মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
A
১নং সেক্টর
B
৬নং সেক্টর
C
৮নং সেক্টর
D
৯নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: ঘ) ৯নং সেক্টর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দেশটি ১১টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল, যার প্রতিটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারের অধীনে পরিচালিত হয়। বরিশাল অঞ্চলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
এই সেক্টরটি ছিল দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র, যা বর্তমান বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এর মূল দায়িত্ব ছিল শত্রু বাহিনীর নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত করা এবং দক্ষিণাঞ্চলকে মুক্তাঞ্চলে পরিণত করা।
৯নং সেক্টরের মূল তথ্যসমূহ:
- 
সেক্টর সদর দপ্তর: কালাইয়া (পরে পটুয়াখালী অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়) 
- 
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউদ্দিন (Major Ziauddin) 
- 
অঞ্চল: বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ইত্যাদি এলাকা এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। 
- 
যুদ্ধ কৌশল: এই অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী নৌপথের মাধ্যমে গেরিলা আক্রমণ ও নদীপথের কৌশল ব্যবহার করেছিল। কারণ দক্ষিণাঞ্চল নদীবেষ্টিত হওয়ায় নৌ-যুদ্ধ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 
- 
গুরুত্ব: বরিশাল ও তার আশেপাশের অঞ্চল ছিল শত্রু বাহিনীর জন্য অত্যন্ত কৌশলগত স্থান। মুক্তিযোদ্ধারা এই এলাকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করে শত্রুদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। 
অন্যদিকে—
- 
১নং সেক্টর ছিল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা। 
- 
৬নং সেক্টর অন্তর্ভুক্ত করেছিল রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল। 
- 
৮নং সেক্টর ছিল খুলনা ও যশোর অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত। 
অতএব, বরিশাল অঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯নং সেক্টরের অধীনে ছিল এবং সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 3 days ago
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 2 months ago
A
অলি আহাদ
B
কাশেম আলী
C
গাজীউল হক
D
তোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি (১৯৫২)
- 
তারিখ ও দিন: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, বৃহষ্পতিবার (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)। 
- 
জমায়েত: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে। 
- 
বিধিনিষেধ: সরকার ১৪৪ ধারা জারি করায় ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন দুজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। 
- 
ছাত্রসভা: বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। - 
সভাপতিত্ব: গাজীউল হক 
- 
বক্তৃতা: শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন 
- 
সভাপতি ১০ জনকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নির্দেশ দেন। 
 
- 
- 
প্রতিরোধ: পুলিশ মিছিলকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। 
- 
অবস্থান: মেডিকেল হোস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এখানে জগন্নাথ হলের অডিটোরিয়াম ছিল, যেখানে পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল। 
- 
উদ্দেশ্য: ছাত্ররা চাইছিলেন অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যদের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পৌঁছে দিতে। 
- 
বিবাদ: ছাত্ররা শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। প্রতিবাদে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। 
- 
শহিদ ও আহত: - 
ঘটনাস্থলেই শহীদ: আব্দুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ 
- 
আহত: প্রায় ১৭ জন, রাত ৮টায় আবুল বরকত শহীদ হন 
 
- 
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), দৈনিক ইত্তেফাক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১)
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
ল্যান্স নায়েক নূর মােহাম্মদ শেখ কোন সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
৬ নম্বর
B
৭ নম্বর
C
৮ নম্বর
D
৯ নম্বর
বীরশ্রেষ্ঠরা মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রাপ্ত বীরযোদ্ধা। তাঁরা তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে শহীদ হন। নিচে তাঁদের নাম ও দায়িত্বরত সেক্টর উল্লেখ করা হলো।
- 
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ : ১নং সেক্টর 
- 
সিপাহী মোস্তফা কামাল : ২নং সেক্টর 
- 
সিপাহী হামিদুর রহমান : ৪নং সেক্টর 
- 
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর : ৭নং সেক্টর 
- 
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ : ৮নং সেক্টর 
- 
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন : ১০নং সেক্টর 
- 
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান : পশ্চিম পাকিস্তান 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরের কোনো সাব-সেক্টর ছিলো না?
Created: 1 month ago
A
১১ নং সেক্টর
B
১০ নং সেক্টর
C
৫ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর
- 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের সমগ্র এলাকা ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। 
- 
প্রতিটি সেক্টরের একজন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। 
- 
যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়, যেখানে প্রতিটি সাব-সেক্টরে একজন কমান্ডার থাকতেন। 
সেক্টরের বিভক্তি:
- 
সেক্টর ১: ৫টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ২: ৬টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৩: ১০টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৪: ৬টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৫: ৬টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৬: ৫টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৭: ৮টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৮: ৭টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ৯: ৩টি সাব-সেক্টর 
- 
সেক্টর ১০: কোনো সাব-সেক্টর বা নিয়মিত কমান্ডার নেই; এটি প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ বাহিনী ছিল 
- 
সেক্টর ১১: ৮টি সাব-সেক্টর 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago