সুন্দরবন বাংলাদেশের কতটি জেলায় রয়েছে?
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৫টি
উত্তরের বিবরণ
সুন্দরবন বাংলাদেশের ৩টি জেলায় বিস্তৃত।
এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সুন্দরবন মূলত বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা—এই তিনটি জেলায় বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে আছে।
ভৌগোলিকভাবে বিশ্লেষণ করলে—
-
খুলনা জেলা: সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় অংশ খুলনা জেলায় অবস্থিত, যেখানে কটকা, হারবাড়িয়া ও দুবলার চরসহ গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল রয়েছে।
-
বাগেরহাট জেলা: এই অংশে করমজল, হিরণ পয়েন্ট ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র অবস্থিত।
-
সাতক্ষীরা জেলা: এখানে সুন্দরবনের পশ্চিম প্রান্তের বনভূমি রয়েছে, যা ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
সুন্দরবন শুধুমাত্র বনভূমি নয়, এটি দেশের প্রাকৃতিক সুরক্ষা প্রাচীর, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করে। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবেও স্বীকৃত।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো—
ক) ৩টি।
0
Updated: 3 days ago
সুন্দরবনের আয়তন প্রায় কত বর্গ কিলোমিটার?
Created: 5 months ago
A
৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার
B
৪১০০ বর্গ কিলোমিটার
C
৫৮০০ বর্গ কিলোমিটার
D
৬৯০০ বর্গ কিলোমিটার
সুন্দরবন
-
সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার, যা মোট আয়তনের প্রায় ৬২%।
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্বের ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থল হিসেবে ঘোষণা করে।
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো ‘সুন্দরী’ গাছ। এই গাছের নাম থেকেই বনের নাম ‘সুন্দরবন’।
-
সুন্দরবনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গাছের মধ্যে রয়েছে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি।
উৎস: বনবিভাগ ওয়েবসাইট, ভূগোল ও পরিবেশ : নবম-দশম শ্রেণী।
0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশের প্রথম রামসার সাইট-
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গুয়ার হাওর
B
চলনবিল
C
হাইল হাওর
D
সুন্দরবন
রামসার সাইট:
-
রামসার কনভেনশন বা রামসার চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত হয়।
-
এর উদ্দেশ্য হলো জলাভূমি (wetlands) সংরক্ষণ এবং সারা বিশ্বে এসব এলাকার টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা।
-
বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রামসার সনদ কার্যকর করে।
-
বাংলাদেশের ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
-
রামসার সাইট দুটো হলো: সুন্দরবন ও টাঙ্গুয়ার হাওর।
-
বাংলাদেশের প্রথম রামসার সাইট সুন্দরবন।
-
১৯৯২ সালের ২১ মে সুন্দরবনকে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হলো টাঙ্গুয়ার হাওর, যা সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
-
২০০০ সালের ২৯ জানুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরকে সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
Created: 1 week ago
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি, যা বাংলায় বলা হয় “পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপের মাধ্যমে গণনা”। এই পদ্ধতিতে বাঘের চলাফেরার পথে তাদের পদচিহ্ন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বাঘের আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এটি বহু বছর ধরে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• “পাগ-মার্ক পদ্ধতি” মূলত বাঘের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নির্ধারণের একটি প্রাচীন ও কার্যকর কৌশল। বাঘের প্রতিটি পদচিহ্নের আকার, গভীরতা ও নকশা আলাদা হয়ে থাকে, যা দিয়ে এক বাঘকে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
• সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মাটিতে, বালিতে বা কাদা জমিতে খুব স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা এই ছাপগুলো প্লাস্টার কাস্ট বা মাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
• প্রতিটি পদচিহ্নের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আঙুলের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেন, পদচিহ্নটি পুরুষ না স্ত্রী বাঘের, এবং একই বাঘের পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।
• পাগ-মার্ক পদ্ধতি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় অতীতে সুন্দরবনে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে যখন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ বা ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রচলিত ছিল না।
• তবে বর্তমানে এই পদ্ধতির সঙ্গে ক্যামেরা ট্র্যাপ ও GIS প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে গণনা আরও নির্ভুল হয়। তবুও, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পাগ-মার্ক পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• এই পদ্ধতি শুধু সংখ্যা নয়, বরং বাঘের গমনপথ, কার্যক্ষেত্র (territory), ও আচরণগত তথ্য সম্পর্কেও ধারণা দেয়।
• যদিও এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে—যেমন একই বাঘের একাধিক ছাপ গণনায় আসতে পারে বা বৃষ্টিতে ছাপ নষ্ট হতে পারে—তবুও সুন্দরবনের কঠিন ভূপ্রকৃতির কারণে এটি এখনো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর উপায়।
সবশেষে বলা যায়, সুন্দরবনের বাঘ গণনায় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) পাগ-মার্ক।
0
Updated: 1 week ago