বাংলায় শিক্ষামূলক কার্টুন সিরিজ 'মীনা' কোন শিল্পীর সৃষ্টি?
A
তানভীর কবির
B
মোস্তফা মনোয়ার
C
রফিকুন্নবী
D
মৃণাল হক
উত্তরের বিবরণ
উ. মোস্তফা মনোয়ার
বাংলা শিক্ষামূলক কার্টুন সিরিজ ‘মীনা’ বাংলাদেশের শিশুতোষ বিনোদনের ইতিহাসে এক অনন্য উদ্যোগ, যার মূল স্রষ্টা হলেন বিশিষ্ট শিল্পী ও পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার। ইউনিসেফের সহযোগিতায় এই চরিত্রটি তৈরি করা হয় শিশুদের শিক্ষাবিষয়ক সচেতনতা, বিশেষ করে মেয়েশিশুর অধিকার, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমতা নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
‘মীনা’ চরিত্রটি এমনভাবে গড়ে তোলা হয় যাতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা নিজেদের জীবনের প্রতিফলন এতে দেখতে পারে। মোস্তফা মনোয়ার তাঁর শিল্পনৈপুণ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে চরিত্রটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁর নির্দেশনায় ‘মীনা’ হয়ে ওঠে সচেতনতা, শিক্ষার গুরুত্ব ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক।
মীনা সিরিজের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর বাস্তবধর্মী কাহিনি ও সহজবোধ্য ভাষা। প্রতিটি পর্বে একটি নির্দিষ্ট সামাজিক বা শিক্ষামূলক বার্তা দেওয়া হয়, যেমন—শিক্ষার গুরুত্ব, লিঙ্গসমতা, স্বাস্থ্যবিধি, শিশুশ্রমের ক্ষতি ইত্যাদি। মোস্তফা মনোয়ার এই কার্টুন সিরিজের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে চিন্তাশক্তি ও মানবিকতা জাগ্রত করার প্রয়াস নিয়েছিলেন।
এই কার্টুন সিরিজ কেবল বাংলাদেশেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও প্রচারিত হয় এবং শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউনিসেফের অন্যতম সফল প্রকল্প হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
অতএব, শিক্ষামূলক কার্টুন সিরিজ ‘মীনা’-র স্রষ্টা হলেন মোস্তফা মনোয়ার, যিনি তাঁর সৃজনশীলতা ও সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের এক জনপ্রিয় চরিত্রে রূপ দিয়েছেন।
0
Updated: 3 days ago
মনপুরা ‘৭০’ কি?
Created: 6 days ago
A
একটি উপজেলা
B
একটি নদী বন্দর
C
একটি উপন্যাস
D
একটি চিত্রশিল্প
0
Updated: 6 days ago
সালভাদার ডালি কে ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
বিজ্ঞানী
B
লেখক
C
চিত্রশিল্পী
D
অভিনেতা
উ. চিত্রশিল্পী
সালভাদর ডালি ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত স্পেনীয় অতিবাস্তববাদী (Surrealist) চিত্রশিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯০৪ সালের ১১ মে, স্পেনের ফিগুয়েরাস শহরে এবং মৃত্যু ১৯৮৯ সালের ২৩ জানুয়ারি। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে পরিচিত, যিনি তাঁর কল্পনাপ্রবণ, রহস্যময় ও স্বপ্নপ্রসূত চিত্রকর্মের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো “The Persistence of Memory” (১৯৩১) — যেখানে গলে যাওয়া ঘড়ির প্রতীক দিয়ে সময়ের আপেক্ষিকতা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছবিটি অতিবাস্তববাদী শিল্পধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
ডালির চিত্রকর্মের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল তার স্বপ্ন, অবচেতন মনের চিন্তা ও অদ্ভুত প্রতীকবাদের ব্যবহার। তিনি তাঁর ছবিতে এমন সব দৃশ্য ও বস্তু ব্যবহার করতেন যা বাস্তবে অসম্ভব হলেও মানসিক বা প্রতীকী অর্থে গভীর।
তিনি শুধু চিত্রশিল্পীই ছিলেন না; ডালি ছিলেন ভাস্কর, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখকও। তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল অত্যন্ত নাটকীয় ও ব্যতিক্রমধর্মী—যা তাঁর শিল্পকর্মে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
অতএব, সালভাদর ডালি ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী, যিনি তাঁর অনন্য চিন্তাধারা ও অতিবাস্তব রূপকল্পের মাধ্যমে শিল্পজগতে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন।
0
Updated: 3 days ago