বাংলাদেশের কোন জেলার সাথে ভারত এবং মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে?
A
খাগড়াছড়ি
B
রাঙামাটি
C
কক্সবাজার
D
বান্দরবান
উত্তরের বিবরণ
রাঙামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পার্বত্য জেলা, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, নদী ও হ্রদের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থান এমন যে এটি সীমান্ত ভাগ করেছে ভারত ও মিয়ানমার—এই দুই দেশের সঙ্গে।
ভৌগোলিকভাবে রাঙামাটির অবস্থান বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়—
-
রাঙামাটি জেলার পূর্বদিকে রয়েছে ভারতের মিজোরাম রাজ্য, যা আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটি অংশ।
-
একই সঙ্গে জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।
-
অর্থাৎ রাঙামাটি বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার সীমানা দুইটি বিদেশি রাষ্ট্র—ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
-
এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জেলা, যার আয়তন প্রায় ৬,১১৬ বর্গকিলোমিটার।
-
জেলার প্রধান নদী হলো কর্ণফুলি, যা কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি করেছে—বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ।
-
এখানকার নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে, যারা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে দুই দেশের সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসেছে।
-
প্রশাসনিক দিক থেকেও রাঙামাটি জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কারণে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে।
অন্য বিকল্পগুলো তুলনা করলে দেখা যায়—
-
খাগড়াছড়ি জেলা কেবল ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
-
কক্সবাজার জেলা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে, কিন্তু ভারতের সঙ্গে নয়।
-
বান্দরবান জেলা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নেই, কেবল মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো—
খ) রাঙামাটি।
0
Updated: 3 days ago
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কত দূরে অবস্থিত?
Created: 5 months ago
A
২৪.৭ কিলোমিটার
B
২১.০ কিলোমিটার
C
১৯.৩ কিলোমিটার
D
১৬.৫ কিলোমিটার
ফারাক্কা বাঁধটি গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। ভারতের হুগলী নদীতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং কলকাতা বন্দর সচল রাখার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৬.৫ কিলোমিটার দূরে, ভারতের ভূখণ্ডে গঙ্গা নদীর উপর এই বাঁধটি অবস্থিত।
ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ ১৯৬১ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৫ সালে সম্পন্ন হয় এবং একই বছর ২১ এপ্রিল থেকে এটি চালু করা হয়। এই বাঁধটিতে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে, যা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার সমস্যার প্রেক্ষিতে, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উৎস: বিবিসি বাংলা, ১ অক্টোবর ২০১৯।
0
Updated: 5 months ago
কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা কত?
Created: 3 months ago
A
৩৬টি
B
৫৪টি
C
৬৪টি
D
৪৪টি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাসমূহ
- বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগে মোট জেলার সংখ্যা হল ৬৪।
- এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা রয়েছে ৩২ টি।
- এই সীমান্তবর্তী জেলাগুলো ভারত ও মিয়ানমার এর সাথে।
- ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ৩০ টি জেলার আর মিয়ানমারের সাথে রয়েছে ৩টি জেলার।
- এদের মধ্যে ১টি জেলার (রাঙ্গামাটি) আবার দুই দেশের সাথেই সীমান্ত রয়েছে।
- ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ ব্যতীত সকল বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা রয়েছে।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago