নাবিক এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
নৈ + বিক
B
নো +ইক
C
নে + ইক
D
কোনোটি নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সন্ধি এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে দুটি ধ্বনি বা শব্দ মিলিত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। এই মিলনের ফলে উচ্চারণ ও অক্ষর উভয়েরই পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু সব শব্দই সন্ধি দ্বারা গঠিত নয়; কিছু শব্দ নিজস্ব রূপে মৌলিক বা তৎসম, অর্থাৎ কোনো সন্ধি প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভূত নয়। প্রশ্নে উল্লিখিত শব্দ “নাবিক” তেমনই একটি শব্দ। সঠিক উত্তর “কোনোটি নয়” কারণ “নাবিক” শব্দের কোনো সন্ধি বিচ্ছেদ হয় না।
নাবিক শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত “নাবিক” শব্দ থেকেই, যার অর্থ নৌযান চালক বা জলযানের অধিনায়ক।
-
“নাব” শব্দটি সংস্কৃত “নৌ” বা “নৌকা” অর্থে ব্যবহৃত হয়, যার সঙ্গে “ইক” প্রত্যয় যুক্ত হয়ে “নাবিক” শব্দটি গঠিত হয়েছে।
-
তবে এই যোগসূত্রটি সন্ধি নয়, বরং প্রত্যয় যোগে শব্দগঠন। অর্থাৎ এখানে শব্দের কোনো ধ্বনি মিলন বা পরিবর্তন ঘটেনি, শুধু মূল শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
-
ব্যাকরণ অনুসারে, সন্ধি তখনই হয় যখন দুটি শব্দ বা ধাতু মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে এবং সেখানে উচ্চারণগত পরিবর্তন দেখা যায়, যেমন— “রাজ + ইন্দ্র = রাজেন্দ্র” বা “গুরু + আচার্য = গুরুাচার্য”।
-
কিন্তু “নাবিক” শব্দে এমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অন্য বিকল্পগুলো ভুল কারণ—
-
নৈ + বিক: এখানে “নৈ” কোনো অর্থবোধক শব্দ নয়, তাই এর মাধ্যমে “নাবিক” তৈরি সম্ভব নয়।
-
নো + ইক: ধ্বনিগতভাবে কাছাকাছি মনে হলেও “নো” শব্দটি আলাদাভাবে অর্থবোধক নয় এবং এই রূপটি ব্যাকরণগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।
-
নে + ইক: একইভাবে, “নে” ও “ইক” মিলে কোনো অর্থপূর্ণ বা প্রামাণ্য রূপ দেয় না।
মূল যুক্তিগুলো হলো:
-
“নাবিক” একটি তৎসম শব্দ, যা সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে গৃহীত।
-
এতে কোনো স্বর বা ব্যঞ্জনের পরিবর্তন হয়নি, তাই এটি সন্ধি নয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে মূল শব্দ “নৌ” বা “নাব” থেকে “ইক” প্রত্যয় সংযোজনে।
সুতরাং, “নাবিক” শব্দে কোনো সন্ধি প্রক্রিয়া বিদ্যমান নেই। তাই প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তর হলো “কোনোটি নয়”।
0
Updated: 3 days ago
উৎ + শ্বাস- এটি কোন সন্ধি?
Created: 2 months ago
A
নিপাতনে সিদ্ধ
B
স্বরসন্ধি
C
ব্যঞ্জন সন্ধি
D
জটিল সন্ধি
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস । এটি ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ । ত্ ও দ্ - এর পর শ্ থাকলে পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ এর স্থলে চ্ এবং শ্ - এর স্থলে ছ উচ্চারিত হয়।
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদের কোন পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে?
Created: 1 month ago
A
২৩ নং পদ
B
২১ নং পদ
C
৩৪ নং পদ
D
৪৮ নং পদ
চর্যাপদ ও ২৩ নং পদ
চর্যাপদ:
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন
অন্যান্য নাম: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি
মোট ৫১টি পদ
প্রাপ্ত পদ: সাড়ে ৪৬টি
২৩ নং পদ:
খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে
পাওয়া গেছে: ৬টি পদ
অনুপস্থিত: ৪টি পদ
রচয়িতা: ভুসুকুপা
অন্যান্য হারিয়ে যাওয়া পদসমূহ:
২৪, ২৫, ৪৮ নং পদও পাওয়া যায়নি
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
“জনৈক“ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ -
Created: 1 week ago
A
জন + ইক
B
জন + এক
C
জনৈ + এক
D
জন + ঈক
“জনৈক” শব্দটি একটি সন্ধি-যুক্ত শব্দ, যা দুটি অংশের মিলনে গঠিত হয়েছে। এ ধরনের শব্দ বিশ্লেষণে মূল লক্ষ্য থাকে কোন ধরণের স্বরসন্ধি ঘটেছে এবং সেই অনুযায়ী শব্দের প্রকৃত রূপ নির্ধারণ করা। এখানে “জনৈক” শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ জন + এক।
এই সন্ধির ব্যাখ্যা নিম্নরূপ—
প্রথম অংশ ‘জন’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ মানুষ বা ব্যক্তি। এটি একক সত্তা বা কোনো ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় অংশ ‘এক’ শব্দটির অর্থ একমাত্র বা এক ব্যক্তি। যখন এই দুটি শব্দ একত্রিত হয়, তখন স্বরসন্ধির নিয়ম অনুযায়ী ‘অ’ ও ‘এ’ মিলিত হয়ে ‘অৈ’ হয়। ফলে জন + এক → জনৈক।
বাংলা ব্যাকরণে এই পরিবর্তনকে “অকারান্ত শব্দের সঙ্গে এক বা এস” যুক্ত হলে “অৈ” সৃষ্টির নিয়ম হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। এটি গুণ সন্ধি বা অয়াদেশ সন্ধি নামেও পরিচিত।
এই নিয়মটি ভালোভাবে বোঝাতে কিছু দিক তুলে ধরা হলো—
-
স্বরসন্ধির ধরন: এখানে ‘অ’ এবং ‘এ’ দুই স্বরধ্বনির মিলনে নতুন স্বরধ্বনি ‘অৈ’ উৎপন্ন হয়েছে, যা গুণ সন্ধির একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
-
সন্ধি সূত্র: “অ + এ = ঐ” — এই সূত্র অনুযায়ী “জন + এক” মিলিত হয়ে “জনৈক” রূপ নেয়।
-
অর্থের স্থিতি: দুটি শব্দের অর্থ পরিবর্তিত না হয়ে একত্রে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে যার অর্থ ‘একজন’ বা ‘কোনো এক ব্যক্তি’।
-
ব্যবহার: সাহিত্য বা আনুষ্ঠানিক ভাষায় “জনৈক ব্যক্তি”, “জনৈক ভদ্রলোক” প্রভৃতি রূপে শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যা কোনো নির্দিষ্ট নয় বরং অনির্দিষ্ট এক ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
-
সমার্থক উদাহরণ: অনুরূপভাবে ‘অধঃ + এক’ → ‘অধৈক’, বা ‘পর + এক’ → ‘পরৈক’ ইত্যাদি শব্দেও একই সন্ধি নিয়ম কার্যকর।
সুতরাং দেখা যায়, “জনৈক” শব্দটি জন + এক এই দুই অংশের মিলনে গঠিত। এখানে স্বরসন্ধির ফলে ‘অ’ এবং ‘এ’ একত্রে ‘অৈ’ ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে, যা গুণ সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী ব্যাখ্যাত।
উ. খ) জন + এক
ব্যাখ্যা: ‘জন’ ও ‘এক’ শব্দ দুটি যুক্ত হয়ে স্বরসন্ধির নিয়মে ‘অ’ + ‘এ’ → ‘অৈ’ হয়। ফলে ‘জন + এক’ → ‘জনৈক’ রূপটি গঠিত হয়, যার অর্থ কোনো একজন ব্যক্তি বা অনির্দিষ্ট এক মানুষ।
0
Updated: 1 week ago