মীর মশাররফ হোসেন রচিত 'বিষাদ সিন্ধু' উপন্যাসের চরিত্র নয় কোনটি?
A
ইয়াজিদ
B
মাওয়ান
C
ইমাম হোসেন
D
ইব্রাহিক কার্দি
উত্তরের বিবরণ
মীর মশাররফ হোসেনের অমর কীর্তি ‘বিষাদ সিন্ধু’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক উপন্যাস। এটি মূলত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে রচিত, যেখানে সত্য ও অন্যায়ের সংঘাত, ধর্মীয় নীতি, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের চিত্র ফুটে উঠেছে। উপন্যাসে যে সব চরিত্র পাওয়া যায়, তারা ঐতিহাসিক ঘটনাকে ধারণ করে, কিন্তু প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘ইব্রাহিক কার্দি’ নামে কোনো চরিত্র নেই।
‘বিষাদ সিন্ধু’-র উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন—
-
ইমাম হোসেন (রা.), যিনি উপন্যাসের মূল চরিত্র। তিনি ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র এবং ন্যায়ের প্রতীক। তিনি ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন ও কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।
-
ইয়াজিদ, যিনি উমাইয়া বংশীয় খলিফা। তার লোভ, ক্ষমতার আসক্তি ও ধর্মবিরোধী আচরণই ইমাম হোসেনের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণ হয়ে ওঠে।
-
মাওয়ান, ইয়াজিদের উপদেষ্টা ও রাজনীতির এক কূট চরিত্র, যিনি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্যায়ের শক্তিকে প্রাধান্য দেন।
-
জয়নাব, ইমাম হোসেনের বোন, যিনি কারবালার ঘটনার পর ইসলামের পক্ষে সাহসিকতার সঙ্গে কণ্ঠ তুলে ধরেন।
-
আলী আ্কবর, কাসিম, হাবিব ইবনে মাযাহির প্রমুখ চরিত্ররাও উপন্যাসে ন্যায় ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে স্থান পেয়েছেন।
এই উপন্যাসের বিশেষত্ব হলো লেখকের গভীর আবেগ, ধর্মীয় অনুভূতি এবং সাহিত্যিক বর্ণনার দক্ষতা। এতে ইতিহাস, ধর্ম ও মানবিক বেদনাকে এমনভাবে একত্র করা হয়েছে যে পাঠক একদিকে ঐতিহাসিক সত্য জানতে পারে, অন্যদিকে মানবতার গভীর মূল্যবোধ অনুভব করে।
‘বিষাদ সিন্ধু’-তে লেখক যেভাবে চরিত্রগুলিকে গঠন করেছেন, তা শুধু ঐতিহাসিক নয়, বরং নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তা গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিটি চরিত্র এক একটি আদর্শের প্রতীক—কেউ ন্যায়, কেউ ত্যাগ, কেউবা অন্যায়ের প্রতিফলন। কিন্তু ‘ইব্রাহিক কার্দি’ নামের কোনো চরিত্র এই কাহিনিতে নেই; এটি উপন্যাসের কল্পিত বা সম্পর্কহীন নাম।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর হলো ঘ) ইব্রাহিক কার্দি, কারণ এটি ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসের কোনো চরিত্র নয়।
0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
Created: 2 months ago
A
১৮৪৭-১৯১১
B
১৮৫২-১৯১২
C
১৮৫৭-১৯১১
D
১৮৪৭-১৯১২
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। সে সময় তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক পত্রিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। এখান থেকেই তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা হয়। ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যজীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা ও গুরু।
তিনি নিজেও ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
মীর মশাররফ হোসেন বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক বলেও গণ্য হন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
✅ নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
✅ প্রহসন (হাস্যরসাত্মক নাট্যরচনা)
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কী
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই, এই তো চাই
✅ উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু (তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস)
✅ আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
নোট: তার মৃত্যুর সাল অনেক বইয়ে ১৯১১ উল্লেখ করা হলেও বাংলাপিডিয়াতে এটি ১৯১২ সাল বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য
0
Updated: 2 months ago
'বসন্তকুমারী' মীর মশাররফ হোসেন রচিত-
Created: 1 month ago
A
উপন্যাস
B
প্রহসন
C
নাটক
D
আত্মজীবনী
‘বসন্তকুমারী’ মীর মশাররফ হোসেনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাটক, যা ১৮৭৩ সালে রচিত এবং মুসলমান নাট্যকার দ্বারা রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত। নাটকের কাহিনি ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজার বৃদ্ধ বয়সে যুবতী স্ত্রী গ্রহণ, রাজার যুবক পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষণ ও প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার ষড়যন্ত্রের পর রাজপরিবারের সকলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। নাটকটির অপর নাম হলো ‘বৃদ্ধস্য তরূণী ভার্যা’।
-
নাটকসমূহ:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
উপন্যাসসমূহ:
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
গ্রন্থসমূহ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
-
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-
0
Updated: 1 month ago
কোন নাটকে রাজার পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষ, পুত্রের প্রত্যাখ্যান ও বিমাতার ষড়যন্ত্রে পরিবারের সকলের মৃত্যু হয়?
Created: 2 weeks ago
A
টালা অভিনয়
B
এর উপায় কি
C
বসন্ত কুমারী নাটক
D
ফাঁস কাগজ
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন জমিদার। নিজগৃহে মুনশির নিকট আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে মশাররফ হোসেনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। মশাররফ হোসেন আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন। তিনি বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
• ‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
-
মীর মশাররফ হোসেনের নাটকগুলোর মধ্যে ‘বসন্তকুমারী’ নাটক (১৮৭৩) উল্লেখযোগ্য।
-
মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম নাটক হিসেবে এটিকে নির্দেশ করা যায়।
-
কাহিনিঃ ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজার বৃদ্ধ বয়সে যুবতী স্ত্রী গ্রহণ, রাজার যুবক পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষণ এবং প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান ও বিমাতার ষড়যন্ত্র; পরিশেষে রাজপরিবারের সকলের মৃত্যু।
-
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরূণী ভার্যা’।
• তাঁর সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
0
Updated: 2 weeks ago