুবই সুখের সময়, চরম আনন্দ বা সুযোগপ্রাপ্তি।
গ) ধর্মের ষাঁড় – যে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যায়ভাবে, স্বেচ্ছাচারীভাবে আচরণ করে।
ঘ) রাহুর দশা – দুঃসময়, অশুভ পরিস্থিতি।
সঠিক উত্তর: গ) ধর্মের ষাঁড়
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়-
Created: 3 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
নিত্য সমাস
নিত্য সমাস
যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে।
যেমন:
- অন্য দেশ = দেশান্তর;
- ঈষৎ লাল = লালচে,
- অন্যকাল = কালান্তর ইত্যাদি,
- দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই,
- কেমল দর্শন = দর্শনমাত্র।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
                                                                                             
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago