নিচের শব্দগুলোর মধ্যে কোনটি অমিল?
A
অগ্নি
B
অনল
C
বেগম
D
পাবক
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’ – এই তিনটি শব্দের অর্থ একই। এরা সবাই আগুন বা দহন শক্তির প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘বেগম’ শব্দটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করে, যা নারীর মর্যাদাসূচক পদবী বা উপাধি নির্দেশ করে। এই কারণেই ‘বেগম’ শব্দটি বাকিদের সঙ্গে অর্থের দিক থেকে অমিল।
‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’ শব্দগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সমার্থক সম্পর্ক।
-
অগ্নি শব্দটি সংস্কৃত উৎসজাত, যার অর্থ আগুন বা দহন। এটি শুদ্ধ, প্রাচীন ও ধর্মীয় গ্রন্থে বহুল ব্যবহৃত।
-
অনল শব্দটিরও অর্থ আগুন। এটি কাব্যিক ভাষায় আগুন বা জ্বলন্ত শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
পাবক শব্দটির অর্থও আগুন বা শুদ্ধকারক। এটি সংস্কৃত ‘পব’ ধাতু থেকে গঠিত, যার অর্থ পবিত্র করা বা বিশুদ্ধ করা। আগুনকে ‘পাবক’ বলা হয় কারণ এটি অশুদ্ধিকে দগ্ধ করে শুদ্ধতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে, ‘বেগম’ শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি ফারসি উৎসজাত শব্দ, যার অর্থ কোনো সম্ভ্রান্ত বা অভিজাত নারীর উপাধি। মুসলিম সমাজে রাজকীয় নারী বা উচ্চবংশীয় মহিলাকে ‘বেগম’ বলা হয়। শব্দটি সাধারণত মর্যাদা, গৌরব ও সামাজিক অবস্থান নির্দেশ করে, যা ‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’-এর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়।
এই শব্দগুলির ব্যুৎপত্তি ও অর্থগত বিশ্লেষণে দেখা যায়—
-
অগ্নি, অনল ও পাবক – তিনটিই প্রাকৃতিক শক্তি, দহন, তাপ ও আলোকে নির্দেশ করে।
-
বেগম – মানবসমাজের একটি উপাধি বা সামাজিক পরিচয়ের প্রতীক।
-
প্রথম তিনটি শব্দ প্রকৃতি ও শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু শেষেরটি মানুষের পদমর্যাদার সঙ্গে যুক্ত।
-
ভাষার উৎস ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রও আলাদা—অগ্নি, অনল, পাবক সংস্কৃত ধাতু থেকে এসেছে; বেগম এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।
সব দিক বিচার করলে দেখা যায়, ‘বেগম’ শব্দটি অর্থ, উৎস ও প্রয়োগে অন্যান্য শব্দ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। তাই সঠিক উত্তর হলো—
ঘ) বেগম.
0
Updated: 3 days ago
‘রোজনামচা’ - শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
Created: 1 month ago
A
আরবি
B
তুর্কি
C
ফারসি
D
হিন্দি
ফারসি শব্দ হলো সেই শব্দ যা ফার্সি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলি সাধারণত বিশেষ্য, ক্রিয়া বা বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বাংলা ভাষায় নিজের অর্থ ও ব্যবহার ধরে রেখেছে।
উদাহরণস্বরূপ, 'রোজনামচা' একটি ফারসি শব্দ, যা একটি বিশেষ্য পদ। এর অর্থ হলো প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার লিখিত বিবরণ বা দিনলিপি।
কিছু অন্যান্য ফারসি শব্দ:
-
কাজি
-
কারিগর
-
খোয়াব
-
চশমা
-
চেহারা
-
দরদি
-
দরবার
-
দারোগা
-
দারোয়ান
-
ফসলি
-
রোজ
-
রোজা
0
Updated: 1 month ago
লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
সাহেব
B
বেয়াই
C
সঙ্গী
D
কবিরাজ
নিত্য লিঙ্গবাচক শব্দসমূহ
বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে লিঙ্গভিত্তিক তিন প্রকারে ভাগ করা হয় — নিত্য পুরুষবাচক, নিত্য স্ত্রীবাচক, এবং যোগবাচক। এখানে নিত্য পুরুষবাচক ও নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ:
যে সমস্ত শব্দের কোনো স্ত্রীবাচক রূপ নেই, সেগুলোকে নিত্য পুরুষবাচক শব্দ বলা হয়। অর্থাৎ, এই ধরনের শব্দ সাধারণত পুরুষ লিঙ্গ বোঝায় এবং এর স্ত্রীবাচক রূপ ব্যবহার হয় না। উদাহরণস্বরূপ—
রাষ্ট্রপতি, বিপত্নীক, কৃতদার, অকৃতদার, কবিরাজ, কুস্তিগির, পুরোহিত, স্ত্রৈণ, কোটিপতি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, ঢাকি, ঢুলি, চৌকিদার, দফাদার ইত্যাদি।
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ:
বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দও রয়েছে যেগুলোর পুরুষবাচক রূপ নেই এবং তারা নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ, এই ধরনের শব্দগুলো শুধুমাত্র নারী লিঙ্গ বোঝায়। যেমন—
সধবা, বিধবা, সপত্নী, সতিন, বিমাতা, ললনা, অঙ্গনা, এয়ো, দাই, কুলটা, অসূর্যম্পশ্যা, অরক্ষণীয়া, লক্ষ্মী, ডাইনি, গর্ভিণী, বেশ্যা ইত্যাদি।
যোগবাচক শব্দের উদাহরণ:
কিছু শব্দের পুরুষবাচক ও স্ত্রীবাচক দুটোই থাকে। যেমন—
-
সঙ্গী (পুরুষ) – সঙ্গিনী (স্ত্রী)
-
সাহেব (পুরুষ) – বিবি (স্ত্রী)
-
বেয়াই (পুরুষ) – বেয়াইন (স্ত্রী)
উৎস:
-
প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিত, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 3 days ago
‘নাটিকা’ কোন অর্থে স্ত্রীবাচক শব্দ?
Created: 1 month ago
A
সমার্থে
B
ক্ষুদ্রার্থে
C
বৃহদার্ধে
D
বিপরীতার্থে
'নাটিকা ' শব্দটি ' ক্ষুদ্রার্থে ' স্ত্রীবাচক শব্দ। ' ক্ষুদ্রার্থে ' আরও কয়েকটি স্ত্রীবাচক শব্দ - মালিকা, গীতিকা, পুস্তিকা।
0
Updated: 1 month ago